ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

মেহেপুরে মুক্তিযুদ্ধের তিন সংগঠককে সম্মানা প্রদান অনুষ্ঠানে ড. আবুল বারকাত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মূল পরিকল্পনা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৪:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৪৩১ বার পড়া হয়েছে

IMG_2789

গাংনী অফিস: মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ৪৫ বছর পূর্তিতে মেহেরপুরের মুক্তিযুদ্ধের তিন সংগঠককে সম্মানা প্রদান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ কোন পথে শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ও প্রধান আলোচক গণমানুষের অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত বলেছেন, বঙ্গ বন্ধুকে হত্যার মূল পরিকল্পনায় ছিলেন মাকিন যুক্তরাষ্ট্র। তারা আমাদের স্বাধীনতার বিরোধী ছিলো। যুদ্ধের সময়ে বেশ কয়েকবার তারা পাকিস্তানের পক্ষে ভোট দেয়। যুদ্ধের সময়ে প্রকাশ্য বাংলাদেশের বিরোধিতা করে মাকিনীরা। তারাই মূলত অসম্প্রদায়িক ও বেশম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে বাধা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ হত্যা কান্ডের পরিকল্পনা করে। এখন এ কথা বলে অনেকের গায়ে জ্বালা বেধে যাবে। তিনি আরো বলেছেন, বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১ শতাংশ খুব গরিব, ৬৬ শতাংশ গরিব, আর ১৮ শতাংশ মধ্যে বিত্ত, এর মধ্যে তিন ভাগ ১ উচ্চ মধ্যে বিত্ত ধনির কাছাকাছি, মধ্যে বিত্ত ও নিম্ম মধ্যে বিত্ত এর হিসেব করে ৮৪ শতাংশ। আর ১৬ শতাংশ লোক ধনি। মুক্তিযদ্ধের চেতনার যে, বাংলাদেশ শোষন মুক্ত, বেশম্যহীন যে বাংলাদেশ কম বেশম্যের যে বাংলাদেশ সে জায়গায় আমরা এখানো যেতে পারিনি। আর অসম্প্রদায়িক চেতনার যে বাংলাদেশ আমরা চেয়েছিলাম। যেখানে মানুষে মানুষে ধর্মে ধর্মে বর্ণে বর্ণে সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে এবং আমরা সেটাও পায়নি। এই জিনিসগুলো যদি না পেয়ে থাকি তাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বলতে যদি বৈশম্যহীন একটি অর্থনীতি সমাজ রাষ্ট্র বুজায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বলতে যদি অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বুজায় তাহলে বাংলাদেশ ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে এবং ভুল পথে পরিচালিত করা হয়েছে বাংলাদেশের বঙ্গ বন্ধুকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার মধ্যেদিয়ে। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে গাংনী অডিটোরিয়ামে মেহেরপুর জেলা ওয়ার্কাস পাটি আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের তিন সংগঠককে সম্মানা ও কোন পথে বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ও প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এ কথা গুলো বলেছেন। বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পাটি মেহেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কমরেড আব্দুল মাবুদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, গাংনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলাম ও পলিট বুরে‌্যা সদস্য নুর আহম্মেদ বকুল। অনুষ্ঠানের শুরুতে গণমানুষের অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত প্রধান অতিথি হিসেবে থেকে মুক্তিযুদ্ধের তিন সংগঠককে সম্মানা ক্রেষ্ট তুলে দেন। সম্মনানা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তিন সংগঠক হলেন, গাংনী উপজেলার তেরাইল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল আজিজ, গাংনী উপজেলার চাদপুর গ্রামের  মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রহমন ও গাংনীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা হিসাব উদ্দীন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, গাংনীর বিশিষ্ট সংগঠক সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা মহিলালীগের সভাপতি নুর জাহান বেগম, গাংনী পৌরসভার প্যানেল মেয়র নবীর উদ্দীন, ওয়ার্কাস পাটির জেলা নেতা মজনুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মহিবুর রহমান মিন্টু, রাইপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকলেছুর রহমান, সৈনিকলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাসান ও ওয়ার্কাস পাটির নেতা আবুল হাসেম প্রমূখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

