চলে গেলেন কিংবদন্তি খল অভিনেতা মিজু আহম্মেদ

- আপডেট সময় : ০৫:৩৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০১৭ ৬৯৭ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশীয় চলচ্চিত্রের বর্ষীয়ান অভিনেতা মিজু আহমেদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। গতকাল সোমবার রাতে ট্রেনে দিনাজপুর যাওয়ার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে ৮টার দিকে ট্রেনের ভেতরেই হার্ট অ্যাটাক হয় বাংলা চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান এই খলনায়কের। পরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গুণী এই অভিনেতার মৃত্যুর খবরে চলচ্চিত্র অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। হাসপাতালে ছুটে আসেন চিত্রনায়ক রিয়াজ, আমিন খান, অভিনেতা মিশা সওদাগরসহ আরও অনেকেই। জানা গেছে, হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে রাতেই মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে মিজু আহমেদের পান্থপথের কনকর্ড টাওয়ারের বাসায়। মিজু আহমেদ ১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম মিজানুর রহমান। শৈশব থেকে থিয়েটারের প্রতি আগ্রহী ছিলেন তিনি। কুষ্টিয়ার স্থানীয় একটি নাট্যদলে যোগ দেন। এরপর ১৯৭৮ সালে ‘তৃষ্ণা’ ছবির মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন মিজু আহমেদ। কয়েক বছরের মধ্যে ঢালিউডে খলনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান তিনি। অসাধারণ অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯২ সালে সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন মিজু আহমেদ। অভিনয়ের পাশাপাশি মিজু আহমেদ একজন প্রযোজক হিসেবেও ছিলেন সফল। তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম ফ্রেন্ডস মুভিজ।
তার অভিনীত ছবিগুলো মধ্যে হচ্ছে তৃষ্ণা (১৯৭৮), মহানগর (১৯৮১), স্যারেন্ডার (১৯৮৭), চাকর (১৯৯২), সোলেমান ডাঙ্গা (১৯৯২), ত্যাগ (১৯৯৩), বশিরা (১৯৯৬), আজকের সন্ত্রাসী (১৯৯৬), হাঙ্গর নদী গ্রেনেড (১৯৯৭), কুলি (১৯৯৭), লাঠি (১৯৯৯), লাল বাদশা (১৯৯৯), গুন্ডা নাম্বার ওয়ান (২০০০), ঝড় (২০০০), কষ্ট (২০০০), ওদের ধর (২০০২), ইতিহাস (২০০২), ভাইয়া (২০০২), হিংসা প্রতিহিংসা (২০০৩), বিগ বস (২০০৩), আজকের সমাজ (২০০৪), মহিলা হোস্টেল (২০০৪), ভন্ড ওঝা (২০০৬) ইত্যাদি। তৃষ্ণা সিনেমায় অভিনয় করে তিনি ১৯৯২ সালে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।