চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ব্যবহারে অযোগ্য বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী ধ্বংস স্টোরকিপার পিয়াস সাংবাদিকদের বললেন ছবি তোলা যাবে না!
- আপলোড টাইম : ১২:১৩:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০১৭
- / ৪১৪ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ব্যবহারের অযোগ্য বিভিন্ন সামগ্রী পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। অব্যবহৃত নষ্ট ও পুরোনো বেডসিট, বালিশ, কভার, তুলা, ন্যাপকিন, ফোমসহ চিকিৎসা বিভিন্ন সামগ্রী ও উপকরণ পুড়িয়ে ধ্বংস করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গতকাল দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুরোনো ও নষ্ট সামগ্রী ধ্বংস করবে এ কর্মকান্ডের সময় তালবাহানার আশ্রয় নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাঁধাসহ অসদাচরণ করেন হাসপাতালের ষ্টোর কিপার হাফিজ রহমান পিয়াস।
সরেজমিনে জানা যায়, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর হাসপাতালের নবনির্মিত ২৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সম্মুখে লোকচক্ষুর আড়ালে এক গুপ্ত জায়গায় ধ্বংস কর্মকান্ড চালানো হয়। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ছুটে গেলে দায়িত্বে থাকা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষে ষ্টোর কিপার পিয়াস তাদের বাঁধা দেয়। সংবাদ সংগ্রহের কোনো প্রয়োজন নেয় বলে পিয়াস বলে “আমি সময় মত পূর্ণাঙ্গ প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে দেবো, এখানে ধ্বংস কর্মকান্ডের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ স্বাস্থ্য বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলো”। ছবি তুলতে চাইলে পিয়াসের সাথে থাকা লোকজন সাংবাদিকদের কাজে বাঁধা প্রদান করে।
সদর হাসাপাতালের (আরএমও) ডা. মাসুদ রানার সাথে কথা বলা হলে জানা যায়, গতকাল দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টুকটুক তালুকদার, সিভিল সার্জন ডা. মুহা. সিদ্দিকুর রহমান, ডা. পরিতোষ কুমার ঘোষ, এমওসিএস হাদী জিয়া উদ্দীনের উপস্থিতিতে ষ্টোর কিপার পিয়াসের সহায়তায় পুরোনো ও নষ্ট চিকিৎসা সামগ্রী পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এদিকে, কিছু সময় পর সকলে চলে গেলে ষ্টোর কিপার পিয়াস তার লোকজনদের নিয়ে এ কর্মকান্ডের নাটকীয়তা সৃষ্টি করে। প্রথমে ঐ এলাকায় সাংবাদিকদের প্রবেশ ও সংবাদ সংগ্রহে বাঁধাসহ অসাদাচরণও করে পিয়াস।
গোপন সূত্রে জানা যায়, এ সময় সাংবাদিকদের আড়াল করে আবর্জনা পুড়িয়ে তালিকায় প্রচুর পরিমাণে নষ্ট চিকিৎসা উপকরণ ধ্বংসের নমুনা তৈরী করা হয়। তাই সাংবাদিকরা গেলে সেখানে কারচুপির সুযোগ থাকবে না দেখেই আগে থেকেই তাদের সরাতে ব্যস্ত ছিলেন ষ্টোর কিপার পিয়াস। তবে তার এ ধরণের ব্যবহারের কারণ সম্পর্কে সাংবাদিক মহল অজ্ঞাত।