মেহেরপুর গাংনীর নওপাড়া গ্রামে নির্মানাধীন বিদ্যালয়ের ভবনের সিঁড়ি ধসের ঘটনা যশোর আঞ্চলিক তত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন
- আপলোড টাইম : ০১:৪২:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০১৭
- / ৮২২ বার পড়া হয়েছে
গাংনী অফিস: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের নবীনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মানাধীন ভবনের সিড়ি ধসের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে যশোর আঞ্চলিক তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শফিউল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গতকাল রোববার বিকেলে তিনি মেহেরপুর নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপজেলাসহ এলজিইডির বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। প্রাথমিক তদন্তে নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে ভবনের কাজ তরিঘরি করে সম্পন্ন করা হয়েছে মন্তব্য করেন তিনি। ইতিমধ্যে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। এদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও কাজ বাস্তবায়ন কারী ঠিকাদার এমএ খালেক ও মুনায়েম হোসেন মোলাক শ্রমিকদের দায়ী করেছেন। তবে স্থানীয় জনগন ঠিকাদারী ও এলজিইডির কর্মকর্তাদের দায়ি করে মোটা অংকের টাকা লেনদেন হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।
যশোর আঞ্চলিক তত্বাবধায়বক প্রকৌশলী শফিউল আলম জানান, শনিবার ভবন ধসের সংবাদ পেয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ বন্ধ করার জন্য গাংনী উপজেলা প্রকৌশলীকে নিদের্শ দেন। এবং গতকাল রোববার তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এসময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজ বাস্তবায়ন কারী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক ও গাংনী পৌর যুবদলের সাবেক আহবায়ক মুনায়েম মোলাকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাস্থলে প্রাথমিক তদন্তে নি¤œমানের খোয়া, বালি ও সিমেন্টের ব্যবহার দেখতে পান। তিনি এ কাজে অষন্তোষ প্রকাশ করেন ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করতে উপজেলা প্রকৌশলীকে নিদের্শ প্রদান করেন এবং উচ্চ পযার্রে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী মাহাবুবুল হক জানান, ভবনের সিড়ি নির্মানের সময় কাজ বাস্তবায়ন কারী ঠিকাদারগণ তাকে অবহিত করেননি। এক্ষেত্রে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। এছাড়াও নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে নির্মাণ শ্রমিকদের উপর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দায় চাপাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন। ইতিমধ্যে কারণ দশানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। বিদ্যালয়ের পরিচালনায় পর্ষদের সভাপতি সমুন হোসেন বলেন, বিদ্যালয় ভবনের পুরো দ্বিতল ভবনটি নি¤œ মানের সামগ্রী দিয়ে নির্মিত। তাই প্রাকৃতিক দুযোর্গে ভবনটি ধসে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাণ হানীর সম্ভাবনা রয়েছে। সেহেতু বিদ্যালয় ভবনটি পূনরায় নিমার্ণ করার দাবি জানান। সাবেক পরিচলনা পর্ষদের সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ জাবের আলী জানান, কাজে অনিয়ম হওয়ায় আমি প্রতিবাদ করি। এতে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেকের লোকজন আমাকে ভয়ভীতি দেখায়। এক পর্যায়ে আমি কাজ ঠিকমত না করতে পেরে পদত্যাগ করে পরিচালনা পর্ষদের পদ ছেড়ে চলে যায়। এদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কয়েকজন সাংবাদিককে ম্যানেজা করেছেন ও আরো কয়েকজন সাংবাদিককে ম্যানেজের ব্যর্থ চেষ্টা চালান। গাংনী পৌর যুবদলের সাবেক আহবায়ক ঠিকাদার মুনায়েম হোসেন মোলাক জানান, এম এ খালেক ও আমি পার্টনারে কাজ গুলো করছি। এখানে আমাদের কোন দোষ নেই। মিস্ত্রীদের ভুলের কারণে এঘটনা ঘটে।