মেহেপুরে মুক্তিযুদ্ধের তিন সংগঠককে সম্মানা প্রদান অনুষ্ঠানে ড. আবুল বারকাত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মূল পরিকল্পনা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের

আপলোড টাইম : ১০:৩৪:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬

IMG_2789

গাংনী অফিস: মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ৪৫ বছর পূর্তিতে মেহেরপুরের মুক্তিযুদ্ধের তিন সংগঠককে সম্মানা প্রদান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ কোন পথে শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ও প্রধান আলোচক গণমানুষের অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত বলেছেন, বঙ্গ বন্ধুকে হত্যার মূল পরিকল্পনায় ছিলেন মাকিন যুক্তরাষ্ট্র। তারা আমাদের স্বাধীনতার বিরোধী ছিলো। যুদ্ধের সময়ে বেশ কয়েকবার তারা পাকিস্তানের পক্ষে ভোট দেয়। যুদ্ধের সময়ে প্রকাশ্য বাংলাদেশের বিরোধিতা করে মাকিনীরা। তারাই মূলত অসম্প্রদায়িক ও বেশম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে বাধা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ হত্যা কান্ডের পরিকল্পনা করে। এখন এ কথা বলে অনেকের গায়ে জ্বালা বেধে যাবে। তিনি আরো বলেছেন, বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১ শতাংশ খুব গরিব, ৬৬ শতাংশ গরিব, আর ১৮ শতাংশ মধ্যে বিত্ত, এর মধ্যে তিন ভাগ ১ উচ্চ মধ্যে বিত্ত ধনির কাছাকাছি, মধ্যে বিত্ত ও নিম্ম মধ্যে বিত্ত এর হিসেব করে ৮৪ শতাংশ। আর ১৬ শতাংশ লোক ধনি। মুক্তিযদ্ধের চেতনার যে, বাংলাদেশ শোষন মুক্ত, বেশম্যহীন যে বাংলাদেশ কম বেশম্যের যে বাংলাদেশ সে জায়গায় আমরা এখানো যেতে পারিনি। আর অসম্প্রদায়িক চেতনার যে বাংলাদেশ আমরা চেয়েছিলাম। যেখানে মানুষে মানুষে ধর্মে ধর্মে বর্ণে বর্ণে সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে এবং আমরা সেটাও পায়নি। এই জিনিসগুলো যদি না পেয়ে থাকি তাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বলতে যদি বৈশম্যহীন একটি অর্থনীতি সমাজ রাষ্ট্র বুজায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বলতে যদি অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বুজায় তাহলে বাংলাদেশ ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে এবং ভুল পথে পরিচালিত করা হয়েছে বাংলাদেশের বঙ্গ বন্ধুকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার মধ্যেদিয়ে। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে গাংনী অডিটোরিয়ামে মেহেরপুর জেলা ওয়ার্কাস পাটি আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের তিন সংগঠককে সম্মানা ও কোন পথে বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ও প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এ কথা গুলো বলেছেন। বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পাটি মেহেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কমরেড আব্দুল মাবুদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, গাংনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলাম ও পলিট বুরে‌্যা সদস্য নুর আহম্মেদ বকুল। অনুষ্ঠানের শুরুতে গণমানুষের অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত প্রধান অতিথি হিসেবে থেকে মুক্তিযুদ্ধের তিন সংগঠককে সম্মানা ক্রেষ্ট তুলে দেন। সম্মনানা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তিন সংগঠক হলেন, গাংনী উপজেলার তেরাইল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল আজিজ, গাংনী উপজেলার চাদপুর গ্রামের  মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রহমন ও গাংনীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা হিসাব উদ্দীন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, গাংনীর বিশিষ্ট সংগঠক সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা মহিলালীগের সভাপতি নুর জাহান বেগম, গাংনী পৌরসভার প্যানেল মেয়র নবীর উদ্দীন, ওয়ার্কাস পাটির জেলা নেতা মজনুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মহিবুর রহমান মিন্টু, রাইপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকলেছুর রহমান, সৈনিকলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাসান ও ওয়ার্কাস পাটির নেতা আবুল হাসেম প্রমূখ।