হাসাদাহ-রায়পুরে ইটভাটার ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলে নষ্ট হচ্ছে সড়ক: অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা : প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ

- আপডেট সময় : ০৫:৪০:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০১৭ ৩৩৭ বার পড়া হয়েছে
জীবননগর অফিস: ইটভাটার মাটি টানা ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলে নষ্ট হচ্ছে জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ বাজার হতে রায়পুর যাতায়াতের প্রধান সড়কটি। কৃষি কাজে ব্যবহারের জন্য দেশে ট্রাক্টর আনা হলেও সেই ট্রাক্টর কৃষি কাজে ব্যবহার হচ্ছে না। ব্যবহার হচ্ছে গ্রামের ছোট সড়ক থেকে শুরু করে শহরের মহাসড়ক পর্যন্ত সর্বত্র। এর অবাধ বিচরণের কারণে সড়কের ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি কোনো না কোনো দিন এর চাকায় পিষ্ট হয়ে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সব দিক দিয়ে ক্ষতিকর এ যন্ত্রদানবটি কার বা কাদের স্বার্থে সড়কে চলাচল করছে এটা কারোরই বোধগম্য নয়। জানা যায়, কৃষি কাজের জন্যে এ দেশে বিভিন্ন কোম্পানীর ট্রাক্টর আমদানি করা হয়। গরু দিয়ে হাল চাষের আধুনিক সংস্করণ হচ্ছে ট্রাক্টরের চাষ। শুরুতে ট্রাক্টরের ইঞ্জিনের পেছনে একটি লাঙ্গলের সেট বসিয়ে এটিকে কৃষি কাজে লাগানো হতো। কিন্তু পরে এর রূপ পরিবর্তন করে ইঞ্জিনের পেছনে একটি ট্রলি সংযোজন করে মালামাল পরিবহন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি এখন শহর গ্রাম সর্বত্র কাঁচা-পাকা সড়কে অবাধে বীরদর্পে চলাচল করছে। আর এর মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সড়ক, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ এবং কেড়ে নেয়া হচ্ছে মানুষের প্রাণ। ট্রাক্টর চালকদের কারো ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ট্রাক্টর চালনার উপর কোনো ধরনের লাইসেন্স ইস্যু করে না। বেপরোয়া গতির কারণে প্রায় সময় ট্রাক্টর নিজে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে, না হয় অন্যের দুর্ঘটনার কারণ হচ্ছে। কৃষিকাজের বাইরে ট্রাক্টরে পণ্য পরিবহণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আর সে আইনকে তোয়াক্কা না করে ট্রাক্টর সড়ক-মহাসড়ক দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে। জীবননগর উপজেলায় প্রায় সবকটি সড়কে এর বিচরন দেখা যায়। বিশেষ করে জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ বাজার হতে মাধবপুর পর্যন্ত এই রাস্তাটিতে সবচেয়ে বেশি দানব রূপী ইট ভাটার মাটি টানা ট্রাক্টরের চলাচল করে থাকে। এ ছাড়াও বালিহুদা হতে রায়পুর বাজারে যাতায়াতের প্রধান সড়কে ইট ভাটার ট্রাক্টর চলাচলের কারণে সড়কের প্রায় সব জায়গাতেই অসংখ্য খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আর এই খানা খন্দ রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে মাটি দিয়ে। ফলে যেকোন যানবাহন চলাচল করলেই উড়ন্ত ধুলার কুয়াশাই ঢেকে যাচ্ছে রাস্তাগুলো। ফলে পথচারীরা পড়ছেন বিপাকে, দুর্ঘটনার কবলে। তাছাড়া যারা শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত তাদের ক্ষতি হচ্ছে বেশি। কৃষিকাজ ব্যাতিত অন্যান্য কাজে ট্রাক্টর চলাচল বন্ধ করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।