উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতির অপসারনের দাবিতে : শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন ও মানববন্ধন অব্যাহত

- আপডেট সময় : ০৫:১৯:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০১৭ ৪১৫ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: রোববার সকাল থেকেই উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পরিবেশ ছিল থমথমে এবং উত্তেজনাকর। ছাত্রীদের চোখে ছিলো বিদ্রোহের আগুন। শনিবার সকালের ঘটনায় তেতে ছিলো বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা। এদিন বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে কারন ছাড়াই শ্রেণি কক্ষ থেকে বের করে দেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সালাউদ্দীন কাজল। তার অপরাধ, তার দাদার মৃত্যু শোকে মঙ্গলবার হতে বৃহস্পতিবার মোট তিনদিন ক্লাসে অনুপস্থিত ছিলো সে। এই অপরাধে তাকে শ্রেণি কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। এই ঘটনা ছাড়াও সভাপতির বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতাসহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে মানহানীকর আচরণের অভিযোগ রয়েছে। ক্ষুব্ধ এক ছাত্রী জানায়, বর্তমান সভাপতি প্রায়ই কারনে অকারনে শ্রেণী কক্ষে ঢুকে যুক্তিসঙ্গত কারণে অনুপস্থিত ছাত্রীদের সম্পর্কে প্রায়শই অশালীন মন্তব্য করেন। অন্য একটি শিক্ষার্থীও অভিযোগ করে বলে, তাকে স্যার না বললে তিনি স্কুল থেকে ফোর্স টিসি দিয়ে শিক্ষা জীবন চিরতরে বন্ধ করে দেবেন বলে হুমকী দিয়ে থাকেন। এমনি হাজারো অভিযোগ করে প্রতিবাদী ছাত্রীরা। তার অশালীন আচরনে এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা এবং সভাপতির অপসারণ চেয়ে তিন ঘন্টা রাস্তা অবরোধসহ মানববন্ধন করে। এসময় অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের মানববন্ধন বন্ধে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। কয়েকজন অভিভাবক তো প্রকাশ্যেই সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তার অশালীন আচরণের বর্ননা দিলেন। এ ঘটনা এখন জীবননগর উপজেলায় চায়ের কাপে ঝড় বইছে। কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকায় সত্য ঘটনা তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশিত হলেও একটি স্থানীয় পত্রিকায় সভাপতির পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করায় শিক্ষার্থীসহ অভিভাবক মহল অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ ঘটনায় গঠিত জীবননগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত প্রতিনিধি দল গতকাল সোমবার উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে যান। সেখানে দিনব্যাপী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে বর্ননা শোনেন এবং তা লিপিবদ্ধ করেন। এদিকে তদন্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতেও শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে আগামী সোমবারের মধ্যে সভাপতির অপসারণসহ দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি তোলে। তাদের দাবি না মানা হলে সোমবার হতে আর তারা স্কুলে আসবে না বলে জানায়। তবে চলমান রয়েছে তাদের ক্লাস বর্জন কর্মসূচী। এদিকে, অভিভাবকেরা বিদ্যালয়ের সভাপতি সালাউদ্দিন কাজলের বিরুদ্ধে উপবৃত্তির টাকা ও ছাড়পত্র প্রাপ্তিতে জটিলতা সৃষ্টিসহ অশালীন আচরণের অভিযোগ এনে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন বলে জানা যায়।