ইপেপার । আজ শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

মোমিনপুরে পুত্রবধুর দেওয়া বিষে শশুরের মৃত্যু অভিযুক্ত পুত্রবধূকে গণধোলাই শেষে তালাবদ্ধ করলো গ্রামবাসী : থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৪২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ৪৯৫ বার পড়া হয়েছে

15822508_1712254332421078_889152955_nনিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের শরিষাডাঙ্গা গ্রামের ক্যানালপাড়ায় পুত্রবধূর দেওয়া বিষে বৃদ্ধ শ্বশুরের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত পুত্রবধূকে গ্রামবাসী গণধোলাই দেওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামের মাতুব্বরদের পরামর্শে তাকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। পুলিশ পৌছাঁলে অভিযুক্ত পুত্রবধূকে ছেড়ে দেয় গ্রামবাসী। এসময় অভিযুক্ত পুত্রবধূ নারগিস তার বাপের বাড়ী গাড়াবাড়ীয়া চলে যায় বলে জানাগেছে। তবে, নিশ্চিত হওয়া যায়নি কোথায় গেছে। জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা মোমিনপুর ইউনয়নের শরিষাডাঙ্গা গ্রামের ক্যনালপাড়ার মৃত ইয়াকুব বিশ্বাসের ছেলে রশিদ বিশ্বাস (৬৫) গতকাল সোমবার সকাল ৬টার দিকে তার ছেলে হাসেম আলীর বৌ নার্গিসের কাছে সকালে খাওয়ার ঔষধগুলোতে দিতে বললে পুত্রবধ নারগিস ঔষধের পরিবর্তে ঘরে থাকা বিষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মৃত রশিদ বিশ্বাস সরল মনে পুত্রবধুর দেওয়া ঔষধের পরিবর্তে বিষ নিজের হারনিয়া রোগের ঔষধ মনে করে খান। খাওয়ার কিছু পরে রশিদ বিশ্বাস ছটফট করতে থাকে। ইতোমধ্যে তার ছেলে বাজারে পান বেচে বাড়ীতে এসে দেখে তার বাবা ছটফট করছে ইয়াকুব তার বাবা রশিদকে বলে আব্বা ঔষধ খাননি? রশিদ ভাঙ্গা ভাঙ্গা কন্ঠে বলে বৌমা দিয়েছে আমি খেয়েছি। কিন্তু ঔষধ খাওয়ার পরে আমার গলা আটকে আসছে। হাসেম আলী তৎক্ষণা প্রতিবেশীদের সাথে নিয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে রশিদ বিশ্বাসের মৃত্যু হয়।
এবিষয়ে কয়েকজন প্রতিবেশি নাম না প্রকাশ শর্তে সময়ের সমীকরণকে বলেন, হাসেম আলীর বৌ নারগিস (৩৫) শশুর রশিদ বিশ্বাসকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে বিয়ের পর থেকেই। কিছুদিন আগে নারগিস শ্বশুরকে ঝাটা দিয়ে পিটিয়েছে। গতকাল সকাল ৬টার দিকে হারনিয়া রোগে অসুস্থ্য শশুরকে পুত্রবধু নারগিস ঔষধের বদলে ঘরে থাকা বিষ খেতে দেয়। কিছুক্ষনের মধ্যে রশিদ চাচা নেতিয়ে পড়লে পুত্রবধু নার্গিস মরমর বলে গালিগালাজ করতে  থাকে। সংবাদ পেয়ে মৃত রশিদ বিশ্বাসের ছেলে হাতেম আলী বাজার থেকে দ্রুত বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে গ্রাম্য চিকিৎককে ডেকে আনে। কিন্তু গ্রাম্য চিকিৎসক রশিদ চাচাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। হাসপাতালে নিতে গেলে সেখানেও পুত্রবধূ নারগিস বাধাঁ প্রদান করে। নারগিস তার স্বামীকে বলে, ওই বুড়ো বিষ খাইনি, অভিনয় করছে। তবে আমরা প্রতিবেশীরা জোর করে নচিমন যোগে হাসপাতালে নেওয়ার পথে বেলা ১১টার দিকে রশিদ চাচা মারা যায়। পরে সংবাদ পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের এসআই সুমন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্বার করে সুরত হাল রির্পোট করেন এবং লাশ ময়না তদন্ত করার জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এদিকে গতকাল নিহত রশিদের মেয়ে সালমা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

