ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীতে শিশুদের মধ্যে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ সদর হাসপাতালে নেই কলেরা স্যালাইন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৩০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে

15723845_1777397402509688_54713104_n

শহর প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীতে  শিশুদের মধ্যে ডায়রিয়া, পেটের পীড়া ও ব্রঙ্কাইটিসের প্রকোপ বেড়েছে। গতকাল সোমবার পর্যন্ত প্রায় ১৫০শিশু সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, তীব্র শীতের কারণে এসব রোগের প্রকোপ বাড়ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সদর হাসপাতালে নেই কলেরা স্যালাইন সরবরাহ। হঠাৎ রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে জায়গা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গতকাল পর্যন্ত ডায়রিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে জেলা সদর হাসপাতালে ৯১টি শিশু ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এছাড়া আউটডোরে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসছে প্রায় ১৫০/২০০ শিশু। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর গ্রামের বাসিন্দা মনজু আরা ও সুফিয়া খাতুন আিভযোগ করে বলেন, ডায়রিয়া হওয়ার পর সন্তানদের নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন তাঁরা। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন স্যালাইন দিচ্ছে না।। বাইরে থেকে স্যালাইন ও ঔষধ কিনে খাওয়াতে হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সদর হাসপাতালে স্যালাইন সাপ্লাই বন্ধ আছে। অথচ প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৩৫টি শিশু অসুস্থ হয়ে ভর্তি হচ্ছে যাদের অভিভাবক অধিকাংশই গরীব ও হতদরিদ্র। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সরকারী ঔষধ ও কলেরা স্যালাইন সাপ্লাই শিশুদের চিকিৎসা সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে এবং গরীব অভিভাবকের শিশুরা সুচিকিৎসা পেয়ে দ্রুত সুস্থতা পাবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীতে শিশুদের মধ্যে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ সদর হাসপাতালে নেই কলেরা স্যালাইন

আপলোড টাইম : ০২:৩০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬

15723845_1777397402509688_54713104_n

শহর প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীতে  শিশুদের মধ্যে ডায়রিয়া, পেটের পীড়া ও ব্রঙ্কাইটিসের প্রকোপ বেড়েছে। গতকাল সোমবার পর্যন্ত প্রায় ১৫০শিশু সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, তীব্র শীতের কারণে এসব রোগের প্রকোপ বাড়ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সদর হাসপাতালে নেই কলেরা স্যালাইন সরবরাহ। হঠাৎ রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে জায়গা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গতকাল পর্যন্ত ডায়রিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে জেলা সদর হাসপাতালে ৯১টি শিশু ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এছাড়া আউটডোরে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসছে প্রায় ১৫০/২০০ শিশু। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর গ্রামের বাসিন্দা মনজু আরা ও সুফিয়া খাতুন আিভযোগ করে বলেন, ডায়রিয়া হওয়ার পর সন্তানদের নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন তাঁরা। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন স্যালাইন দিচ্ছে না।। বাইরে থেকে স্যালাইন ও ঔষধ কিনে খাওয়াতে হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সদর হাসপাতালে স্যালাইন সাপ্লাই বন্ধ আছে। অথচ প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৩৫টি শিশু অসুস্থ হয়ে ভর্তি হচ্ছে যাদের অভিভাবক অধিকাংশই গরীব ও হতদরিদ্র। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সরকারী ঔষধ ও কলেরা স্যালাইন সাপ্লাই শিশুদের চিকিৎসা সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে এবং গরীব অভিভাবকের শিশুরা সুচিকিৎসা পেয়ে দ্রুত সুস্থতা পাবে।