ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

দর্শনা কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের দিন ব্যাপী দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:১৩:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ৩৫৭ বার পড়া হয়েছে

M2 (2)

দর্শনা অফিস: আগামী ২১জানুয়ারী দর্শনা কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদিন ব্যাপী দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টায় দর্শনা কেরুজ মেইন গেটে এ সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তৈয়ব আলী। সকাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাঝে মধ্যে নামাজের বিরতি ও দুপুরের খাওয়ার বিরতি ছাড়া বিরতিহীন ভাবে শ্রমিক নেতারা শ্রমিকদের উদ্দ্যেশ্যে তাদের বক্তব্য দিতে থাকে। সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান বিগত দুই বছরে শ্রমিক ইউনিয়নের কর্যবিবরনী তুলে ধরে বক্তব্য রাখার পর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বি এসব প্রার্থীরা ভোটের আগে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বক্তব্য রাখেন। এরা হলেন, সভাপতি তৈয়ব আলী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, সভাপতি প্রার্থী হাফিজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মনিরুল ইসলাম প্রিন্স, ইসমাইল হোসেন। শ্রমিক নেতা ফারুক হোসেন, আতাউর রহমান, রেজাউল ইসলাম, খলিল আহম্মেদ, আজিজুল হক, হাজী আকরাম হোসেন, ইদ্রিস আলী, বাবর আলী মেম্বর, শাহিন আলম, শাহাজাহান আলী, জাহাঙ্গীর আলম লুল্লু, গোপাল হালদার, আব্দুর রাজ্জাক প্রমূখ। বক্তারা বলেন প্রতিবছর সাধারণ সভায় নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। শ্রমিকদের ভোটে নেতারা ক্ষমতায় যায়। শ্রমিকদের ন্যায় অধিকার আদায় ও শ্রমিকদের নানা ধরণের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার আদায় করার কথা থাকলেও সেখানে শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পাওয়না দিনের পর দিন হারাচ্ছে। পূর্বের ইতিহাস টেনে বলেন, শ্রকিমদের রেশন, পোষাক, ছাতা, টর্চ লাইট, ওভার টাইম, ইনক্রিমেন্টসহ সকল সুবিধা হারিয়ে যাচ্ছে। ভোটের আগের কথা আর পরের কথা বিস্তর ফারাক হয়ে যায়। তবে শ্রমিক নেতাদের উন্ন্য়ন হলেও শ্রমিকদের কোন উন্নয়ন হয় না। যত দিন যাচ্ছে তত শ্রমিরা ডে লেবারে পরিনত হচ্ছে। শ্রমিক আইন আর ১ম মে দিবস এসব এখন লোক দেখানো ছাড়া আর কিছুই না। এমনটি বললেন শ্রমিদের কেউ কেউ। সাধারণ সভা শেষে অর্থ মহা-ব্যবস্থাপক মোশারফ হোসেনকে নির্বাচন কমিশন, মহা-ব্যবস্থাপক প্রশাসনের আকুল হোসেনকে নির্বাচনী সচিব এবং আকরাম আলী শিকদার, আব্দুল ফাত্তা ও ফিদা বাদশাকে সদস্য সচিব করে ৫সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন পরিচালনা পরিষদ গঠন করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

দর্শনা কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের দিন ব্যাপী দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

আপলোড টাইম : ১২:১৩:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০১৭

M2 (2)

দর্শনা অফিস: আগামী ২১জানুয়ারী দর্শনা কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদিন ব্যাপী দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টায় দর্শনা কেরুজ মেইন গেটে এ সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তৈয়ব আলী। সকাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাঝে মধ্যে নামাজের বিরতি ও দুপুরের খাওয়ার বিরতি ছাড়া বিরতিহীন ভাবে শ্রমিক নেতারা শ্রমিকদের উদ্দ্যেশ্যে তাদের বক্তব্য দিতে থাকে। সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান বিগত দুই বছরে শ্রমিক ইউনিয়নের কর্যবিবরনী তুলে ধরে বক্তব্য রাখার পর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বি এসব প্রার্থীরা ভোটের আগে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বক্তব্য রাখেন। এরা হলেন, সভাপতি তৈয়ব আলী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, সভাপতি প্রার্থী হাফিজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মনিরুল ইসলাম প্রিন্স, ইসমাইল হোসেন। শ্রমিক নেতা ফারুক হোসেন, আতাউর রহমান, রেজাউল ইসলাম, খলিল আহম্মেদ, আজিজুল হক, হাজী আকরাম হোসেন, ইদ্রিস আলী, বাবর আলী মেম্বর, শাহিন আলম, শাহাজাহান আলী, জাহাঙ্গীর আলম লুল্লু, গোপাল হালদার, আব্দুর রাজ্জাক প্রমূখ। বক্তারা বলেন প্রতিবছর সাধারণ সভায় নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। শ্রমিকদের ভোটে নেতারা ক্ষমতায় যায়। শ্রমিকদের ন্যায় অধিকার আদায় ও শ্রমিকদের নানা ধরণের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার আদায় করার কথা থাকলেও সেখানে শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পাওয়না দিনের পর দিন হারাচ্ছে। পূর্বের ইতিহাস টেনে বলেন, শ্রকিমদের রেশন, পোষাক, ছাতা, টর্চ লাইট, ওভার টাইম, ইনক্রিমেন্টসহ সকল সুবিধা হারিয়ে যাচ্ছে। ভোটের আগের কথা আর পরের কথা বিস্তর ফারাক হয়ে যায়। তবে শ্রমিক নেতাদের উন্ন্য়ন হলেও শ্রমিকদের কোন উন্নয়ন হয় না। যত দিন যাচ্ছে তত শ্রমিরা ডে লেবারে পরিনত হচ্ছে। শ্রমিক আইন আর ১ম মে দিবস এসব এখন লোক দেখানো ছাড়া আর কিছুই না। এমনটি বললেন শ্রমিদের কেউ কেউ। সাধারণ সভা শেষে অর্থ মহা-ব্যবস্থাপক মোশারফ হোসেনকে নির্বাচন কমিশন, মহা-ব্যবস্থাপক প্রশাসনের আকুল হোসেনকে নির্বাচনী সচিব এবং আকরাম আলী শিকদার, আব্দুল ফাত্তা ও ফিদা বাদশাকে সদস্য সচিব করে ৫সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন পরিচালনা পরিষদ গঠন করা হয়।