ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষক নিবন্ধনে বেসরকারি স্কুলে চাকরি, শূন্য পদ ৯৭ হাজার চাকরিপ্রার্থী ৩০ হাজার!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৪ বার পড়া হয়েছে


এ পর্যন্ত ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এখনো চাকরি পাননি এমন কয়েক লাখ প্রার্থী মেধা তালিকায় রয়েছেন, যাদের বয়স ইতিমধ্যে ৩৫ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। তাদের তৈরি করা নিয়ম অনুযায়ী, বয়স ৩৫-এর বেশি হলে বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করার সুযোগ হারাবেন। এছাড়া এবার নতুন শর্ত যুক্ত করে দিয়েছে। এর ফলে ১৬ ও ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে মোট ১৮ হাজার ৫৫০ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। আর ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে। এতে উত্তীর্ণ হন ২৩ হাজার ৯৮৫ জন। এ দুটি পরীক্ষায় মাত্র ৪২ হাজার ৫৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন।
এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান জানিয়েছেন, ১৮তম নিবন্ধনধারীদের মধ্যে ৮০ শতাংশই আগের বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ পেয়েছেন। ফলে প্রার্থী আরো কমে গেছে। আর চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, এই নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের মধ্যে কারো কারো বয়স ৩৫ শেষ হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী এই প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন না। ফলে ১৬ ও ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ ৩০ হাজার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন। এই সংখ্যা আরো কমও হতে পারে। ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর ৬৮ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল এনটিআরসিএ। ঐ সময়ও মাত্র ২৭ হাজার ৭৪ জন নিয়োগ পেয়েছিলেন। বাকি সব পদ শূন্য ছিল। এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, অনেক পদ শূন্য থাকলেও প্রার্থী কম থাকবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কিছুই নেই।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চাকরিপ্রার্থী বলছেন, এনটিআরসিএর অদক্ষতায় এমনটি হচ্ছে। তাদের অদক্ষতায় প্রতিবারই শূন্য পদ থেকে যাচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এই সংস্থার সমন্বয়হীনতার অভাব রয়েছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থায় যোগ্য কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিলে এই সমস্যার সমাধান হতো। ১৫ বছরে তারা মাত্র চারটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পেরেছে। প্রতিনিয়ত তারা সিদ্ধান্ত বদল করছে। প্রার্থীদের নিয়ে তারা গবেষণা করছেন, শিখছেন। আর এ কারণে শূন্য পদ থাকার পরও চাকরি পাচ্ছেন না যোগ্য প্রার্থীরা।
মিজানুর রহমান নামে নবম নিবন্ধনধারী গণিতের এক প্রার্থী বলেন, ‘আমরা যখন নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ করি, তখন এনটিআরসিএ জানিয়েছিল, ৪০ মার্কস পেয়ে পাশ করলেই শিক্ষক হওয়া যাবে। এখন তারা বর্তমান নিবন্ধের সঙ্গে পূর্বের নিবন্ধনধারীদের মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে, এটা নিবন্ধনধারীদের সঙ্গে অনেক বড় একটা অন্যায়। নিবন্ধন পাশ করে অনার্স মাস্টার্স প্রথম শ্রেণি পেয়েও একটা স্কুল মাদ্রাসায় চাকরি হয় না, একজন ছাত্রের জন্য এর চেয়ে কষ্টের আর কোনো বিষয় হতে পারে না। কারণ সিদ্ধান্ত বারেবারে বদল করা হচ্ছে।
আমিরুল ইসলাম নামে এক প্রার্থী বলেন, ‘আমরা পাশ করার পরে এনটিআরসিএ শিক্ষক নিয়োগ তাদের নিজের আয়ত্তে নিল। সেই শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া করতে তাদের কয়েক বছর লেগে যায়। অথচ প্রতি বছর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কথা ছিল। আগের প্রতিটা গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়সের ছাড় ছিল। এবার কী এমন হলো, তারা বয়সের কোনো ছাড় দিল না? অথচ গত কয়েকটা গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়সের ছাড় থাকায় ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীর চাকরি হয়েছে।
