ইপেপার । আজ শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার চলন্ত রয়েল এক্সপ্রেসের নৈশকোচে ঘুমন্ত যাত্রীকে ধর্ষণ অপচেষ্টার ঘটনা চালক ও হেলপারসহ নৈশকোচ আটক : সুপারভাইজার মিল্টনের গাঢাকা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৩০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ১১৬৯ বার পড়া হয়েছে

fghrftrtyrtsdবিশেষ প্রতিবেদক: চলন্ত গাড়ীতে ধর্ষণ অপচেষ্টার ঘটনায় রয়েল এক্সপ্রেসের চালক ও হেলপারসহ রয়েল এক্সপ্রেসের নৈশকোচটি ঢাকার দারুচ্ছালাম থানায় আটক রাখা হয়েছে। দায়িত্বশীল ও বিশেষ একটি সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্ত পলাতক সুপারভাইজার মিল্টন ওরফে লিঙ্কনকে উল্লেখিত থানায় হাজির না করা পর্যন্ত চালক ও হেলপারকে থানা হেফাজতেই আটক রাখা হবে। এদিকে, সুপারভাইজার মিল্টনের এহেন ন্যাক্কারজনক এবং জঘন্য কর্মকান্ডের পরেও রয়েল এক্সপ্রেস কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় রয়েল পরিবহনের একাধিক নিয়মিত যাত্রী পরিবহণ কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযুক্ত সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে। অন্যদিকে, রয়েল পরিবহন কর্তৃপক্ষ দারুচ্ছালাম থানায় আটক ড্রাইভার, হেলপার এবং কোচটি ছাড়ানোর জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত পলাতক সুপারভাইজার লম্পট মিল্টন চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার ইব্রাহীমপুর গ্রামের ছেলে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়া রয়েল এক্সপ্রেসের যাত্রী যুবতীকে একাধিকবার ধর্ষণ অপচেষ্টা চালায় সুপারভাইজার মিল্টন। পরে রাত আড়াইটার দিকে যাত্রীদের ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে ওই যুবতীর পোষাক খুলে ধর্ষণের অপচেষ্টা চালানোর সময় যুবতীর ঘুম ভেঙে গেলে সে চিৎকার করে। তার চিৎকারে অন্য যাত্রীরা সুপারভাইজারের হাত থেকে ওই যুবতীকে রক্ষা করে। উত্তেজিত যাত্রীদের হাত থেকে মিল্টনকে কৌঁশলে সরিয়ে নিরাপদ করে হেলপার মিলন ওই নৈশকোচের যাত্রীরা অভিযোগ করেছে। পরে ফেরীঘাটে পুলিশের স্মরণাপন্ন হয় কয়েকজন যাত্রী। কিন্তু পুলিশকে সুপারভাইজার মিল্টন ও হেলপার মিলন ম্যানেজ করে ফেরীঘাট পার হয় বলে যাত্রীরা জানায়। এরপর নবীননগরে স্পিডবেকারে চালক গাড়ির গতি কমালে হেলপারের সহযোগিতায় পালিয়ে যায় সুপারভাইজার মিল্টন। এসময় দু’জন যাত্রী সুপারভাইজার মিল্টনকে ধরতে গেলে সে ওই দু’জন যাত্রীকে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে পালিয়ে যায় বলে জানায় তারা। এবিষয়ে জানতে রয়েল পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার ফিট্টুর মোবাইলে কল দিলে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে রয়েল এক্সপ্রেসের চুয়াডাঙ্গা কাউন্টারে ফোন দিলে তারা কিছু জানে না বলে এই প্রতিবেদককে জানিয়েছে। এঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন যাত্রী সাংবাদিকদের জানান, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ থেকে রয়েল এক্সপ্রেসে আমাদের সন্তান, পরিবারের অন্য সদস্য এবং আমাদের রাত্রীকালিন যাত্রায় নিরাপত্তা ও সেবার মান নিশ্চিত না করতে পারলে সেবারমান হুমকীর মুখে পড়বে। রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালের রয়েল এক্সপ্রেসের কাউন্টারের স্টাফ জিয়া সমীকরণকে জানান, ওই নৈশকোচটি রাজধানীর দারুস সালাম থানায় আটক রাখা হয়েছে। চালক কুতুবউদ্দীন ও  হেলপার মিলনসহ কোচটি থানা হেফাজতে রেখেছে এবং আমাদের লোকজন থানায় গিয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। দৈনিক সময়ের সমীকরণ এ প্রকাশিত সংবাদটি পড়ার পর সাংবাদিকদের ধন্যবাদসহ চুয়াডাঙ্গার অভিভাবক মহল রয়েল এক্সপ্রেস পরিবহনের নৈশকোচে এরকম ঘটনায় ধিক্কার জানিয়েছেন। তারা আরও জানান, তাদের অনেকের মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। বেশিরভাগ সময় তারা একাই যাতায়াত করে থাকে। ট্রেনে ভ্রমণ ঝুকি ভেবেই তারা যাত্রীবাহী বাসে যাতায়াত করে। কিন্তু বাসে যদি এরকম ঘটনা ঘটে তাহলে তাদের নিরাপত্তা কোথায়?

