দামুড়হুদা পল্লীবিদুৎ অফিসের ইনর্চাজ গোলাম আজমের বিরুদ্ধে অভিযোগ বয়স্ক গ্রাহককে অফিসে ডেকে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত : ক্ষোভের সৃষ্টি
- আপলোড টাইম : ০১:৫৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০১৭
- / ৩৬০ বার পড়া হয়েছে
দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা পল্লীবিদুৎ অফিসের ইনর্চাজ গোলাম আজমের বিরুদ্ধে গ্রাহককে বিদুৎ অফিসে ডেকে নিয়ে শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাযায়, দামুড়হুদা উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রমের মৃত. মোমিন উল্লার ছেলে মোঃ আবুল হোসেন (৫৫) দীর্ঘ দিন থেকে তার নিজ মটর থেকে বাড়ির আঙ্গীনায় সবজি ক্ষেতে পানি দেন। এখবর পেয়ে গত সোমবার দামুড়হুদা পল্লীবিদুৎ অফিসের ইনর্চাজ এই গ্রাহকের বাড়ি যেয়ে মোটা অংকের টাকা দাবিসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়ে অফিসে দেখা করতে বলেন শারিরিক লাঞ্চিত গ্রাহক সাংবাদিকদের জানান। ঘটনার পরেরদিন মঙ্গলবার গ্রাহক অফিসে আসলে দামুড়হুদা পল্লীবিদুৎ অফিসের ইনর্চাজ গোলাম আজম বিভিন্ন ইঙ্গিতে দিয়ে গ্রাহককে বলেন, মানুষের রোগ হলে কি করতে হয়, ঔষধ কিনতে হয়, আপনার লাইনে রোগ হয়েছে আপনি ঔষধ কেনেন। তার মানে আমাকে টাকা দেন নইলে লাইন বিছিন্ন করা হবে। কিন্তু গ্রাহক তার বিভিন্ন কষ্টের কথা বললেও ইনর্চাজকে বললেও দামুড়হুদা পল্লীবিদুৎ অফিসের ইনর্চাজ গোলাম আজম নিজের ঘুষের জায়গায় অনড় থেকেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান আবুল হোসেন। কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকরা ইনর্চাজের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন এই ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। কিšু‘ তিনি পরক্ষনে কতিপয় কিছু ব্যাক্তিদের দিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। দামুড়হুদা উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রমের মৃত. মোমিন উল্লার ছেলে মোঃ আবুল হোসেন (৫৫) সাংবাদিকদের জানান, দামুড়হুদা পল্লি বিদুৎ অফিসের ইনর্চাজ গোলাম আজম আমার কাছে ঘুষের টাকা না পেয়ে আমাকে শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করে। আমি পল্লীবিদ্যুত এর জিএম বরাবর কর শারিরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাঠিয়েছি। শারিরিকভাবে অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকেরা দামুড়হুদা পল্লীবিদুৎ অফিসের ইনর্চাজ গোলাম আজমের সাথে পুনরায় কথা বলতে গেলে তিনি বলেন সব ম্যানেজ করে নিবো। জিএম স্যার আমার নিজের লোক। আপনারা যা খুশি লিখতে পারেন। দামুড়হুদা পল্লীবিদুৎ অফিসের ইনর্চাজ কর্তৃক গ্রাহক ও অসহায় কৃষক আবুল হোসনকে ঘুষ না দেওয়ায় ডেকে নিয়ে শারিরিকভাবে লাঞ্চিতের ঘটনায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পল্লীবিদুৎ গ্রাহকের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এবিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভূক্তভোগী মহল।