ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

কলাগাছি যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটির বেহালদশা দূর্ভোগে গ্রামবাসী : দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৪২:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে

received_238589849885896আকিমুল ইসলাম: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত তিতুদহের কলাগাছি। না আছে কোনো সরকারী ব্যবস্থাপনা, না আছে যোগাযোগের ভালো মাধ্যম। প্রায় ১৫০ ভোটারের ছোট্ট একটি গ্রাম কলাগাছি। যেখানে আছে হিন্দু, আছে মুসলমান। কিন্তু কলাগাছি যাবার একটি মাত্র রাস্তা যেটা বছরের সবসময়ই থাকে বেহালদশা। বর্ষার মৌসুমে বেড়ে যায় ভোগান্তি আরো এক ধাপ বেশি। শুরু হয় হাটু সমান কাঁদা। যে কাঁদা শুকাতে লেগে যায় শুষ্ক মৌসুম পর্যন্ত। আর শুষ্ক মৌসুমে উচু নিচু হয়ে যায় রাস্তার অধিকাংশ জায়গা। যে রাস্তা দিয়ে কোনো যানবহন তো দুরে থাক হেটে চলায় হয়ে যায় কষ্টকর। এ গ্রামেই আছে সরকারী একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যেখানে বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় অথৈয় কাঁদা জামায় ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষকদের বিপাকে পড়তে হয় বিদ্যালয়ে পৌছাতে। এটি গ্রামের একমাত্র রাস্তা হওয়ায় রেকর্ড আছে বর্ষা মৌসুমে ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যেতে গিয়ে পোশাকসহ বই কাঁদায় পড়ে নষ্ট হওয়ার। আর অসুস্থ ও ডেলিভারী রোগী নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় বছরের পুরোটা সময়ই। এই রাস্তার কারনেই অসুস্থ রোগীকে কাঙ্খিত সময়ে ডাক্তার কিংবা হাসপাতালে নিয়ে যেতে না পাড়ায় অনেক সময় ঘটে যায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা। শিশু কিংবা বৃদ্ধদের এই রাস্তায় চলাচল করতে হয় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। আর সাবালক যারা তাদেরও চলাচল করতে হয় ঝুকিপূর্নের কোল ঘেষে। রাস্তার এমন অবস্থা হওয়ায় অসুস্থ বা ডেলিভারী রোগীকে আনতে কোনো গাড়ি ই পাওয়া যায় না এ রাস্তার জন্য। গাড়ি পাইলেও গাড়ি ঠিক মতো পারে না কাঙ্কিত জায়গাতে পৌছাতে। ফলে এই রাস্তার কারনে এগ্রামের মানুষকে ভোগান্তিতে থাকতে হয় বছরের পুরোটা সময় জুড়েই। ভোট আসলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নানা প্রতিসূতি দিলেও ভোট শেষে তার কোনোটাই আর হয় না বাস্তবায়ন। এ গ্রামের যাবার বিকল্প রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করতে হলে পাড়ি দিতে হয় সাঁকো। যেটা বছরের অর্ধেক সময় পানিতে ঢুবে থাকে বাকি অর্ধেক সময় ভেঙে অচল হয়ে থাকে। তাই এ গ্রামের মানুষের চলাচলের কোনো রাস্তায় ঠিক ভাবে কপালে জুটে না। তাই রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করে তুলতে দ্রুত সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনজর কামনা করছে এলাকাবাসী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

কলাগাছি যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটির বেহালদশা দূর্ভোগে গ্রামবাসী : দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবী

আপলোড টাইম : ১১:৪২:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৭

received_238589849885896আকিমুল ইসলাম: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত তিতুদহের কলাগাছি। না আছে কোনো সরকারী ব্যবস্থাপনা, না আছে যোগাযোগের ভালো মাধ্যম। প্রায় ১৫০ ভোটারের ছোট্ট একটি গ্রাম কলাগাছি। যেখানে আছে হিন্দু, আছে মুসলমান। কিন্তু কলাগাছি যাবার একটি মাত্র রাস্তা যেটা বছরের সবসময়ই থাকে বেহালদশা। বর্ষার মৌসুমে বেড়ে যায় ভোগান্তি আরো এক ধাপ বেশি। শুরু হয় হাটু সমান কাঁদা। যে কাঁদা শুকাতে লেগে যায় শুষ্ক মৌসুম পর্যন্ত। আর শুষ্ক মৌসুমে উচু নিচু হয়ে যায় রাস্তার অধিকাংশ জায়গা। যে রাস্তা দিয়ে কোনো যানবহন তো দুরে থাক হেটে চলায় হয়ে যায় কষ্টকর। এ গ্রামেই আছে সরকারী একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যেখানে বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় অথৈয় কাঁদা জামায় ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষকদের বিপাকে পড়তে হয় বিদ্যালয়ে পৌছাতে। এটি গ্রামের একমাত্র রাস্তা হওয়ায় রেকর্ড আছে বর্ষা মৌসুমে ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যেতে গিয়ে পোশাকসহ বই কাঁদায় পড়ে নষ্ট হওয়ার। আর অসুস্থ ও ডেলিভারী রোগী নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় বছরের পুরোটা সময়ই। এই রাস্তার কারনেই অসুস্থ রোগীকে কাঙ্খিত সময়ে ডাক্তার কিংবা হাসপাতালে নিয়ে যেতে না পাড়ায় অনেক সময় ঘটে যায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা। শিশু কিংবা বৃদ্ধদের এই রাস্তায় চলাচল করতে হয় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। আর সাবালক যারা তাদেরও চলাচল করতে হয় ঝুকিপূর্নের কোল ঘেষে। রাস্তার এমন অবস্থা হওয়ায় অসুস্থ বা ডেলিভারী রোগীকে আনতে কোনো গাড়ি ই পাওয়া যায় না এ রাস্তার জন্য। গাড়ি পাইলেও গাড়ি ঠিক মতো পারে না কাঙ্কিত জায়গাতে পৌছাতে। ফলে এই রাস্তার কারনে এগ্রামের মানুষকে ভোগান্তিতে থাকতে হয় বছরের পুরোটা সময় জুড়েই। ভোট আসলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নানা প্রতিসূতি দিলেও ভোট শেষে তার কোনোটাই আর হয় না বাস্তবায়ন। এ গ্রামের যাবার বিকল্প রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করতে হলে পাড়ি দিতে হয় সাঁকো। যেটা বছরের অর্ধেক সময় পানিতে ঢুবে থাকে বাকি অর্ধেক সময় ভেঙে অচল হয়ে থাকে। তাই এ গ্রামের মানুষের চলাচলের কোনো রাস্তায় ঠিক ভাবে কপালে জুটে না। তাই রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করে তুলতে দ্রুত সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনজর কামনা করছে এলাকাবাসী।