মুমিন ব্যবসায়ীর বৈশিষ্ট্য

- আপডেট সময় : ০৪:৪৮:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ৪০০ বার পড়া হয়েছে
ডেস্ক: জীবিকার প্রয়োজনে আমরা বিভিন্ন পেশা বেছে নিই। ব্যবসা জীবিকার একটি উৎকৃষ্ট মাধ্যম। তবে একজন মুসলমান ব্যবসায়ী অন্য যে কোনো ধর্মের ব্যবসায়ীর চেয়ে আলাদা হবেন এটাই প্রত্যাশিত। কারণ ইসলাম ব্যবসাকে হালাল করেছে এবং এটাকে ইবাদত হিসেবেও গণ্য করেছে। এ জন্য নিছক লাভের জন্য বল্গাহীনভাবে ব্যবসা করা যাবে না। ব্যবসার প্রতিটি ধাপে ইসলামের বিধি-নিষেধ মানতে হবে। প্রথমত ব্যবসা দ্বারা নিজে উপকৃত হওয়া এবং অন্যকে উপকৃত করার মানসিকতা লালন করতে হবে। কোনো ধোঁকা, প্রতারণা ও ফাঁকিবাজির আশ্রয় নেয়া যাবে না। এ ধরনের অপকর্ম ইসলামে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত। মন্দ জিনিস ভালো বলে চালিয়ে দেয়া, ভালোর সঙ্গে মন্দের মিশ্রণ ঘটিয়ে ধোঁকা দেয়া ইত্যাদি সম্পূর্ণ হারাম। ব্যবসায় কোনোক্রমেই মিথ্যা বলা যাবে না। আবার কোনো সত্যকে গোপন করাও অপরাধ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সত্যের সঙ্গে অসত্যের মিশ্রণ ঘটাবে না। জেনেশুনে সত্য গোপন করো না।’ রাসুল (সা.) বলেন, ‘চারটি গুণ যখন তোমার মধ্যে থাকবে, তখন দুনিয়াদারি সব খুয়ে গেলেও তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আমানত সংরক্ষণ, কথায় সততা, উত্তম চরিত্র এবং হালাল খাদ্য।’ কোনো ব্যবসায়ীর মধ্যে এই চারটি গুণ থাকলে তার ব্যবসায় বরকত হবে। ওজনে কম দেয়া ব্যবসায় বড় অপরাধ। কোনো মুমিন ব্যবসায়ী কখনো এমনটি করতে পারে না। আল্লাহ বলেন, ‘ধ্বংস যারা পরিমাপে কম দেয় তাদের জন্য। যারা লোকদের কাছ থেকে মেপে নেয়ার সময় পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ করে আর যখন তাদের মেপে দেয় অথবা ওজন করে দেয় তখন কম দেয়।’ পণ্য বিক্রির জন্য মিথ্যা শপথ করা যাবে না। কারণ মিথ্যাবাদীর ওপর আল্লাহর অভিশাপ। মিথ্যা বলে বা মিথ্যা শপথ করে পণ্য বিক্রির পরিণতি খুবই ভয়াবহ। মুমিন ব্যবসায়ী নিজে ঠকবে না, আবার অন্যকেও ঠকাবে না। ব্যবসার সঙ্গে সুদকে মেশানো যাবে না। কারণ সুদ একটি মারাত্মক অপরাধ। অনুমানভিত্তিক ব্যবসা থেকে বিরত থাকতে হবে। অপরের মাল হনন করার চেষ্টা করা যাবে না। মুমিন ব্যবসায়ীর ওপর জাকাত ফরজ হলে তা আদায় করতে হবে। কারণ জাকাত দিলে সম্পদ পবিত্র হয়। একজন মুসলিম ব্যবসায়ী কোনোভাবেই খাদ্যে ভেজাল মেশাতে পারে না। সর্বোপরি ব্যবসাকে ইবাদত এবং মানবসেবার মাধ্যম হিসেবে করতে হবে।