মাহফিলগুলো হেদায়াতের আধার
- আপলোড টাইম : ০১:২৯:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৭
- / ৩৯৩ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: চলছে শীতকাল। গ্রামে-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায় প্রতিদিনই ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এত এত ওয়াজ মাহফিল সত্ত্বেও সমাজে ইতিবাচক কোনো প্রভাব পড়ছে না এমন কথা কেউ কেউ বলেন এবং এ নিয়ে কারো কারো আছে আক্ষেপ। তবে এগুলোর যে ইতিবাচক প্রভাব একদমই পড়ছে না তা কিন্তু নয়। ওয়াজ মাহফিলগুলোর দুটি প্রভাব চোখে পড়ার মতো। এর একটি সামাজিক আরেকটি ধর্মীয়। মাহফিলগুলো কেন্দ্র করে আমাদের সমাজে যে আবহ ও আবেদন তৈরি হয় তাতে সামাজিক অনাচার কিছুটা হলেও রোধ হয়। পতনোš§ুখ আমাদের এই সমাজব্যবস্থায় মাঝে মাঝে ধর্মীয় ও নৈতিকতার কিছু কথা মানুষের কানে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা না থাকলে এ সমাজ আরো অনেক আগেই পতনের অতলে হারিয়ে যেত। সমাজের যে সদস্য প্রতিটি মুহূর্ত অনৈতিক ভাবনা ও অবাঞ্ছিত কর্মকা-ে লিপ্ত তার কানে দীন-ধর্মের এ কথাগুলো কোনোভাবে ঢুকিয়ে দিলে তার অজান্তে হলেও মনের মধ্যে কিছুটা দাগ কাটবে। সে হয়তো রাতারাতি সঠিক পথের পথিক হয়ে যাবে না কিন্তু তার ভেতরে ধর্ম ও নৈতিকতার যে আঁচড় লেগেছে তা কি সহজেই মিটে যাবে? গায়ের জোরে সাময়িকভাবে বিবেকের ধাক্কা সামলে উঠলেও এর সুদূরপ্রসারী দংশন থেকে কি বাঁচতে পারবে? কোনো মাহফিলের ছোট্ট একটি কথা কিংবা নসিহত হয়তো তার জীবনের মোড় পরিবর্তনে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে। ওয়াজ মাহফিলগুলোর ধর্মীয় প্রভাবটাকেও খাটো করে দেখা উচিত নয়। এদেশের মানুষ ধর্মপ্রিয়, ধর্মানুরাগী, ধর্মভীরু এই যে অভিধাগুলো তাদের সঙ্গে লাগানো হয় এটা কি এমনিতেই হয়ে গেছে। এদেশে এমন অনেক আলেম-অলি-দরবেশ গত হয়েছেন যারা গ্রামে গ্রামে, শহরে শহরে ঘুরে মানুষকে দীনের পথে, শরীয়তের পথে আনার জন্য নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে গেছেন। মানুষের কানে কানে পৌঁছে দিয়েছেন ইসলামের অমীয় বার্তা। দাওয়াতি এই মিশন নিয়ে ছুটে গেছেন বাংলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। বিভিন্ন মাহফিল, সমাবেশ ও সম্মেলনের মাধ্যমেই দাওয়াতি এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। আমজনতার কানে দীনের কথাগুলো যত বেশি পৌঁছে দেয়া যাবে ততই তারা দীনের প্রতি ঝুঁকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এ কথা সত্য, আমাদের মাহফিলগুলো এখন আর আগের মতো সেই প্রভাবময় নয়। এর কারণ হলো ইখলাসের অনুপস্থিতি। সঠিক নিয়তে মাহফিলের আয়োজন এবং তাতে নসিহত করলে তা সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবেই।