ইসলামের সমর্থন

- আপডেট সময় : ০৫:২৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৭ ৪২৪ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: মানবতার ধর্ম ইসলাম নেতিবাচক বিষয়াদি থেকে ইতিবাচক মনোভাবকে অগ্রাধিকার দেয়। ইসলামের বিধান বিষয়ে গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে মানুষের জীবন চলার পথে হারাম তথা নেতিবাচক বিষয় একেবারেই নগণ্য এবং সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারিত। পক্ষান্তরে হালাল তথা ইতিবাচক বিষয় অসংখ্য ও অনির্ধারিত। এই নির্দিষ্ট কতিপয় হারাম বাদ দিলে মানুষের সামগ্রিক জীবনে ইতিবাচক বিষয়ে ভরপুর। সুতরাং একজন মুসলমান সদা ইতিবাচক পথে থাকবেন এটিই কাম্য। তাদের কথাবার্তা, চাল-চলন ও আচার-আচরণে সদা-সর্বদা এরই বহিঃপ্রকাশ ঘটবে। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবন চরিত্রে এই গুণটি প্রবলাকারে পরিলক্ষিত হয়। পাহাড়সম সমস্যার সমাধানেও তিনি কখনো নেতিবাচক পন্থার আশ্রয় নিয়েছেন এমনটি কখনো হয়নি। ইতিবাচক চিন্তা-চেতনা দিয়েই তিনি সবকিছুর সমাধান করেছেন। তিনি তৎকালীন অধঃপতিত সমাজকে ধ্বংসের প্রান্ত সীমা থেকে উদ্ধারে ইতিবাচক দিক তথা ন্যায়নীতি বিকাশের ওপর বেশি গুরুত্ব দেন। এ জন্য সর্বপ্রথম তিনি মানুষের মন-মননে ‘আল্লাহ ও আখেরাতের ভয়’ জাগ্রত করার কাজে মনোনিবেশ করেছিলেন। তিনি নেতিবাচক তথা উদ্ধত ও কর্কশভাষী হননি। বরং তার মনের সবটুকু দরদ ঢেলে দিয়ে, অকৃত্রিম হিতাকাক্সক্ষী সেজে ও অত্যন্ত কোমলভাবে মানুষকে বুঝিয়েছেন। এর স্বীকৃতি স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা এভাবে দিয়েছেন, ‘আপনি যে কোমল হƒদয় হতে পেরেছেন, সে আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহেরই ফল। কিন্তু আপনি যদি কঠিন হƒদয় ও কর্কশভাষী হতেন তাহলে তারা সকলে আপনাকে ছেড়ে চলে যেত’ সূরা ইমরান : ১৬। ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটি মনোভাব মানুষের সার্বিক জীবনকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। ইতিবাচক মনোভাব মানুষের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক জীবনের সব স্তরে ইতিবাচক ফল পরিলক্ষিত হতে থাকে। এটি এমন একটি দুর্লভ গুণ যার প্রভাবে ব্যক্তির চরিত্রে অনেক সুন্দর-বিরল গুণ ও বৈশিষ্ট্যের সমাহার ঘটে। যেমন যিনি ইতিবাচক মনোভাবের অধিকারী তিনি অবশ্যই কোমল হƒদয়ের অধিকারী। তিনি নম্র-ভদ্র, মিষ্টভাষী, সুন্দর ব্যবহার, মানবিক আচরণ, পরশ্রীপরায়ণ, কল্যাণকামী, সহানুভূতিশীল, দয়ার্দ্র, নির্লোভী, নিরহঙ্কারী ও নিঃস্বার্থবাদী স্বভাবের হয়ে থাকেন। এ ধরনের ব্যক্তিকে সমাজ ও রাষ্ট্রের যেখানেই বসানো হোক না কেন সেখানকার পরিবেশ যেমন বদলে যায় তেমনি সার্বিক উন্নতির প্রসার লাভ করে। পক্ষান্তরে নেতিবাচক মনোভাবাপন্ন চরিত্রের ব্যক্তি সব ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। এমন চিন্তার মানুষদেরকে পরিত্যাগ করাই শ্রেয়। তাদের সংস্পর্শে যাওয়া উচিত নয়।