চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস’র বাল্য বিয়েকে লাল কার্ড কর্মসূচীকে বৃদ্ধাঙ্গলী : আজ বিয়ের পিঁড়িতে বসবে এক স্কুলছাত্রী!

- আপডেট সময় : ০৪:১৬:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০১৭ ৩৮৬ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাল্য বিবাহকে লাল কার্ড দেখিয়ে দেশব্যাপী সাড়া ফেলেছে চুয়াডাঙ্গার মেয়েরা। যার শুরুটা চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকেই করেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। এদিকে আজ সেই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীরই বিয়ে। বাল্যবিয়ে দিয়ে তার জীবন থেকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে শিক্ষার আলো। ফুটফুটে মেধাবী ওই ছাত্রী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত বলে জানা গেছে। তার নামের অদ্যক্ষর (প)। সে চুয়াডাঙ্গা দৌলতদিয়াড়ের আলফা লেদের স্বত্বাধিকারী মজনুর রহমানের মেয়ে।
এদিকে এক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ওই স্কুলছাত্রীর নানার বাড়ি দর্শনাতে। সেই সূত্রে দর্শনা শহরের এক ধর্ণাঢ্য ব্যবসায়ী যুবকের সাথে তার শুভ বিবাহের আয়োজন করা হয়েছে। ওই ছাত্রীর শুভবিবাহ উপলক্ষে বেশ ঘটা করে আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা দোউলতদিয়াড়ের মার্কাজ মসজিদের সামনে তাদের বাড়িতে। শুভ বিবাহ উপলক্ষে পুরো বাড়ি আলোকসজ্জায় ঝলমলে করা হয়েছে এবং অতিথিদের আগমনে উৎসবমূখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। আজ শুক্রবার তার বিয়ে। এভাবেই নিভে যেতে বসেছে একটি জলন্ত শিখা। কোমলমতি ওই ছাত্রী হয়তো স্কুল জীবনটা আর বন্ধু-বান্ধবের সাথে হেসে খেলে কাঁটাতে পারবে না। বিয়ের পর সংসার জীবন কাল হয়ে দাঁড়াবে তার দুরন্ত জীবনের। এর প্রতিবাদ না হলে এভাবে আরো অনেক স্কুল ছাত্রীই তার মত বাল্য বিয়ের স্বীকার হয়ে অকালে স্কুল জীবন হতে ঝরে পড়বে বলে মনে করছে তার সহপাঠিরা। অচিরেই এ বাল্যবিয়ে বন্ধে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও তার সহপাঠিরা।