‘জাকির নায়েক ইস্যুতে ভারতের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ’

- আপডেট সময় : ০৭:৩৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০১৬ ৩১৪ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিতর্কিত ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ভারত কি পদক্ষেপ নেয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন তার দেশে জাকির নায়েকের পিস টিভির সম্প্রচারকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবার ভারত কি কঠোর পদক্ষেপ নেয়, সেদিকেই আমরা তাকিয়ে রয়েছি। ইনু বলেন ‘বাংলাদেশের অধিকাংশ আলেম উলামা জাকির নায়েকের ভাষণ ও শিক্ষাপদ্ধতির বিরোধিতা করেছেন। গত একবছর ধরে তারা জাকিরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। এরপর তার বক্তব্য পরীক্ষা করা হয়েছে। আমরা মনে করি কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোরান ও হাদিসের সঙ্গে জাকির নায়েকের ভাষণ সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এব্যাপারে বাংলাদেশের মতামত অত্যন্ত স্পষ্ট, আমরা পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছি। পাশাপাশি জাকির সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য আমাদেরকে দেয়ার জন্য ভারত সরকারকেও বলা হয়েছে এবং তারা এব্যাপারে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। প্রসঙ্গত গত ১ জুলাই ঢাকার গুলশন হামলার পরই জাকির নায়েকের নাম উঠে আসে। জানা যায় হামলায় যুক্ত দুই জঙ্গি জাকিরের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। বিষয়টি সামনে আসার পরই ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার জাকিরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে মুম্বাইয়ে অবস্থিত তার সংস্থা ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের দফতরে অভিযান চালিয়ে সিল গালা করে দেয়া হয়। আলাদা করে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও জাকিরের এনজিও’র বিরুদ্ধে ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে ইনু বলেন ‘গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় আমাদের হাতে যে তথ্য উঠে এসেছে তা হল এই হামলার পেছনে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-র সদস্যরাই জড়িত, এর সঙ্গে কোন বিদেশি শক্তির হাত নেই’। অত্যন্ত সুপরিকল্পিত উপায়ে এই দুইটি হামলা সংগঠিত করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি। তথ্য মন্ত্রী আরো বলেন মুক্তমনা, ব্লগার ও সুফি সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর প্রায় ৪৩ টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে জেএমবি’র সম্পৃক্ততা রয়েছে’। তবে বাংলাদেশের সন্ত্রাসের প্রেক্ষিত অন্য ধরনের বলেও মন্তব্য করেছেন হাসানুল হক ইনু। তার দাবি ‘তথা কথিত মৌলবাদ বলতে যা বোঝায় বাংলাদেশে তা নেই। পাকিস্তান, আফগানিস্তান কিংবা মধ্য প্রাচ্যের মতো সন্ত্রাস এখানে নেই। তবে বাংলাদেশের কিছু মানুষ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত রয়েছে’।