চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে বাংলাভিশন এর বর্ষবরণে বক্তাদের অভিন্ন উক্তি : সুস্থধারার সংস্কৃতি চর্চা ও সঠিক খবর সবার আগে

- আপডেট সময় : ০৩:০৮:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০১৭ ২৪৮ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাভিশনে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে যেমন সুস্থ ধারার সংস্কৃতির ছোঁয়া, তেমনই সঠিক সংবাদও দেয় সবার আগে। চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরে বাংলাভিশনের ১২ বছরে পদার্পন উৎসবে বক্তারা এ মন্তব্য করে বলেন, ১২ বছর ধরে বাংলাভিশন শুধু দেশেই নয়, বিশ্বজুড়ে বাংলাভাষা-ভাষি সকলের হৃদয়ের বৈদ্যুতিন গণমাধ্যম হিসেবে ঠাঁই করে নিয়েছে। সফল হোক, স্বার্থক হোক বাংলাভিশনের অগ্রযাত্রা। বাংলাভিশনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধান কার্যালয় ঢাকার নূরটাওয়াওে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ছিলো দেশের শীর্ষস্থানীয় জ্ঞানীগুণিদের পদচারণাসহ কেককাটার উৎসবে মাতোয়ারা। আর জেলায় জেলায়, বিভাগে বিভাগে ছিলো মন মাতানো আয়োজন। চুয়াডাঙ্গাতেও তার কমতি ছিলো না। গতকাল সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সর্বস্তরের উপস্থিতি আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তোলে। উৎসবের পোষাকে বর্ণাঢ্য সাজে সজ্জিত হয়ে বের হয় শোভাযাত্রা। জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে ফিরে মিলিত হয় আলোচনাসভায়। প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রাজ্জাক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি আজাদ মালিতা, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা সভাপতি মাহাতাব উদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খূস্তার জামিল, জেলা বিএনপির য্গ্মু আহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান বুলা। এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত বৈদ্যুতিন ও মূদ্রণ গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, সুশিল সমাজসহ বাংলাভিশনের সর্বস্তরের সাধারন দর্শকদের অনেকে। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাভিশনের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি সরদার আল আমিন। আলোচনাসভা শেষে শিশু সাফিউল আমিন শীর্ষকে সাথে নিয়ে অতিথিরা কেক কেটে একে অপরের মুখে তুলে দিয়ে উৎসবস্থল মাতিয়ে তোলেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন ইসলাম রকিব। আপ্যায়ন পর্ব শেষে লাল সবুজ আবির মেখে মোটরসাইকেল যোগে মোটরসাইকেল র্যালী জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় রাস্তার পাশে বাংলাভিশনের দর্শকদের অনেকেই হাত নেড়ে স্বাগত জানান। টাউনফুটবল মাঠের নিকট র্যালী পৌছুলে তাতে যোগ দেন নাইটিঙ্গেল একাডিমির পরিচালকসহ প্রতিষ্ঠানের খেলোয়াড়েরা। আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, বাংলাভিশনের বছর জুড়েই থাকে সাজানো অনুষ্ঠান মালা। বিশেষ দিনগুলো উপলক্ষে বিশেষ আয়োজনেও থাকে এগিয়ে। অপ সংস্কৃতি রোখার চেষ্টাতেও ঘাটতি নেই। রাজনীতির খবর, খেলার খবরে যেমন বস্তুনিষ্ঠতা, তেমনই ঢাকার বাইরের খবরেও দেয়া হয় যথাযথ গুরুত্ব। সব মিলিয়ে চমৎকার। এই বেসরকারি চ্যানেলটির বর্ষবরণ আয়োজনে চুয়াডাঙ্গার আয়োজনে সর্বস্তরের অংশগ্রহণ তারই অন্যতম উদাহরণ।