জুমার দিনের বৈশিষ্ট্য

- আপডেট সময় : ০৪:৩৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৭ ৫২৩ বার পড়া হয়েছে
ডেস্ক: আল্লাহ তায়ালা যেসব দিনকে ফজিলত ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ করেছেন এর অন্যতম হলো জুমার দিন। এ দিনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক আহকাম ও ঐতিহাসিক নানা ঘটনা। সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ। কোরান-হাদিসের বিভিন্ন ব্যাখ্যা দ্বারা এই দিনের মর্যাদার কথা জানা যায়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘নিঃসন্দেহে জুমার দিন সেরা দিন ও আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম দিন। আল্লাহর কাছে তা ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতরের দিনের চেয়েও উত্তম’ (ইবনে মাজাহ)। অন্য হাদিসে আছে, ‘যেসব দিনে সূর্য উদিত হয়েছে এরমধ্যে সর্বোত্তম হলো জুমার দিন।’ জুমার দিনকে মুসলমানদের ঈদের দিন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। জুমার ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক জুমা থেকে অপর জুমা উভয়ের মাঝের (গোনাহের জন্য) কাফ্ফারা হয়ে যায়, যদি কবিরা গোনাহের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়ে থাকে। (মুসলিম) রাসুল (সা.) অন্য হাদিসে বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন ভালো করে গোসল করে সকাল সকাল মসজিদে আসবে এবং ইমামের নিকটবর্তী হবে এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনবে ও চুপ থাকবে তার জুমার সালাতে আসার প্রত্যেক পদক্ষেপে এক বছরের নামাজ ও রোজা পালনের সওয়াব হবে’ (তিরমিজি)। জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে যে সময়ে কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে কোনো ভালো জিনিসের প্রার্থনা করলে তিনি তাকে তা দান করেন। বেশিরভাগ আলেমের মতে, দোয়া কবুলের সম্ভাবনার সেই সময়টি হলো আসরের নামাজের পর। দ্বিপ্রহরের পরের সময়টিতেও দোয়া কবুলের আশা করা যেতে পারে। সুতরাং মুসলমানদের উচিত দোয়া কবুলের সম্ভাব্য মুহূর্তগুলো দোয়ার মধ্যে কাটানো। বলা তো যায় না, কখন কোন দোয়া আল্লাহ কবুল করে নেবেন। এই পবিত্র জুমার দিনেই সংঘটিত হবে কেয়ামত। জুমার দিনের প্রধান আমল হলো জুমার নামাজ। এর প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অবহেলা করে তিন জুমা ত্যাগ করবে আল্লাহ তার হƒদয়ের ওপর মোহর মেরে দেবেন’ (তিরমিজি)। যারা জুমায় আসে না তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন নবীজী। সুতরাং এর দ্বারাই অনুমান করা যায় জুমার নামাজকে কতটা গুরুত্ব দিয়েছেন প্রিয়নবী (সা.)। এ জন্য জুমার নামাজ এবং এই দিনের আমল নিয়ে কারও অবহেলা করা উচিত নয়।