ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

বুইচিতলা পদ্মবিল সরকারী হওয়া সত্তেও প্রভাবশালীদের দখলে প্রতিবছর সরকার হারাচ্ছে অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব : এলাকাবাসীর দাবী পদক্ষেপ প্রয়োজন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:২৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ৪৬৪ বার পড়া হয়েছে

gfgdf

আওয়াল হোসেন দর্শনা অফিস থেকে ঃ দামুড়হুদা উপজেলার বুইচিতলা পদ্মবিল সরকারী হওয়া সত্তেও প্রভাবশালীদের দখলে সরকারীভাবে উদ্ধারের কোন পদক্ষেপ নেই। ফলে প্রতিবছর সরকার হারাচ্ছে প্রায় অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব। পদ্মবিলের পরিধি ৪৪ দশমিক ৩৬ একর এবং বিঘা হিসাবে জমির পরিমান ১৭০ বিঘা। প্রতিবছর এ বিল বিঘা প্রতি ১১হাজার ৮শত টাকা হিসাবে লিজ দেওয়া হয়। এসব প্রভাবশালীদের মধ্যে রয়েছে ঈমান আলী, নুরুল হুদা, আব্দুল মোতালেব বিশ্বাস ও নজীর আহম্মেদ এর ছেলেরা। এ বিল লিজ প্রতিবছর লিজ নিয়ে থাকে বড়বলদিয়া গ্রামের মৎস চাষী গোলাম রহমান ও মুজিবনগর উপজেলার আবু জাফর আলী। দামুড়হুদা উপজেলাধীন বুইচিতলা মৌজায় নিন্ম তপশীল বর্নিত সরকারের খাস সায়রাত জলমহলের পদ্মবিল সরকারের খাস দখলে নেওয়ার জন্য গত ৬নভেম্বর ২০০৮ সালে ঢাক ঢোল সহরতের মাধ্যমে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে সরকারের সায়ারাত ভুক্ত বুইচিতলা পদ্মবিল জলমহল দখল গ্রহন করেন এবং প্রতিবেদন দাখিল করে। যার স্বারক নং জেঃপ্রঃ/চুয়া/এসএ/স-১ (সায়রাত)-৩১/০৮-১৯৮৬ (৪) তারিখ ৬/১১/০৮ এবং ৬/১১/০৮ তারিখে নং ডকেট মতে এবিল দখল করে। ১৬৬৯ নং ডকেট মোতাবেক দামুড়হুদা অফিসের কে জি ও সার্ভেয়ার চেইনম্যান এবং ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম একজন এম এল এস সহকারে বুইচিতলা গ্রামের একজন ঢোল বাদক ও উল্লেখিত গ্রামের স্থানীয় জন-সাধারনের উপস্থিতে বিলের চতুর দিক প্রদক্ষিন করে ঢোল বাজিয়ে এবং লাল পতাকা সহরতের মাধ্যমে দখল গ্রহন করা হয়। বিলের দখল করার সময় কোন ব্যক্তি আপত্তি বা বাঁধা প্রদান করেনি। এছাড়া ঔ সময় বুইচিতলা গ্রামের ময়াজিমের অনুমতিক্রমে মাইক দিয়ে পদ্ধবিল সরকারের বলে ঘোষনা করা হয়েছিল। এরপর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সায়ারাত ভুক্ত করে গত ৯/১১/২০০৮ তারিখে সরকারের খাস দখলে নেওয়া হয়েছিল। এ বিল দখল করে বাঁশগাড়ীর মাধ্যমে বিলটি দখল করে ৪লাখ টাকায় মাছ চাষের জন্য ইজারা দেওয়া যেতে পারে বলে ঘেষনা করা হয়। এস এ ১ ও ১ খতিয়ানে ১৭১২ ও ১৭১৩ দাগে ৪৪ দশমিক ৩৬ একর জমির বুইচিতলা পদ্ধবিল জলমহল সরকারের দখলে সায়ারাত ভুক্ত দখল গ্রহনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (ভাঃ) চুয়াডাঙ্গা আজহারুল ইসলাম গত ৩/১১/২০০৮ সালে নির্দেশ মোতাবেক বাঁশগাড়ী করে ঢাক ঢোল পিটিয়ে পদ্ধবিল দখল নেওয়ার পরও কেন এবং কোন অজানা কারণে আজও পদ্মবিল প্রভাবশালীদের দখলে। তা এখন স্থানীয় সরকার প্রশাসনকে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করছে। সেই সাথে সরকারী রাজস্ব ফিরিয়ে আনতে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহন করা প্রয়োজন বলে এলাকাবাসীর দাবী। এ বিষয়ে স্থানীয় একজন মেম্বর পদ্মবিল সরকারী বলে স্বীকার করেন। তারপর প্রভাবশালীদের দখলে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেনে তৎকালিন সরকারী কর্মকর্তার মোটা অংকের অর্থ বানিজ্য করে এসব প্রভাবশালীদের নিকট থেকে পদ্মবিল উদ্ধার করেনি। (চলবে…)