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গার চলন্ত রয়েল এক্সপ্রেসের নৈশকোচে ঘুমন্ত যাত্রীকে ধর্ষণ অপচেষ্টার ঘটনা চালক ও হেলপারসহ নৈশকোচ আটক : সুপারভাইজার মিল্টনের গাঢাকা

আপলোড টাইম : ০২:৩০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০১৭

fghrftrtyrtsdবিশেষ প্রতিবেদক: চলন্ত গাড়ীতে ধর্ষণ অপচেষ্টার ঘটনায় রয়েল এক্সপ্রেসের চালক ও হেলপারসহ রয়েল এক্সপ্রেসের নৈশকোচটি ঢাকার দারুচ্ছালাম থানায় আটক রাখা হয়েছে। দায়িত্বশীল ও বিশেষ একটি সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্ত পলাতক সুপারভাইজার মিল্টন ওরফে লিঙ্কনকে উল্লেখিত থানায় হাজির না করা পর্যন্ত চালক ও হেলপারকে থানা হেফাজতেই আটক রাখা হবে। এদিকে, সুপারভাইজার মিল্টনের এহেন ন্যাক্কারজনক এবং জঘন্য কর্মকান্ডের পরেও রয়েল এক্সপ্রেস কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় রয়েল পরিবহনের একাধিক নিয়মিত যাত্রী পরিবহণ কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযুক্ত সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে। অন্যদিকে, রয়েল পরিবহন কর্তৃপক্ষ দারুচ্ছালাম থানায় আটক ড্রাইভার, হেলপার এবং কোচটি ছাড়ানোর জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত পলাতক সুপারভাইজার লম্পট মিল্টন চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার ইব্রাহীমপুর গ্রামের ছেলে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়া রয়েল এক্সপ্রেসের যাত্রী যুবতীকে একাধিকবার ধর্ষণ অপচেষ্টা চালায় সুপারভাইজার মিল্টন। পরে রাত আড়াইটার দিকে যাত্রীদের ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে ওই যুবতীর পোষাক খুলে ধর্ষণের অপচেষ্টা চালানোর সময় যুবতীর ঘুম ভেঙে গেলে সে চিৎকার করে। তার চিৎকারে অন্য যাত্রীরা সুপারভাইজারের হাত থেকে ওই যুবতীকে রক্ষা করে। উত্তেজিত যাত্রীদের হাত থেকে মিল্টনকে কৌঁশলে সরিয়ে নিরাপদ করে হেলপার মিলন ওই নৈশকোচের যাত্রীরা অভিযোগ করেছে। পরে ফেরীঘাটে পুলিশের স্মরণাপন্ন হয় কয়েকজন যাত্রী। কিন্তু পুলিশকে সুপারভাইজার মিল্টন ও হেলপার মিলন ম্যানেজ করে ফেরীঘাট পার হয় বলে যাত্রীরা জানায়। এরপর নবীননগরে স্পিডবেকারে চালক গাড়ির গতি কমালে হেলপারের সহযোগিতায় পালিয়ে যায় সুপারভাইজার মিল্টন। এসময় দু’জন যাত্রী সুপারভাইজার মিল্টনকে ধরতে গেলে সে ওই দু’জন যাত্রীকে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে পালিয়ে যায় বলে জানায় তারা। এবিষয়ে জানতে রয়েল পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার ফিট্টুর মোবাইলে কল দিলে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে রয়েল এক্সপ্রেসের চুয়াডাঙ্গা কাউন্টারে ফোন দিলে তারা কিছু জানে না বলে এই প্রতিবেদককে জানিয়েছে। এঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন যাত্রী সাংবাদিকদের জানান, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ থেকে রয়েল এক্সপ্রেসে আমাদের সন্তান, পরিবারের অন্য সদস্য এবং আমাদের রাত্রীকালিন যাত্রায় নিরাপত্তা ও সেবার মান নিশ্চিত না করতে পারলে সেবারমান হুমকীর মুখে পড়বে। রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালের রয়েল এক্সপ্রেসের কাউন্টারের স্টাফ জিয়া সমীকরণকে জানান, ওই নৈশকোচটি রাজধানীর দারুস সালাম থানায় আটক রাখা হয়েছে। চালক কুতুবউদ্দীন ও  হেলপার মিলনসহ কোচটি থানা হেফাজতে রেখেছে এবং আমাদের লোকজন থানায় গিয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। দৈনিক সময়ের সমীকরণ এ প্রকাশিত সংবাদটি পড়ার পর সাংবাদিকদের ধন্যবাদসহ চুয়াডাঙ্গার অভিভাবক মহল রয়েল এক্সপ্রেস পরিবহনের নৈশকোচে এরকম ঘটনায় ধিক্কার জানিয়েছেন। তারা আরও জানান, তাদের অনেকের মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। বেশিরভাগ সময় তারা একাই যাতায়াত করে থাকে। ট্রেনে ভ্রমণ ঝুকি ভেবেই তারা যাত্রীবাহী বাসে যাতায়াত করে। কিন্তু বাসে যদি এরকম ঘটনা ঘটে তাহলে তাদের নিরাপত্তা কোথায়?