ইপেপার । আজ বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

দামুড়হুদা উপজেলায় মাদকের ছড়াছড়ি চারদিকে! সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা এলাকাবাসীর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:০৩:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ৩৮৬ বার পড়া হয়েছে

dfgaS

নিজস্ব প্রতিবেদক: দামুড়হুদা উপজেলায় প্রায় সব ধরনের মাদকদ্রব্য অতি সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। এক কথায় মাদকের ছড়াছড়ি চারদিকে। হাত বাড়ালেই মেলে ফেনসিডিল, হেরোইন, গাঁজা, বাংলা মদ ও ইয়াবার মতো মাদকদ্রব্য। পুলিশ প্রশাসনের দুর্বলতার সুযোগে মাদকের রমরমা কারবার চালিয়ে যাচ্ছে মাদক কারবারিরা। এসব মাদকদ্রব্য সহজলভ্য হওয়ায় এর নেশার ফাঁদে পা দিয়ে ধ্বংস হচ্ছে এলাকার কিশোর, ছাত্র ও যুব সমাজ। অনুসন্ধান চালিয়ে জনা গেছে, উপজেলার অন্তত ১০০টির বেশি স্পটে বেচাকেনা চলছে এসব মাদকদ্রব্য। উল্লেখযোগ্য স্পটগুলো হচ্ছে দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনার শান্তিপাড়া, ঈশ্বরচন্দপুর, তমালতলা, র্ফামপাড়া, আকুন্দবাড়িয়া, উপজেলার, চিৎলা, লোকনাথপুর, জয়রামপুর, ভগিরাথপুর, কার্পাসডাঙ্গা, মুন্সিপুর। এসব স্পটে অবাধে চলছে সর্ব প্রকার মাদকদ্রব্যের বেচাকেনা ও সেবন। খুচরা বিক্রেতাদের হাতঘুরে এসব স্পট থেকেই চলে যাচ্ছে সেবনকারীদের হাতে। এছাড়া মোটরসাইকেলযোগে ভ্রাম্যমান মাদক বিক্রেতার একটি দল পুরো উপজেলা চষে বেড়াচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মাদক সেবী জানিয়েছে, ডাবলু আর নামের প্রতিটি ইয়াবা ট্যাবলেট ১২০ থেকে ২০০, আর-৭ ইয়াবা ১৫০ থেকে ৩০০, ফেনসিডিল প্রতি বোতল ৫০০ থেকে ৬০০, হেরোইন প্রতি পুরিয়া ১৫০ থেকে ১৮০ এবং গাঁজা প্রতি পুরিয়া ২০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  এসব মাদক দ্রব্যের বেশির ভাগ ক্রেতা স্কুল-কলেজের তরুণ-মেধাবি শিক্ষার্থীরা। এতে লাভবান হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী, পুলিশ। কিন্তু সর্বনাশ হচ্ছে কিশোর ও যুব সমাজের। যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খ্যাত ইয়াবা সহজ লভ্য হওয়ায় স্কুল কলেজের ছেলেরা এর প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়ছে। এসব বন্ধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। এমনকি সামাজিকভাবেও কোনো আন্দোলন গড়ে ওঠছে না। ফলে দিন দিন বেড়েই চলেছে মাদকের ব্যাপকতা। আর এর সর্বনাশা ছোবলে ধ্বংশ হচ্ছে এলাকার কিশোর, ছাত্র ও যুব সমাজ। এসব মাদকদ্রব্যের হাত থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সু-দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করছেন অভিভাবকসহ এলাকার সচেতন মানুষ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

দামুড়হুদা উপজেলায় মাদকের ছড়াছড়ি চারদিকে! সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা এলাকাবাসীর

আপলোড টাইম : ১২:০৩:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০১৭

dfgaS

নিজস্ব প্রতিবেদক: দামুড়হুদা উপজেলায় প্রায় সব ধরনের মাদকদ্রব্য অতি সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। এক কথায় মাদকের ছড়াছড়ি চারদিকে। হাত বাড়ালেই মেলে ফেনসিডিল, হেরোইন, গাঁজা, বাংলা মদ ও ইয়াবার মতো মাদকদ্রব্য। পুলিশ প্রশাসনের দুর্বলতার সুযোগে মাদকের রমরমা কারবার চালিয়ে যাচ্ছে মাদক কারবারিরা। এসব মাদকদ্রব্য সহজলভ্য হওয়ায় এর নেশার ফাঁদে পা দিয়ে ধ্বংস হচ্ছে এলাকার কিশোর, ছাত্র ও যুব সমাজ। অনুসন্ধান চালিয়ে জনা গেছে, উপজেলার অন্তত ১০০টির বেশি স্পটে বেচাকেনা চলছে এসব মাদকদ্রব্য। উল্লেখযোগ্য স্পটগুলো হচ্ছে দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনার শান্তিপাড়া, ঈশ্বরচন্দপুর, তমালতলা, র্ফামপাড়া, আকুন্দবাড়িয়া, উপজেলার, চিৎলা, লোকনাথপুর, জয়রামপুর, ভগিরাথপুর, কার্পাসডাঙ্গা, মুন্সিপুর। এসব স্পটে অবাধে চলছে সর্ব প্রকার মাদকদ্রব্যের বেচাকেনা ও সেবন। খুচরা বিক্রেতাদের হাতঘুরে এসব স্পট থেকেই চলে যাচ্ছে সেবনকারীদের হাতে। এছাড়া মোটরসাইকেলযোগে ভ্রাম্যমান মাদক বিক্রেতার একটি দল পুরো উপজেলা চষে বেড়াচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মাদক সেবী জানিয়েছে, ডাবলু আর নামের প্রতিটি ইয়াবা ট্যাবলেট ১২০ থেকে ২০০, আর-৭ ইয়াবা ১৫০ থেকে ৩০০, ফেনসিডিল প্রতি বোতল ৫০০ থেকে ৬০০, হেরোইন প্রতি পুরিয়া ১৫০ থেকে ১৮০ এবং গাঁজা প্রতি পুরিয়া ২০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  এসব মাদক দ্রব্যের বেশির ভাগ ক্রেতা স্কুল-কলেজের তরুণ-মেধাবি শিক্ষার্থীরা। এতে লাভবান হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী, পুলিশ। কিন্তু সর্বনাশ হচ্ছে কিশোর ও যুব সমাজের। যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খ্যাত ইয়াবা সহজ লভ্য হওয়ায় স্কুল কলেজের ছেলেরা এর প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়ছে। এসব বন্ধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। এমনকি সামাজিকভাবেও কোনো আন্দোলন গড়ে ওঠছে না। ফলে দিন দিন বেড়েই চলেছে মাদকের ব্যাপকতা। আর এর সর্বনাশা ছোবলে ধ্বংশ হচ্ছে এলাকার কিশোর, ছাত্র ও যুব সমাজ। এসব মাদকদ্রব্যের হাত থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সু-দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করছেন অভিভাবকসহ এলাকার সচেতন মানুষ।