রোগ জীবাণু দূর করে যেসব খাবার

- আপডেট সময় : ০৫:৫২:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০১৭ ৩৮৭ বার পড়া হয়েছে
স্বাস্থ্য ডেস্ক: খাবার আমাদের শরীরের জন্য অত্যাধিক প্রয়োজনীয়। খাবার আমাদের শরীরে শক্তি যোগানের পাশাপাশি, রোগ জীবাণুর হাত থেকেও রক্ষা করে। কোন খাবার আমাদের শরীরের জন্য কতটুকু কার্যকরী আসুন তা জেনে নেয়া যাক-
১. নিমপাতা:
নিমগাছের পাতা, তেল ও কা-সহ নানা অংশ বহুদিন ধরে চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নানা রোগের উপশমের অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে এ গাছের। নিম পাতার নির্যাস ব্যবহারে ম্যালেরিয়া প্রশমিত হয়। পানি বা এলকোহল মিশ্রিত নিম পাতার নির্যাস ব্যবহারে একই ধরনের ফল পাওয়া যায়। নিম গাছের বাকল হতে আহরিত নির্যাস এইডস ভাইরাসকে মারতে সক্ষম। নিম পাতার নির্যাস অথবা পুরু পাতা অথবা নিম পাতার চা পান করলে এইডস উপশম হয়। এছাড়াও নিম পাতা পিষ্ট করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে প্রলেপ দিলে ব্রণ সেরে যায়।
২. মধু:
মধুর সাথে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে তা রক্তনালীর সমস্যা দূর করে এবং রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ ১০% পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। মধু ও দারচিনির এই মিশ্রণ নিয়মিত খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি কমে এবং যারা ইতিমধ্যেই একবার হার্ট অ্যাটাক করেছেন তাদের দ্বিতীয়বার অ্যাটাকের ঝুকি কমে যায়।
৩. আম:
কাঁচা আম আলফা ক্যারোটিন ও বিটা ক্যারোটিনের মত ফ্লাভনয়েড সমৃদ্ধ। এই সব উপাদান দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে ও দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়। এছাড়াও, শরীরের কোষকে উজ্জীবিত করে কাঁচা আম এবং রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে ও নতুন রক্ত কোষ গঠনে সহায়তা করে। বিভিন্ন রকমের রক্তের সমস্যা যাদের থাকে যেমন- রক্তশূন্যতা, ব্লাড ক্যান্সার, রক্তক্ষরণের সমস্যা ও টিউবারকোলোসিসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে কাঁচা আম।
৪. গাজর:
গবেষণায় দেখা গেছে গাজর ফুসফুসের ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার এবং মলাশয় কান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। গবেষকরা অ্যান্টিক্যান্সারের বৈশিষ্ট্য হিসেবে ফেলকেরিনল এবং ফেলকেরিয়ানডল কে আবিষ্কৃত করেছেন। ফেলকেরিনল একটি প্রাকৃতিক কীটনাশক যা গাজর দ্বারা উৎপাদিত হয় যা ছত্রাক রোগ থেকে শিকরকে রক্ষা করে। গাজর এই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি সাধারণ সূত্র। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যেসব ইঁদুর গাজর খায় তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি কম।
৫. হলুদ:
হলুদের রয়েছে কারকিউমিন, এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিকেলস দূর করতে সাহায্য করে। ফ্রি রেডিকেলস শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই ফ্রি রেডিকেলসের মাত্রা কমা শরীরের জন্য ভালো। গবেষণায় বলা হয়, কারকুমিন বিভিন্ন ধরনের বিষন্নতা দূরকারী ওষুধের মতো সমান কাজ করতে পারে। তাই খাদ্যতালিকায় হলুদ রাখা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।