ইপেপার । আজ বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

মুন্সীপুর সীমান্তে অবৈধপথে ভারতীয় গরু প্রবেশ! বেড়েছে ধূর পাচার! নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে প্রতি জোড়া ৮ হাজার টাকা নেন কোম্পানী কমান্ডার ওয়াহেদ হোসেন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:০৬:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৪৬৮ বার পড়া হয়েছে

fgfsdনিজস্ব প্রতিবেদক/কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে চুয়াডাঙ্গার মুন্সীপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে অহরহ ঢুকছে ভারতীয় গরু। বিজিবির কথিত কিছু দালালের মাধ্যমে ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ করছে। ওই গরু স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। এদিকে, অবৈধভাবে আসা ভারতীয় প্রতিটি জোড়া গরু বাবদ ৮ হাজার টাকা করে নিচ্ছে বিজিবি। গত বৃহস্পতিবার রাতেও চুয়াডাঙ্গার মুন্সীপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ১৫টি এবং ঠাকুরপুর সীমান্ত দিয়ে ১৪টি গরু প্রবেশ করেছে। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে গরু ঢোকানোর পর মুন্সীপুর সীমান্ত এলাকার কয়েকটি বাড়িতে ১/২টি করে গরু রেখে দিচ্ছে। বিক্রির আগেই দেশের অভ্যন্তরে সীমান্ত এলাকায় থাকাকালীন ওই গরুর জন্য জোড়া প্রতি ৮ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে বিজিবির জন্য। পরে দেশীয় ব্যবসায়ীরা কিনছেন সেই গরু। দেশীয় ব্যবসায়ীরা ওই গরু কেনার পর আবারও তা উদ্ধার দেখিয়ে চালান দিচ্ছে বিজিবি। এমনটিই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী। এছাড়া, দামুড়হুদার মুন্সীপুর সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক হারে বেড়েছে ধুর পাচার। জনপ্রতি ১৬’শ টাকা নিয়ে ধূর পাচার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে মুন্সীপুর কোম্পানী কমান্ডারের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানায়, আগে ভারত থেকে গরু আনার জন্য দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা মতো খরচ হতো। কিছুটা বিজিবি নিলেও সরকারি কোষাগারেও জমা দেয়া হতো ওই টাকা। ফলে সরকার এদিক থেকে রাজস্ব আদায় করতো। কিন্তু এখন ভারত থেকে আনা প্রতি গরুর জন্য গুনতে হচ্ছে ৪ হাজার টাকা। ওই টাকা বিজিবির কমান্ডার ওয়াহেদ হোসেনকে দিতে হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। অন্যদিকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারণ ব্যবসায়ী। ঠাকুরপুর ও মুন্সীপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে গরু আসার জন্য কোম্পানী কমান্ডার ওয়াহেদ হোসেন দালাল মারফত মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে সাহায্য করছেন। তবে ওয়াহেদ হোসেন নিজেকে মাঝে মাঝে ২/১টি গরু আটক করে চালান দিয়ে উপর মহলকে ম্যানেজ করে চলেন। গতকাল শুক্রবার মুন্সীপুর ও ঠাকুরপুর সীমান্ত দিয়ে বিজিবিকে কর দিয়েই অবৈধপথে ভারতীয় গরু আনে কারবারীরা। তবে ওয়াহেদ হোসেন সেই গরু না ধরে পীরপুরকুল্লা মাঝপাড়ার হাজী আব্দুল গণির ছেলে কৃষক হারুন রশীদের দুইটি গরু আটক করে চালান দেয়।
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার পীরপুরকুল্লা গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে গরু ব্যবসায়ী হারুন জানান, গত বুধবার মুন্সিপুর থেকে দুইটি গরু কেনেন তিনি। মুন্সীপুর বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার ওয়াহেদ হোসেন ওই গরুর জন্য নগদ ৮ হাজার টাকা নেন বিক্রেতার কাছে থেকে। তার পরেই ক্রেতা হারুন গরু দুইটি কিনে নিজের বাড়িতে রাখেন। পরেরদিন  কমান্ডার ওয়াহেদ হোসেন পীরপুরকুল্লা গ্রামে হারুনের বাড়িতে গিয়ে ওই গরু দুইটি আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যান। পরে গরু দুইটি চালান দিয়ে দেন ওয়াহেদ হোসেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক জানান, কমান্ডার ওয়াহেদ হোসেন মুন্সীপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ব্যাপকহারে ধূর পাচার করছেন। জনপ্রতি ৮’শ থেকে ১৬’শ টাকা নিয়ে তিনি এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে মুন্সীপুর কোম্পানী কমান্ডার ওয়াহেদ হোসেনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোন সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে রাজী হননি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

