ইপেপার । আজ বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে ইয়ন এগ্রো লিমিটেড কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ এলিট ভুট্টা বীজ রোপনে বিপাকে কৃষকেরা : ক্ষতিপূরণের দাবি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:১২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ২২৫০ বার পড়া হয়েছে

IMG_20170109_171519_488

তিতুদহ প্রতিনিধি: রাস্তায় বের হলেই মাইকে একেরপর এক উচ্চস্বরে বিজ্ঞাপণ ইয়ন এগ্রো লিমিটেড কোম্পানির “এলিট দেশের সেরা ভুট্টা সবচেয়ে বেশিহারে ফলনের মধ্য অন্যতম একই গাছে ডাবল ভুট্টা মোচা” এসব বিজ্ঞাপণের উপর ভরসা করে গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষগুলো এলাকার বিভিন্ন ডিলারের কাছ থেকে ক্রয় করে এলিট ভূট্টা বীজ। নিয়মানুযায়ী তা রোপনও করে। নেয় বিশেষ যতœ এবং দেয় নিয়মানুযায়ী কীটনাশক ও সার। কিন্তু ভূট্টা বীজ রোপনের ৩ মাস পার হয়ে গেলেও লক্ষ করা যাচ্ছে ভূট্টা চারা তেমন গুণগত মানের না। অনেক দিন ধরে চারা বড় হতে সময় নিলেও ভূট্টার মোচা বলতে গাছে কিছুই নাই বিজ্ঞাপণের সময় তখন বলা হয়েছিলো গাছ প্রতি দুইটা করে মোচা ধরবে আর এখন দেখা যাচ্ছে গাছ প্রতি একটা করে সেটাও আবার চিকন। অনেক গাছে আবার মোচা বলতে কিছুই নাই। ভুট্টা বীজ বিক্রয় ডিলারদের নিয়মানুযায়ী বীজ রোপন করলেও ভূট্টা চারা হয়ে গেছে ফাঁকা ফাঁকা। সেখানে বিঘা প্রতি অনেক ভূট্টার হিসাবতো দুরের কথা ভুট্টা হওয়ার কোন সম্ভাবনই নেই। কৃষি প্রধান আমাদের এই বাংলাদেশ। এদেশের অধিকাংশ মানুষই  প্রায় কৃষির ওপর নির্ভরশীল সেই কৃষি ক্ষেত্রেই যদি হয় অনিয়ম দূর্নীতি তাহলেতো দেশে বড় ধরনের খাদ্য অভাব সমস্যার দিকে ধাবিত হতে বেশি দেরি থাকতে পারে না। ঠিক তেমনই সমস্যার চিত্র ফুটে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার তিতুদহের খাড়াগোদা,জামালপুর, তেঘরী, কলাগাছি এবং ঝিনাইদহের ১নং সাধুহাটি ইউপির মোহাম্মদপুর, গোবিন্দপুর, বংকিরা ছাড়া অনেক গ্রামের কৃষকের জমিতে। যেখানে কৃষকেরা তাদের জমিতে ভুট্টা আবাদের জন্য বীজ ক্রয় করতে যান মোহাম্মদপুর গ্রামের আলাউদ্দীন মাষ্টারের পুত্র শিহাব উদ্দীনের বিশ্বাস ট্রেডাস থেকে যা খাড়াগোদা বাজারে অবস্থিত। শিহাব সমীকরণকে বীজের অভিযোগ তুলে ধরে বলেন যে সে  নিজে গোবিন্দপুর মাঠে দুবিঘা জমিতে এই এলিট ভুট্টা বীজ নিজ জমিতে রোপন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া অন্যরাও তার থেকে বীজ নিয়ে ক্ষতি সাধিত হয়েছে এতে  ক্ষতিপূরন দাবীর জন্য কৃষকেরা বারবার শিহাবকে উত্তেজনা সৃষ্টির হুমকির কথা আসছে বলে জানান তিনি।শিহাবের দোকানের সমস্ত এলিট ভুট্টা বীজ নেওয়া ছিল সরোজগঞ্জ করিম বীজ ভান্ডার থেকে তাই শিহাব দ্রুত এলিট বীজের ডিলার সরোজগঞ্জ বাজারের করিম রহমানকে জানালে করিম বীজ কর্মকর্তাকে জানান তারা বীজের দায়ভার রাখতে বা ক্ষতিপূরন দিতে রাজি হবে কি তা নিদ্দিষ্টভাবে বলে নি বলে জানান শিহাব উদ্দীন। জানাগেছে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের মধ্যে অধিকাংশ অভাবী এবং ফসলে এতবড় সমস্যা দেখা দিলে তাহারা আরও ভেঙ্গে পড়েছে। তাই ভুট্টা চাষে ক্ষতিগ্রস্ত নিরীহ চাষীদের চাওয়া সংশ্লি¬ষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তা যদি তাদের দিকে সুনজর দেন এবং এবিষয়ে দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নেন তাহলে এই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে ইয়ন এগ্রো লিমিটেড কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ এলিট ভুট্টা বীজ রোপনে বিপাকে কৃষকেরা : ক্ষতিপূরণের দাবি

