হজ পালনে বিলম্ব নয়

- আপডেট সময় : ০৯:২৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৬ ৪১১ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: কোনো মুসলমান হজ করার সামর্থ্যবান হলে বিলম্ব না করে ওই বছরই তার হজ আদায় করা কর্তব্য। নতুবা বিলম্বজনিত গুনাহগার হবে। বিলম্ব করে পরবর্তী কোনো বছরে আদায় করলেও হজ হয়ে যাবে। কিন্তু অহেতুক বিলম্ব করা অনুচিত। কেননা হজ অনাদায়ী রেখে মৃত্যুবরণ করলে মারাত্মক গুনাহ হবে। হজ আদায়ের পূর্বে অসুস্থ হয়ে পড়লে এবং সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে তার জীবদ্দশায়ই বদলি হজ করানো উচিত। আর এ সুযোগও না পেলে ওই ব্যক্তির বদলি হজ আদায় করে তাকে দায়মুক্ত করা ওয়ারিশদের কর্তব্য। কেননা হজ সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর আল্লাহ তায়ালার হক। আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তির কাবাঘর পর্যন্ত পৌঁছার সামর্থ্য থাকে তার ওপর হজ আল্লাহ তায়ালার হক। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর ঘরে পৌঁছার জন্য পাথেয় ও বাহন পেল অথচ হজ আদায় করল না, সে ব্যক্তি ইহুদি অথবা খ্রিস্টান হয়ে মৃত্যুবরণ করুক, এতে আল্লাহর কিছু আসে যায় না। (তিরমিজি)। প্রকৃত আল্লাহপ্রেমিক কাবা দর্শনের জন্য প্রতিটি মুহূর্তই পাগলপারা হয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকে। তারা হজের সামর্থ্যবান হওয়ার পর বিলম্ব করার কল্পনাও করতে পারে না। হজরী দশম বছরে চারদিকে ঘোষণা দেয়া হলো, রাসুলুল্লাহ (সা.) এ বছর হজ করবেন। তা শুনে অসংখ্য লোক মদিনায় এসে জমায়েত হলো। বাহনে চড়তে পারে অথবা হাঁটতে পারেÑ এ রকম কোনো ব্যক্তি অবশিষ্ট রইল না। সবাই এসেছেন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে বের হওয়ার জন্য। সবার উদ্দেশ্য, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অনুসরণ করে তাঁর মতোই হজের আমল সম্পন্ন করা। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) সবার উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন এবং বললেন, মদিনাবাসীর ইহরাম বাঁধার স্থান হচ্ছে, যুল-হুলাইফা। অন্যপথের লোকদের ইহরাম বাঁধার স্থান আল-জুহফা, ইরাকবাসীর ইহরাম বাঁধার স্থান যাতু ইরক। নজদবাসীর ইহরাম বাঁধার স্থান করণ এবং ইয়ামানবাসীর ইহরাম বাঁধার স্থান ইয়ালামলাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) জিলকদ মাসের পাঁচ দিন অথবা চার দিন অবশিষ্ট থাকতে বের হলেন এবং হাদি তথা কোরবানির পশু পাঠিয়ে দিলেন। সাহাবায়ে কেরাম তাঁর সঙ্গে বের হলেন। তাঁদের সঙ্গে ছিল মহিলা ও শিশু…। অতএব যাদের ওপর হজ ফরজ হয়েছে, তাদের বিলম্ব না করে অতি দ্রুত হজব্রত পালন করা উচিত। মহান আল্লাহ সহায় হোন।