দুনিয়া ত্যাগ করতে বলেনি ইসলাম

- আপডেট সময় : ০৪:৪৮:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০১৭ ৪৪০ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: পৃথিবীর সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ ধর্ম ইসলাম। এখানে দুনিয়া-আখেরাত সবকিছুর সমন্বয় করা হয়েছে। ইসলাম সবকিছু ত্যাগ করে ধর্ম নিয়ে মেতে থাকতে যেমন বলেনি তেমনি ধর্ম বাদ দিয়ে সবকিছু নিয়ে পড়ে থাকতেও বলেনি। সবকিছুর সমন্বয় করে চলার নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। দুনিয়াবিরাগী হয়ে সারা দিন আল্লাহর ইবাদতে নিমগ্ন থাকতে ইসলাম বলেনি। দুনিয়ার সঙ্গে থেকে, এর যাবতীয় বিষয়াদির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করে দীনের পথে চলার প্রবক্তা ইসলাম। নিয়ম মেনে চললে এখানে দুনিয়াও দীনে পরিণত হয়ে যায়। একবার তিন ব্যক্তি রাসুলের ইবাদত-বন্দেগি সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের লক্ষ্যে এলেন। যখন তাদেরকে জানানো হলো, রাসুল (সা.) কেমন ইবাদত বন্দেগি করেন, তখন তারা তার সামনে নিজেদের ইবাদত বন্দেগিকে অত্যন্ত কম ও নগণ্য মনে করলেন। তারা মনে মনে বললেল রাসুলের (সা.) সামনে আমরা কোথায়? তার তো আগেও কোনো গোনাহ ছিল না, পরেও কোনো গোনাহ হবে না। আর আমরা তো নিষ্পাপ নই। কাজেই আমাদের বেশি করে ইবাদত বন্দেগি করা উচিত। এরপর তাদের একজন বললেন, আমি সব সময় নফল ইবাদত করে পুরো রাত কাটিয়ে দেব। আরেকজন বললেন আমি সবসময় নফল রোজা রাখব, দিনের বেলা কখনো পানাহার করব না। আর একজন বললেন আমি সব সময় নারীদের এড়িয়ে চলব, কখনো বিয়ে করব না। রাসুল (সা.) যখন এসব জানতে পারলেন তখন তাদের ডেকে বললেন, তোমরাই কি এসব কথা বলছিলে? তারপর তিনি বললেন শোন, আমি আল্লাহকে তোমাদের চেয়ে বেশি ভয় করি এবং তার অবাধ্যতা বেশি এড়িয়ে চলি। অথচ আমি কখনও নফল রোজা রাখি, আবার কখনও রাখি না। রাত্রে আমি কখনও নফল পড়ি, আবার কখনও ঘুমাই। আর আমি বিয়েও করেছি। রাসুল (সা.) বলেন, কাজেই আমার রীতিনীতি অনুসরণ করাতেই তোমাদের কল্যাণ নিহিত। যে ব্যক্তি আমার রীতিনীতির গুরুত্ব দেয় না ও উপেক্ষা করে, তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। (মুসলিম) অনেকেই ধর্মকর্মের দিকে ঝুঁকে দুনিয়ার সবকিছু ত্যাগ করে বসেন। এটা প্রিয়নবীর (সা.) সুন্নত নয়। আল্লাহর রাসুলের দেখানো পথে চলাই হচ্ছে প্রকৃত দীনদারি। তিনি যেহেতু দুনিয়ার সবকিছু ঠিক রেখে দীনের ওপর চলেছেন আমাদেরও সেটাই করা উচিত।