সাফদারপুর রেলষ্টশনের প্লাটফর্ম শেড ও হাইলেভেল প্লাটফর্মের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী:দর্শনা-খুলনা রুটে ডাবল লাইনসহ সারাদেশে রেলপথ করা হবে

- আপডেট সময় : ০৫:৫৩:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৭ ৭৭৬ বার পড়া হয়েছে
হুসাইন মালিক/মামুন রশিদ: কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্ম শেড ও হাইলেভেল প্লাটফর্মের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। এসময় স্থানীয়দের দাবির মুখে কোটচাঁদপুরে সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ করার ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফিরোজ সালাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সাফদারপুর রেলওয়েস্টেশনের প্লাটফর্ম শেড ও হাইলেভেল প্লাটফর্মের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রেল মন্ত্রী মুজিবুল হক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় রেল সুবিধা গড়ে তুলতে কাজ করার। সে অনুযায়ী ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। খুলনা থেকে দর্শনা পর্যন্ত রেলপথ বিস্তৃত করা হবে। ইতোমধ্যে খুলনা-যশোর রুটে ডাবল লাইনের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া খুব শিগগির বাংলাদেশের সব জেলার মানুষ রেল সুবিধা ভোগ করবে। তিনি বলেন, বিএনপি আমলে রেলের জন্য বরাদ্দ ছিল মাত্র ৫০০ কোটি টাকা। সে সময় অনেক রেলস্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। রেলপথকে বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত করা হয়েছিল। তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রেলপথ উন্নয়ন ও রেলকে সময়োপযোগী করে তুলতে বরাদ্দ রেখেছেন সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা। শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের সরকার। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে যথাসাধ্য চালিয়ে যাচ্ছি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নবী নওয়াজ এমপি, আনোয়ারুল আজিম আনার এমপি, রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, পশ্চিম জোনের জিএম খায়রুল হোসেন, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মাহাবুবুল আলম তালুকদার, কোটচাঁদপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রেজাউল করিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শরিফুননেছা মিকি, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কায়দার রহমান এবং সাফদারপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি নওশের আলী নাছির। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মুন্সি ফিরোজা সুলতানা। রেলওয়ের নির্ধারিত কর্মসূচি শেষে পাশেই আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল মন্ত্রী মুজিবুল হকের। কিন্তু দলীয় স্থানীয় কোন্দলের কারণে এই কর্মসূচি বাতিল করা হয় বলে জানা যায়। তবে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কায়দার রহমান দাবি করেছেন, ‘যেহেতু সরকারি কর্মসূচি, তাই দলীয় সভা রাখা হয়নি।