মোমিনপুরে পুত্রবধুর দেওয়া বিষে শশুরের মৃত্যু অভিযুক্ত পুত্রবধূকে গণধোলাই শেষে তালাবদ্ধ করলো গ্রামবাসী : থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের

আপলোড টাইম : ১১:৪২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০১৭

15822508_1712254332421078_889152955_nনিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের শরিষাডাঙ্গা গ্রামের ক্যানালপাড়ায় পুত্রবধূর দেওয়া বিষে বৃদ্ধ শ্বশুরের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত পুত্রবধূকে গ্রামবাসী গণধোলাই দেওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামের মাতুব্বরদের পরামর্শে তাকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। পুলিশ পৌছাঁলে অভিযুক্ত পুত্রবধূকে ছেড়ে দেয় গ্রামবাসী। এসময় অভিযুক্ত পুত্রবধূ নারগিস তার বাপের বাড়ী গাড়াবাড়ীয়া চলে যায় বলে জানাগেছে। তবে, নিশ্চিত হওয়া যায়নি কোথায় গেছে। জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা মোমিনপুর ইউনয়নের শরিষাডাঙ্গা গ্রামের ক্যনালপাড়ার মৃত ইয়াকুব বিশ্বাসের ছেলে রশিদ বিশ্বাস (৬৫) গতকাল সোমবার সকাল ৬টার দিকে তার ছেলে হাসেম আলীর বৌ নার্গিসের কাছে সকালে খাওয়ার ঔষধগুলোতে দিতে বললে পুত্রবধ নারগিস ঔষধের পরিবর্তে ঘরে থাকা বিষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মৃত রশিদ বিশ্বাস সরল মনে পুত্রবধুর দেওয়া ঔষধের পরিবর্তে বিষ নিজের হারনিয়া রোগের ঔষধ মনে করে খান। খাওয়ার কিছু পরে রশিদ বিশ্বাস ছটফট করতে থাকে। ইতোমধ্যে তার ছেলে বাজারে পান বেচে বাড়ীতে এসে দেখে তার বাবা ছটফট করছে ইয়াকুব তার বাবা রশিদকে বলে আব্বা ঔষধ খাননি? রশিদ ভাঙ্গা ভাঙ্গা কন্ঠে বলে বৌমা দিয়েছে আমি খেয়েছি। কিন্তু ঔষধ খাওয়ার পরে আমার গলা আটকে আসছে। হাসেম আলী তৎক্ষণা প্রতিবেশীদের সাথে নিয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে রশিদ বিশ্বাসের মৃত্যু হয়।
এবিষয়ে কয়েকজন প্রতিবেশি নাম না প্রকাশ শর্তে সময়ের সমীকরণকে বলেন, হাসেম আলীর বৌ নারগিস (৩৫) শশুর রশিদ বিশ্বাসকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে বিয়ের পর থেকেই। কিছুদিন আগে নারগিস শ্বশুরকে ঝাটা দিয়ে পিটিয়েছে। গতকাল সকাল ৬টার দিকে হারনিয়া রোগে অসুস্থ্য শশুরকে পুত্রবধু নারগিস ঔষধের বদলে ঘরে থাকা বিষ খেতে দেয়। কিছুক্ষনের মধ্যে রশিদ চাচা নেতিয়ে পড়লে পুত্রবধু নার্গিস মরমর বলে গালিগালাজ করতে  থাকে। সংবাদ পেয়ে মৃত রশিদ বিশ্বাসের ছেলে হাতেম আলী বাজার থেকে দ্রুত বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে গ্রাম্য চিকিৎককে ডেকে আনে। কিন্তু গ্রাম্য চিকিৎসক রশিদ চাচাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। হাসপাতালে নিতে গেলে সেখানেও পুত্রবধূ নারগিস বাধাঁ প্রদান করে। নারগিস তার স্বামীকে বলে, ওই বুড়ো বিষ খাইনি, অভিনয় করছে। তবে আমরা প্রতিবেশীরা জোর করে নচিমন যোগে হাসপাতালে নেওয়ার পথে বেলা ১১টার দিকে রশিদ চাচা মারা যায়। পরে সংবাদ পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের এসআই সুমন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্বার করে সুরত হাল রির্পোট করেন এবং লাশ ময়না তদন্ত করার জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এদিকে গতকাল নিহত রশিদের মেয়ে সালমা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।