আপলোড টাইম : ১২:১২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০১৭

IMG_20170109_171519_488

তিতুদহ প্রতিনিধি: রাস্তায় বের হলেই মাইকে একেরপর এক উচ্চস্বরে বিজ্ঞাপণ ইয়ন এগ্রো লিমিটেড কোম্পানির “এলিট দেশের সেরা ভুট্টা সবচেয়ে বেশিহারে ফলনের মধ্য অন্যতম একই গাছে ডাবল ভুট্টা মোচা” এসব বিজ্ঞাপণের উপর ভরসা করে গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষগুলো এলাকার বিভিন্ন ডিলারের কাছ থেকে ক্রয় করে এলিট ভূট্টা বীজ। নিয়মানুযায়ী তা রোপনও করে। নেয় বিশেষ যতœ এবং দেয় নিয়মানুযায়ী কীটনাশক ও সার। কিন্তু ভূট্টা বীজ রোপনের ৩ মাস পার হয়ে গেলেও লক্ষ করা যাচ্ছে ভূট্টা চারা তেমন গুণগত মানের না। অনেক দিন ধরে চারা বড় হতে সময় নিলেও ভূট্টার মোচা বলতে গাছে কিছুই নাই বিজ্ঞাপণের সময় তখন বলা হয়েছিলো গাছ প্রতি দুইটা করে মোচা ধরবে আর এখন দেখা যাচ্ছে গাছ প্রতি একটা করে সেটাও আবার চিকন। অনেক গাছে আবার মোচা বলতে কিছুই নাই। ভুট্টা বীজ বিক্রয় ডিলারদের নিয়মানুযায়ী বীজ রোপন করলেও ভূট্টা চারা হয়ে গেছে ফাঁকা ফাঁকা। সেখানে বিঘা প্রতি অনেক ভূট্টার হিসাবতো দুরের কথা ভুট্টা হওয়ার কোন সম্ভাবনই নেই। কৃষি প্রধান আমাদের এই বাংলাদেশ। এদেশের অধিকাংশ মানুষই  প্রায় কৃষির ওপর নির্ভরশীল সেই কৃষি ক্ষেত্রেই যদি হয় অনিয়ম দূর্নীতি তাহলেতো দেশে বড় ধরনের খাদ্য অভাব সমস্যার দিকে ধাবিত হতে বেশি দেরি থাকতে পারে না। ঠিক তেমনই সমস্যার চিত্র ফুটে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার তিতুদহের খাড়াগোদা,জামালপুর, তেঘরী, কলাগাছি এবং ঝিনাইদহের ১নং সাধুহাটি ইউপির মোহাম্মদপুর, গোবিন্দপুর, বংকিরা ছাড়া অনেক গ্রামের কৃষকের জমিতে। যেখানে কৃষকেরা তাদের জমিতে ভুট্টা আবাদের জন্য বীজ ক্রয় করতে যান মোহাম্মদপুর গ্রামের আলাউদ্দীন মাষ্টারের পুত্র শিহাব উদ্দীনের বিশ্বাস ট্রেডাস থেকে যা খাড়াগোদা বাজারে অবস্থিত। শিহাব সমীকরণকে বীজের অভিযোগ তুলে ধরে বলেন যে সে  নিজে গোবিন্দপুর মাঠে দুবিঘা জমিতে এই এলিট ভুট্টা বীজ নিজ জমিতে রোপন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া অন্যরাও তার থেকে বীজ নিয়ে ক্ষতি সাধিত হয়েছে এতে  ক্ষতিপূরন দাবীর জন্য কৃষকেরা বারবার শিহাবকে উত্তেজনা সৃষ্টির হুমকির কথা আসছে বলে জানান তিনি।শিহাবের দোকানের সমস্ত এলিট ভুট্টা বীজ নেওয়া ছিল সরোজগঞ্জ করিম বীজ ভান্ডার থেকে তাই শিহাব দ্রুত এলিট বীজের ডিলার সরোজগঞ্জ বাজারের করিম রহমানকে জানালে করিম বীজ কর্মকর্তাকে জানান তারা বীজের দায়ভার রাখতে বা ক্ষতিপূরন দিতে রাজি হবে কি তা নিদ্দিষ্টভাবে বলে নি বলে জানান শিহাব উদ্দীন। জানাগেছে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের মধ্যে অধিকাংশ অভাবী এবং ফসলে এতবড় সমস্যা দেখা দিলে তাহারা আরও ভেঙ্গে পড়েছে। তাই ভুট্টা চাষে ক্ষতিগ্রস্ত নিরীহ চাষীদের চাওয়া সংশ্লি¬ষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তা যদি তাদের দিকে সুনজর দেন এবং এবিষয়ে দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নেন তাহলে এই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারবে।