ইপেপার । আজ শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

ব্যস্ততম দর্শনাই খাবারের হোটেলগুলোতে নোংরা পরিবেশ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ চেয়ে সুশিল সমাজের প্রতিকার কামনা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:০৭:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৩৭৬ বার পড়া হয়েছে

SAM_3858

ওয়াসিম রয়েল: ব্যস্ততম দর্শনাই খাবারের হোটেলগুলোতে নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি ও পরিবেশন করা হচ্ছে। ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানার কথা ভেবেই এ সকল হোটেল ব্যাবসায়ীরা দেদারছে চালাচ্ছে তাদের হোটেল ব্যবসা। দেখার কেউ নেই।  বেশ কিছুদিন ধরেই দর্শনার মেইন রাস্তা ও পকেট রাস্তা সংলগ্ন খাবারের হোটেল গুলোতে নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি ও পরিবেশন করছে কিছু সুযোগ-সন্ধানী হোটেল ব্যবসায়ীরা। বাইরের সাইনবোর্ডে সুন্দর সুন্দর হোটেলের নাম দিয়ে ভিতরে বসার ভালো পরিবেশ থাকলেও খাবার তৈরি ও রাখার নেই কোন ভালো পরিবেশ। নামি দামি এ হোটেল গুলোতে নোংরা আর্বজনা জায়গায় খাবার তৈরি করে বাসী, পচা, অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। কয়েকটি নামকরা হোটেলে লক্ষ্য করা গেছে রান্না করার জন্য কাচামালসহ বিভিন্ন মালামাল ময়লা আর্বজনাযুক্ত ড্রেনের উপর প্রস্তুত করে রাখা হয়। রান্নার পরে খাবার গুলি যেখানে রাখা হয় ঠিক সেই সময়ে ঐ ময়লা অবর্জনাযুক্ত ড্রেন থেকে মশা, মাছি উড়ে এসে খাবারে বসছে। সহজ ও সরলমনা মানুষ গুলি ব্যাস্ততার মধ্যদিয়ে এ সকল খাবারগুলি নির্বিগ্নে খেয়ে চলেছে। বর্তমানে ব্যবসার প্রচার ও প্রশার ঘটাতে ভাজা মাংশ ও রুটি ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে এ হোটেল গুলোতে। এ ঐতিহ্যবাহী খাবারটি রাতে প্রশাসনের সদস্য থেকে শুরু করে সর্বস্থরের মানুষ নির্বিগ্নে খেয়ে যাচ্ছে কিন্তু কেও খোজ নিচ্ছে না এই মাংসটি কতদিন আগে থেকে ভাজা হচ্ছে আর কবে নাগাত শেষ হবে। আবার কোন কোন হোটেলে দেখা যায় সাধারন মানুষের নজর কাড়ার জন্য মোগলাই পরোটা ভেজে, শীতকালিন ভাপা পিঠা, পিয়াজু, আলুরচপ, চিংড়ির চপ, মাংসের চপ বিভিন্ন মুখোরচক খাবার মেইন রাস্তা সংলগ্ন আবর্জনাযুক্ত ড্রেনের পাশে খোলামেলা জায়গায় রেখে দিচ্ছে এসকল হোটেল ব্যবসায়ীরা। কেউ একবারও ভাবছে না এই মেইন রাস্তা দিয়ে যত গাড়ী যায় ঐ সকল গাড়ীর পিছনে উড়ে আসা ধুলো বালি এই খাবারে পড়ছে, এগুলো খাওয়ার অনুপযোগী। আশ্চর্য হলেও সত্য যে দর্শনাই যত গুলি খাবার হোটেল আছে রাতে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে দেখা গেছে দু একটি বাদে প্রত্যেকটি হোটেলের চুলার উপরে অথবা খাবার সাজিয়ে রাখার টেবিলের উপরে কুকুর শুয়ে থাকে। এ বিষয়ে কয়েকটি হোটেল ব্যবসায়ীর সাথে আন্তরিকভাবে কথা বললে বোঝা যায় সকল হোটেল ব্যবসায়ীরা হোটেল পরিচালনা করার জন্য সকল নিয়ম কানুন জানে কিন্তু মানে না। নিয়ম-কানুন না মানার কারনে ভ্রাম্যমান আদালত যে কোন সময় এসে জরিমানা করতে পরে এ কথা স্পষ্ট জানে। কিন্তু তার পরেও এ সকল ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসাটাকে নোংরা পরিবেশে পরিচালনা করছে। দর্শনার সুশীল সমাজের মানুষেরা এর প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

ব্যস্ততম দর্শনাই খাবারের হোটেলগুলোতে নোংরা পরিবেশ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ চেয়ে সুশিল সমাজের প্রতিকার কামনা

আপলোড টাইম : ০২:০৭:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬

SAM_3858

ওয়াসিম রয়েল: ব্যস্ততম দর্শনাই খাবারের হোটেলগুলোতে নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি ও পরিবেশন করা হচ্ছে। ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানার কথা ভেবেই এ সকল হোটেল ব্যাবসায়ীরা দেদারছে চালাচ্ছে তাদের হোটেল ব্যবসা। দেখার কেউ নেই।  বেশ কিছুদিন ধরেই দর্শনার মেইন রাস্তা ও পকেট রাস্তা সংলগ্ন খাবারের হোটেল গুলোতে নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি ও পরিবেশন করছে কিছু সুযোগ-সন্ধানী হোটেল ব্যবসায়ীরা। বাইরের সাইনবোর্ডে সুন্দর সুন্দর হোটেলের নাম দিয়ে ভিতরে বসার ভালো পরিবেশ থাকলেও খাবার তৈরি ও রাখার নেই কোন ভালো পরিবেশ। নামি দামি এ হোটেল গুলোতে নোংরা আর্বজনা জায়গায় খাবার তৈরি করে বাসী, পচা, অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। কয়েকটি নামকরা হোটেলে লক্ষ্য করা গেছে রান্না করার জন্য কাচামালসহ বিভিন্ন মালামাল ময়লা আর্বজনাযুক্ত ড্রেনের উপর প্রস্তুত করে রাখা হয়। রান্নার পরে খাবার গুলি যেখানে রাখা হয় ঠিক সেই সময়ে ঐ ময়লা অবর্জনাযুক্ত ড্রেন থেকে মশা, মাছি উড়ে এসে খাবারে বসছে। সহজ ও সরলমনা মানুষ গুলি ব্যাস্ততার মধ্যদিয়ে এ সকল খাবারগুলি নির্বিগ্নে খেয়ে চলেছে। বর্তমানে ব্যবসার প্রচার ও প্রশার ঘটাতে ভাজা মাংশ ও রুটি ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে এ হোটেল গুলোতে। এ ঐতিহ্যবাহী খাবারটি রাতে প্রশাসনের সদস্য থেকে শুরু করে সর্বস্থরের মানুষ নির্বিগ্নে খেয়ে যাচ্ছে কিন্তু কেও খোজ নিচ্ছে না এই মাংসটি কতদিন আগে থেকে ভাজা হচ্ছে আর কবে নাগাত শেষ হবে। আবার কোন কোন হোটেলে দেখা যায় সাধারন মানুষের নজর কাড়ার জন্য মোগলাই পরোটা ভেজে, শীতকালিন ভাপা পিঠা, পিয়াজু, আলুরচপ, চিংড়ির চপ, মাংসের চপ বিভিন্ন মুখোরচক খাবার মেইন রাস্তা সংলগ্ন আবর্জনাযুক্ত ড্রেনের পাশে খোলামেলা জায়গায় রেখে দিচ্ছে এসকল হোটেল ব্যবসায়ীরা। কেউ একবারও ভাবছে না এই মেইন রাস্তা দিয়ে যত গাড়ী যায় ঐ সকল গাড়ীর পিছনে উড়ে আসা ধুলো বালি এই খাবারে পড়ছে, এগুলো খাওয়ার অনুপযোগী। আশ্চর্য হলেও সত্য যে দর্শনাই যত গুলি খাবার হোটেল আছে রাতে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে দেখা গেছে দু একটি বাদে প্রত্যেকটি হোটেলের চুলার উপরে অথবা খাবার সাজিয়ে রাখার টেবিলের উপরে কুকুর শুয়ে থাকে। এ বিষয়ে কয়েকটি হোটেল ব্যবসায়ীর সাথে আন্তরিকভাবে কথা বললে বোঝা যায় সকল হোটেল ব্যবসায়ীরা হোটেল পরিচালনা করার জন্য সকল নিয়ম কানুন জানে কিন্তু মানে না। নিয়ম-কানুন না মানার কারনে ভ্রাম্যমান আদালত যে কোন সময় এসে জরিমানা করতে পরে এ কথা স্পষ্ট জানে। কিন্তু তার পরেও এ সকল ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসাটাকে নোংরা পরিবেশে পরিচালনা করছে। দর্শনার সুশীল সমাজের মানুষেরা এর প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।