সব নিবন্ধনধারীর কথা বিবেচনা করে সার্কুলার পুনর্বিবেচনার দাবি জানান এই প্রার্থী। এর আগে বয়সের সীমা শিথিল এবং সব নিবন্ধনধারীর আবেদনের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানালে তা আমলে নেয়নি এই সংস্থা। তবে এনটিআরসিএ জানিয়েছে, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আবেদনকারী প্রার্থীর চেয়ে শূন্য পদ কয়েক গুণ কম থাকবে-এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, সেখানে ঠিক উলটো চিত্র দেখা গেছে। আবেদনকারীর চেয়ে তিন গুণ বেশি শূন্য পদের সংখ্যা। ফলে সবাই নিয়োগ পাওয়ার পরও এক-তৃতীয়াংশ পদ শূন্য থাকবে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক দেয় এনটিআরসিএ। মূলত সরকারি এই সংস্থা শিক্ষক নিয়োগের জন্য সঠিক কৌশল নির্ধারণ করতে না পারায় এমনটি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। আর এতে ভুগছেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রার্থীরা বলছেন, কয়েক লাখ চাকরিপ্রার্থী থাকলেও এই সংস্থা এমন শর্ত জুড়ে দিয়েছে, যাতে আবেদন করার যোগ্যতা মাত্র এক-তৃতীয়াংশ চাকরিপ্রার্থীর রয়েছে।
গত ৩১ মার্চ এনটিআরসিএ স্কুল ও কলেজের ৪৩ হাজার ২৮৬টি এবং মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০টিসহ মোট ৯৬ হাজার ৭৩৬টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু আবেদনের জন্য যে শর্ত দেওয়া হয়েছে, তাতে মাত্র ৩০ হাজার নিবন্ধনধারী আবেদন করার সুযোগ পাবে। ১৭ এপ্রিল থেকে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন শুরু হবে, যা চলবে ৯ মে পর্যন্ত।
নিয়ম অনুযায়ী, প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীদের মেধাক্রম তৈরি করে এনটিআরসিএ। এরপর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সংস্থাটি। ঐ গণবিজ্ঞপ্তির আলোকে এই মেধা তালিকায় থাকা প্রার্থীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। কেন্দ্রীয়ভাবে কে কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের যোগ্য, তা নির্ধারণ করে দেয় এই সংস্থা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শিক্ষক নিবন্ধনে বেসরকারি স্কুলে চাকরি, শূন্য পদ ৯৭ হাজার চাকরিপ্রার্থী ৩০ হাজার!

আপলোড টাইম : ০৯:০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪


এ পর্যন্ত ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এখনো চাকরি পাননি এমন কয়েক লাখ প্রার্থী মেধা তালিকায় রয়েছেন, যাদের বয়স ইতিমধ্যে ৩৫ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। তাদের তৈরি করা নিয়ম অনুযায়ী, বয়স ৩৫-এর বেশি হলে বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করার সুযোগ হারাবেন। এছাড়া এবার নতুন শর্ত যুক্ত করে দিয়েছে। এর ফলে ১৬ ও ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে মোট ১৮ হাজার ৫৫০ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। আর ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে। এতে উত্তীর্ণ হন ২৩ হাজার ৯৮৫ জন। এ দুটি পরীক্ষায় মাত্র ৪২ হাজার ৫৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন।
এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান জানিয়েছেন, ১৮তম নিবন্ধনধারীদের মধ্যে ৮০ শতাংশই আগের বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ পেয়েছেন। ফলে প্রার্থী আরো কমে গেছে। আর চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, এই নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের মধ্যে কারো কারো বয়স ৩৫ শেষ হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী এই প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন না। ফলে ১৬ ও ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ ৩০ হাজার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন। এই সংখ্যা আরো কমও হতে পারে। ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর ৬৮ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল এনটিআরসিএ। ঐ সময়ও মাত্র ২৭ হাজার ৭৪ জন নিয়োগ পেয়েছিলেন। বাকি সব পদ শূন্য ছিল। এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, অনেক পদ শূন্য থাকলেও প্রার্থী কম থাকবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কিছুই নেই।