দামুড়হুদার আরামডাঙ্গার সমবায় সমিতি লিমিটেড ধ্বংসের মুখে : শত শত কৃষক চাষ থেকে বঞ্চিত

- আপডেট সময় : ০৫:০৮:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৭ ৩১১ বার পড়া হয়েছে
আওয়াল হোসেন/ওয়াসিম রয়েল: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের আরামডাঙ্গা পূর্বপাড়া সমবায় সমিতি লিমিটেড ধ্বংসের মুখে। শত শত কৃষক সেচের মাধ্যমে জমি চাষ থেকে দিনের পর দিন বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কতিপয় ব্যাক্তির লুটপাটের কারণে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্থানে থাকা আরামডাঙ্গা গ্রামের পূর্বপাড়া সমবায় সমিতি লিমিটেড অস্তিত্ব সংকটে পড়ে এখন প্রায় নিভু নিভু অবস্থায়। ১৯৮৯ সালে এরশাদ সরকারের আমলে রাষ্ট্রিয়ভাবে সমিতির ১০জনকে ১০০টাকার প্রাইজবন্ড এবং রৌপ্য পদক পেয়ে দ্বিতীয় দেশের অবস্থানে উন্নিত লাভ করে। সেই ১৯৭৬ সালে ২০জন সদস্য নিয়ে আবুল কাশেম চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আরামডাঙ্গা পূর্বপাড়া সমবায় সমিতির যাত্রা শুরু। পরবর্তীতে আবুল কাশেমের সহযোগিতায় সমিতির সকল সদস্য মিলে ৬টি গভীর নলকুপ স্থাপন করেন। এছাড়া ২২বিঘা জমি, ৬শত মন ধান, ব্যাংকে ১লাখ ৭০ হাজার টাকা, ২২মন পাট, ২২মন শরিষা, ৩শত মন ভুট্টা,৭৫টি খালি ব্যারেল, ১টি পাওয়ার ট্রলি, ১টি গম মাড়াই মেশিন, ৬টি গভীর নলকুপের পুরাতন যন্ত্রাংশ সম্পদ হিসাবে গড়ে তোলে এবং সমিতির ফান্ডে সেই সম্পদ জমা থাকে। এছাড়া সমিতির প্রত্যেক সদস্যকে প্রতি ধর্মীয় উৎসবে লভ্যাংশ থেকে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা করে প্রদান করা হত। এরপর ১৯৯৬ কয়েকজন নেতা তৎকালিন সময়ে ক্ষমতার দাপটে এ সমিতির সকল কার্যক্রম নিজেদের দখলে নেন বলে আবুল কাশেমসহ দূর্গাপুর ও আরামডাঙ্গা, ওসমানপুর ও সদবরী গ্রামের কৃষকরা জানান। এসব কৃষকদের মধ্যে দূর্গাপুর গ্রামের হায়দার আলী ও আব্দুর রব বলেন, সিমির খালী এ বোরিং এর সেচ দিয়ে আমরা জমি চাষ করতাম কিন্তু হাজী আনছার আলী মাষ্টার ১০৯৬ সালে বোরিং সমিতির দায়িত্ব নেওয়ার ফলে বোরিং ইনজিন, যন্ত্রাংশ মটরসহ ধীরে ধীরে সব কিছু বিক্রী করে ফেলেছে। ফলে সেচের অভাবে এ মাঠের ধান,পাট,সবজিসহ বিভিন্ন ধরণে ফসলের চাষ করতে চরম সমস্য হচ্ছে। এছাড়া তৈয়বগাড়ী বিলপার বোরিং, অন্ধার কোটা মাঠের বোরিং, বিলপার মাঠ, কুয়ারপাড় মাঠ ও বেলে মাঠের বোরিং এর ইঞ্জিন, যন্ত্রাংশ ও মোটরসহ সব কিছু বিক্রি করে দিয়েছে। শুধুমাত্র মালিথাপাড়ার বোরিংটি চলমান আছে। ফলে ৬ হাজার বিঘা জমির চাষ ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। ফলে বোরিং এর আওতায় স্বল্প খরচে চাষীরা যে ফসল ঘরে তুলেছে। এখন খরচ হচ্ছে তিনগুন। এছাড়া ২২ বিঘা জমির মধ্যে প্রায় ১৩ বিঘা জমি বিক্রী করেছে হাজী আনছার আলী মাষ্টার,রুহুল আমিন ও শাহজামাল মিলে প্রায় ১৩ বিঘা জমি বিক্রী করে দিয়েছে। এমনী অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, মুক্তার আলী, সিরাজুল ইসলামসহ আরামডাঙ্গা গ্রামের সকল কৃষকরা। চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জানান এ ব্যাপরে আমরা দামুড়হুদা উপজেলা সমবায় সমিতির কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কৃষি কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর জানিয়েও কোন ফলাফল পায়নি। ফলে ২০১১ সালে এ বিষয় একটি মামলা করা হয়েছে, যার নং ৮৮। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে হাজী আনছার আলী মাষ্টারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন আমি কোন কথা বলতে চাই না। সংবাদপত্রের সাথে কিছু বলতে চাই না। আমি কোন কথাই বলবো না।