চুয়াডাঙ্গা রেলগেটে উড়াল সেতুর দাবীতে গণজমায়েত ও প্রতিবাদী মানববন্ধনে বক্তারা পরিস্থিতি আরো বেসামাল হওয়ার আগে দ্রুত সমস্যার সমাধানের আহ্বান
- আপলোড টাইম : ১০:২৪:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০১৭
- / ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে
শহর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা শহরের জনগুরুত্বপূর্ন রেল গেটে উড়াল সেতুর দ্বাবীতে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, চুয়াডাঙ্গা সংসদের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা রেল বাজারে এক গণজমায়েত ও প্রতিবাদী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আলোচনা করেন- চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তা, কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মনি, চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি রাজনীতিবিদ তৌহিদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পরিচালক জাহিদুল ইসলাম, রেল বাজার দোকান মালিক সমিতির সদস্য মুকুল হোসেন, চুয়াডাঙ্গা আলিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মওলানা মোঃ সাইফুল্লাহ, প্রভাষক আতিয়ার রহমান, রাজ ডেকোরেটরের সত্ত্বাধিকারী সাংবাদিক রিচার্ড রহমান, উদীচীর সহ-সভাপতি শাহীন সুলতানা মিলী সাধারণ সম্পাদক হাবিবি জহির রায়হান, চুয়াডাঙ্গা যুব ইউনিয়ন সংসদের আহ্বায়ক শাহেদ জামাল প্রমূখ। সঞ্চালক ছিলেন মিলন কুমার অধিকারী। বক্তারা বলেন, প্রতিদিন গড়ে ১৭টি ট্রেন আপ-ডাউন করার ফলে ৩৫ বার রেল-গেটটি প্রতিবারের জন্যই প্রায় আধা ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এসময় উভয় পাশে পথচারীসহ যানবাহনগুলো প্রতিনিয়ত যানজটে পড়ে। এছাড়া ৩/৪ ঘন্টা সময় প্রত্যোকদিন নষ্ট হচ্ছে। তাই আমাদের দ্বাবী রেল-ক্রসিংয়ে উড়াল সেতু নির্মাণ করতে হবে। তাহলে সময় যেমন বাঁচবে ঠিক তেমনি যানজট থেকে মুক্তি পাবে পথচারীসহ যানবাহনগুলো। রেল কোম্পানী মানুষের দূর্ভোগের কথা ভেবে রেল-ক্রসিংয়ের পাশে আন্ডার-পাস করেছিল। সেই আন্ডার-পাস আজ বেদখল হয়ে গেছে। উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা রেল স্টেশন মাস্টার সূত্রে জানা গেছে, দর্শনা ও চুয়াডাঙ্গার মাঝে মুন্সিগঞ্জ এবং আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গার মাঝে জয়রামপুর ও গাইদঘাট স্টেশনগুলোতে কোন স্টেশনমাস্টার পদ শুন্য থাকায় দর্শনা ও আলমডাঙ্গা থেকে ট্রেন ছাড়ার পর পরই চুয়াডাঙ্গা রেল-গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে দূর্ভোগ আগের থেকে বেড়েছে। চুয়াডাঙ্গা রেল কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন, পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরিস্থিতি আরও বেসামাল হওয়ার আগে দ্রুত সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানানো হয়।