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চাকরিপ্রার্থী বলছেন, এনটিআরসিএর অদক্ষতায় এমনটি হচ্ছে। তাদের অদক্ষতায় প্রতিবারই শূন্য পদ থেকে যাচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এই সংস্থার সমন্বয়হীনতার অভাব রয়েছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থায় যোগ্য কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিলে এই সমস্যার সমাধান হতো। ১৫ বছরে তারা মাত্র চারটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পেরেছে। প্রতিনিয়ত তারা সিদ্ধান্ত বদল করছে। প্রার্থীদের নিয়ে তারা গবেষণা করছেন, শিখছেন। আর এ কারণে শূন্য পদ থাকার পরও চাকরি পাচ্ছেন না যোগ্য প্রার্থীরা।
মিজানুর রহমান নামে নবম নিবন্ধনধারী গণিতের এক প্রার্থী বলেন, ‘আমরা যখন নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ করি, তখন এনটিআরসিএ জানিয়েছিল, ৪০ মার্কস পেয়ে পাশ করলেই শিক্ষক হওয়া যাবে। এখন তারা বর্তমান নিবন্ধের সঙ্গে পূর্বের নিবন্ধনধারীদের মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে, এটা নিবন্ধনধারীদের সঙ্গে অনেক বড় একটা অন্যায়। নিবন্ধন পাশ করে অনার্স মাস্টার্স প্রথম শ্রেণি পেয়েও একটা স্কুল মাদ্রাসায় চাকরি হয় না, একজন ছাত্রের জন্য এর চেয়ে কষ্টের আর কোনো বিষয় হতে পারে না। কারণ সিদ্ধান্ত বারেবারে বদল করা হচ্ছে।
আমিরুল ইসলাম নামে এক প্রার্থী বলেন, ‘আমরা পাশ করার পরে এনটিআরসিএ শিক্ষক নিয়োগ তাদের নিজের আয়ত্তে নিল। সেই শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া করতে তাদের কয়েক বছর লেগে যায়। অথচ প্রতি বছর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কথা ছিল। আগের প্রতিটা গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়সের ছাড় ছিল। এবার কী এমন হলো, তারা বয়সের কোনো ছাড় দিল না? অথচ গত কয়েকটা গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়সের ছাড় থাকায় ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীর চাকরি হয়েছে।
সব নিবন্ধনধারীর কথা বিবেচনা করে সার্কুলার পুনর্বিবেচনার দাবি জানান এই প্রার্থী। এর আগে বয়সের সীমা শিথিল এবং সব নিবন্ধনধারীর আবেদনের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানালে তা আমলে নেয়নি এই সংস্থা। তবে এনটিআরসিএ জানিয়েছে, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আবেদনকারী প্রার্থীর চেয়ে শূন্য পদ কয়েক গুণ কম থাকবে-এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, সেখানে ঠিক উলটো চিত্র দেখা গেছে। আবেদনকারীর চেয়ে তিন গুণ বেশি শূন্য পদের সংখ্যা। ফলে সবাই নিয়োগ পাওয়ার পরও এক-তৃতীয়াংশ পদ শূন্য থাকবে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক দেয় এনটিআরসিএ। মূলত সরকারি এই সংস্থা শিক্ষক নিয়োগের জন্য সঠিক কৌশল নির্ধারণ করতে না পারায় এমনটি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। আর এতে ভুগছেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রার্থীরা বলছেন, কয়েক লাখ চাকরিপ্রার্থী থাকলেও এই সংস্থা এমন শর্ত জুড়ে দিয়েছে, যাতে আবেদন করার যোগ্যতা মাত্র এক-তৃতীয়াংশ চাকরিপ্রার্থীর রয়েছে।
গত ৩১ মার্চ এনটিআরসিএ স্কুল ও কলেজের ৪৩ হাজার ২৮৬টি এবং মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০টিসহ মোট ৯৬ হাজার ৭৩৬টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু আবেদনের জন্য যে শর্ত দেওয়া হয়েছে, তাতে মাত্র ৩০ হাজার নিবন্ধনধারী আবেদন করার সুযোগ পাবে। ১৭ এপ্রিল থেকে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন শুরু হবে, যা চলবে ৯ মে পর্যন্ত।
নিয়ম অনুযায়ী, প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীদের মেধাক্রম তৈরি করে এনটিআরসিএ। এরপর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সংস্থাটি। ঐ গণবিজ্ঞপ্তির আলোকে এই মেধা তালিকায় থাকা প্রার্থীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। কেন্দ্রীয়ভাবে কে কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের যোগ্য, তা নির্ধারণ করে দেয় এই সংস্থা।