দামুড়হুদায় সুদের টাকা আদায় করতে না পেরে নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন!

- আপডেট সময় : ০১:৫৫:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০১৬ ৩০৫ বার পড়া হয়েছে
দর্শনা অফিস: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা কলোনি পাড়ায় সুদের টাকা আদায় করতে না পারায় সেলিনা খাতুন (৩৬) নামে এক গৃহবধুকে নারকেল গাছে ঁেবধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছে সুদখোর রাবেয়াসহ তার লোক জন। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিতা সেলিনা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা কলোনি পাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে নির্যাতিতা সেলিনা বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় রাবেয়াসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করে। এর পর সোনাহার খাতুন (২০) কে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ ও এলাকা বাসির সূত্রে জানাযায়, উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা কলোনি পাড়ার নঈম উদ্দীনের স্ত্রী রাবেয়া বেগমের কাছ থেকে প্রতিবেশী সেলিনা খাতুন ৬৫ হাজার টাকা ধার নেয় । এলাকার গন্যমান্য লোকজনদের উপস্থিতে ২০ আগে ঋনের টাকা পরিশোধ করে সেলিনা। গত বৃহস্পতিবার সকালে রাবেয়া ও তার মেয়ে সোনাহার প্রতিবেশী সেলিনার বাড়িতে যায়। পরিশোধকৃত ৬৫ টাকার সুদ বাবদ ২৫ হাজার টাকা দাবি করে সেলিনার কাছে।সে দিতে অস্কৃতি জানালে রাবেয়াসহ ৪/৫ জন তাকে জোর র্পূবক ধরে নিয়ে গিয়ে নিজ বাড়ির উঠোনে নারকেল গাছে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। এর পর মারপিট করে নির্যাতন করে তারা। এ সময় সেলিনার শিশু কন্যা কবিতা ও মুরাদ চিৎকার দিয়ে কান্না কাটি করতে থাকলে এলাকাবাসি এগিয়ে আসে। নির্যাতনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কিছু বলতে সাহস পায়নি। নির্যাতনের এক ঘন্টা পর গ্রামের গন্যমান্য লোকজনদের অনুরোধে সেলিনাকে ছেড়ে দেয় রাবেয়াসহ তার লোকজন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সেলিনা বাদি হয়ে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করলে রাবেয়ার মেয়ে সোনাহার খাতুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দামুড়হুদা থানার ওসি আবু জিহাদ ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হওয়ার পর দুপুরেই সোনারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরকে ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।