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

বুইচিতলা পদ্মবিল সরকারী হওয়া সত্তেও প্রভাবশালীদের দখলে প্রতিবছর সরকার হারাচ্ছে অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব : এলাকাবাসীর দাবী পদক্ষেপ প্রয়োজন

আপলোড টাইম : ০২:২৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০১৭

gfgdf

আওয়াল হোসেন দর্শনা অফিস থেকে ঃ দামুড়হুদা উপজেলার বুইচিতলা পদ্মবিল সরকারী হওয়া সত্তেও প্রভাবশালীদের দখলে সরকারীভাবে উদ্ধারের কোন পদক্ষেপ নেই। ফলে প্রতিবছর সরকার হারাচ্ছে প্রায় অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব। পদ্মবিলের পরিধি ৪৪ দশমিক ৩৬ একর এবং বিঘা হিসাবে জমির পরিমান ১৭০ বিঘা। প্রতিবছর এ বিল বিঘা প্রতি ১১হাজার ৮শত টাকা হিসাবে লিজ দেওয়া হয়। এসব প্রভাবশালীদের মধ্যে রয়েছে ঈমান আলী, নুরুল হুদা, আব্দুল মোতালেব বিশ্বাস ও নজীর আহম্মেদ এর ছেলেরা। এ বিল লিজ প্রতিবছর লিজ নিয়ে থাকে বড়বলদিয়া গ্রামের মৎস চাষী গোলাম রহমান ও মুজিবনগর উপজেলার আবু জাফর আলী। দামুড়হুদা উপজেলাধীন বুইচিতলা মৌজায় নিন্ম তপশীল বর্নিত সরকারের খাস সায়রাত জলমহলের পদ্মবিল সরকারের খাস দখলে নেওয়ার জন্য গত ৬নভেম্বর ২০০৮ সালে ঢাক ঢোল সহরতের মাধ্যমে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে সরকারের সায়ারাত ভুক্ত বুইচিতলা পদ্মবিল জলমহল দখল গ্রহন করেন এবং প্রতিবেদন দাখিল করে। যার স্বারক নং জেঃপ্রঃ/চুয়া/এসএ/স-১ (সায়রাত)-৩১/০৮-১৯৮৬ (৪) তারিখ ৬/১১/০৮ এবং ৬/১১/০৮ তারিখে নং ডকেট মতে এবিল দখল করে। ১৬৬৯ নং ডকেট মোতাবেক দামুড়হুদা অফিসের কে জি ও সার্ভেয়ার চেইনম্যান এবং ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম একজন এম এল এস সহকারে বুইচিতলা গ্রামের একজন ঢোল বাদক ও উল্লেখিত গ্রামের স্থানীয় জন-সাধারনের উপস্থিতে বিলের চতুর দিক প্রদক্ষিন করে ঢোল বাজিয়ে এবং লাল পতাকা সহরতের মাধ্যমে দখল গ্রহন করা হয়। বিলের দখল করার সময় কোন ব্যক্তি আপত্তি বা বাঁধা প্রদান করেনি। এছাড়া ঔ সময় বুইচিতলা গ্রামের ময়াজিমের অনুমতিক্রমে মাইক দিয়ে পদ্ধবিল সরকারের বলে ঘোষনা করা হয়েছিল। এরপর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সায়ারাত ভুক্ত করে গত ৯/১১/২০০৮ তারিখে সরকারের খাস দখলে নেওয়া হয়েছিল। এ বিল দখল করে বাঁশগাড়ীর মাধ্যমে বিলটি দখল করে ৪লাখ টাকায় মাছ চাষের জন্য ইজারা দেওয়া যেতে পারে বলে ঘেষনা করা হয়। এস এ ১ ও ১ খতিয়ানে ১৭১২ ও ১৭১৩ দাগে ৪৪ দশমিক ৩৬ একর জমির বুইচিতলা পদ্ধবিল জলমহল সরকারের দখলে সায়ারাত ভুক্ত দখল গ্রহনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (ভাঃ) চুয়াডাঙ্গা আজহারুল ইসলাম গত ৩/১১/২০০৮ সালে নির্দেশ মোতাবেক বাঁশগাড়ী করে ঢাক ঢোল পিটিয়ে পদ্ধবিল দখল নেওয়ার পরও কেন এবং কোন অজানা কারণে আজও পদ্মবিল প্রভাবশালীদের দখলে। তা এখন স্থানীয় সরকার প্রশাসনকে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করছে। সেই সাথে সরকারী রাজস্ব ফিরিয়ে আনতে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহন করা প্রয়োজন বলে এলাকাবাসীর দাবী। এ বিষয়ে স্থানীয় একজন মেম্বর পদ্মবিল সরকারী বলে স্বীকার করেন। তারপর প্রভাবশালীদের দখলে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেনে তৎকালিন সরকারী কর্মকর্তার মোটা অংকের অর্থ বানিজ্য করে এসব প্রভাবশালীদের নিকট থেকে পদ্মবিল উদ্ধার করেনি। (চলবে…)