মুন্সীপুর সীমান্তে অবৈধপথে ভারতীয় গরু প্রবেশ! বেড়েছে ধূর পাচার! নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে প্রতি জোড়া ৮ হাজার টাকা নেন কোম্পানী কমান্ডার ওয়াহেদ হোসেন

আপলোড টাইম : ১২:০৬:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬

fgfsdনিজস্ব প্রতিবেদক/কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে চুয়াডাঙ্গার মুন্সীপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে অহরহ ঢুকছে ভারতীয় গরু। বিজিবির কথিত কিছু দালালের মাধ্যমে ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ করছে। ওই গরু স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। এদিকে, অবৈধভাবে আসা ভারতীয় প্রতিটি জোড়া গরু বাবদ ৮ হাজার টাকা করে নিচ্ছে বিজিবি। গত বৃহস্পতিবার রাতেও চুয়াডাঙ্গার মুন্সীপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ১৫টি এবং ঠাকুরপুর সীমান্ত দিয়ে ১৪টি গরু প্রবেশ করেছে। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে গরু ঢোকানোর পর মুন্সীপুর সীমান্ত এলাকার কয়েকটি বাড়িতে ১/২টি করে গরু রেখে দিচ্ছে। বিক্রির আগেই দেশের অভ্যন্তরে সীমান্ত এলাকায় থাকাকালীন ওই গরুর জন্য জোড়া প্রতি ৮ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে বিজিবির জন্য। পরে দেশীয় ব্যবসায়ীরা কিনছেন সেই গরু। দেশীয় ব্যবসায়ীরা ওই গরু কেনার পর আবারও তা উদ্ধার দেখিয়ে চালান দিচ্ছে বিজিবি। এমনটিই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী। এছাড়া, দামুড়হুদার মুন্সীপুর সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক হারে বেড়েছে ধুর পাচার। জনপ্রতি ১৬’শ টাকা নিয়ে ধূর পাচার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে মুন্সীপুর কোম্পানী কমান্ডারের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানায়, আগে ভারত থেকে গরু আনার জন্য দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা মতো খরচ হতো। কিছুটা বিজিবি নিলেও সরকারি কোষাগারেও জমা দেয়া হতো ওই টাকা। ফলে সরকার এদিক থেকে রাজস্ব আদায় করতো। কিন্তু এখন ভারত থেকে আনা প্রতি গরুর জন্য গুনতে হচ্ছে ৪ হাজার টাকা। ওই টাকা বিজিবির কমান্ডার ওয়াহেদ হোসেনকে দিতে হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। অন্যদিকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারণ ব্যবসায়ী। ঠাকুরপুর ও মুন্সীপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে গরু আসার জন্য কোম্পানী কমান্ডার ওয়াহেদ হোসেন দালাল মারফত মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে সাহায্য করছেন। তবে ওয়াহেদ হোসেন নিজেকে মাঝে মাঝে ২/১টি গরু আটক করে চালান দিয়ে উপর মহলকে ম্যানেজ করে চলেন। গতকাল শুক্রবার মুন্সীপুর ও ঠাকুরপুর সীমান্ত দিয়ে বিজিবিকে কর দিয়েই অবৈধপথে ভারতীয় গরু আনে কারবারীরা। তবে ওয়াহেদ হোসেন সেই গরু না ধরে পীরপুরকুল্লা মাঝপাড়ার হাজী আব্দুল গণির ছেলে কৃষক হারুন রশীদের দুইটি গরু আটক করে চালান দেয়।
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার পীরপুরকুল্লা গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে গরু ব্যবসায়ী হারুন জানান, গত বুধবার মুন্সিপুর থেকে দুইটি গরু কেনেন তিনি। মুন্সীপুর বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার ওয়াহেদ হোসেন ওই গরুর জন্য নগদ ৮ হাজার টাকা নেন বিক্রেতার কাছে থেকে। তার পরেই ক্রেতা হারুন গরু দুইটি কিনে নিজের বাড়িতে রাখেন। পরেরদিন  কমান্ডার ওয়াহেদ হোসেন পীরপুরকুল্লা গ্রামে হারুনের বাড়িতে গিয়ে ওই গরু দুইটি আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যান। পরে গরু দুইটি চালান দিয়ে দেন ওয়াহেদ হোসেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক জানান, কমান্ডার ওয়াহেদ হোসেন মুন্সীপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ব্যাপকহারে ধূর পাচার করছেন। জনপ্রতি ৮’শ থেকে ১৬’শ টাকা নিয়ে তিনি এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে মুন্সীপুর কোম্পানী কমান্ডার ওয়াহেদ হোসেনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোন সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে রাজী হননি।