ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

মানবতার আলোকবর্তিকা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০২:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: পৃথিবীর একমাত্র পূর্ণাঙ্গ মানুষ রাসুলুল্লাহ (সা.)। তাঁর জীবনের প্রতিটি ধাপই উম্মতের জন্য অনুসরণীয়। তিনি হলেন মানবতার আলোকবর্তিকা, আদর্শের বাতিঘর। তাঁকে যারাই অনুসরণ করবেন তারাই দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হবেন। তাঁর জীবনের প্রতিটি ধাপে রয়েছে মুসলমানদের জন্য চলার পথের পাথেয়। তিনি যে উন্নত চরিত্রের ধারক ছিলেন এর সঙ্গে কোনো মানুষের তুলনা চলে না। এজন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ প্রিয়নবীকে (সা.) জীবনের সর্বক্ষেত্রে অনুসরণ করা মুমিনের দায়িত্ব। তাওয়াক্কুল তথা আল্লাহর ওপর নির্ভরতা ছিল রাসুলের (সা.) জীবনের বিশেষ গুণ। তিনি বলেন, আমার উম্মতের মধ্যে সত্তর হাজার লোক বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে, যারা মন্ত্র-তন্ত্র ব্যবহার করে না, কুলক্ষণ গ্রহণ করে না এবং যারা প্রতিপালকের ওপর ভরসা রাখে (বুখারি)।  তিনি ছিলেন র্ধৈর্য ও কৃতজ্ঞতার আধার। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, মুমিনের এই বিষয়টি খুবই আশ্চর্যজনক যে, সব অবস্থায়ই তার জন্য কল্যাণকর। আর এটি শুধু মুমিনেরই বৈশিষ্ট্য। সুখ ও আনন্দের কিছু হলে সে শোকর আদায় করে। ফলে এটি তার জন্য কল্যাণকর হয়। আর দুঃখ-কষ্ট এলে সে সবর ও ধৈর্য ধারণ করে, এটাও তার জন্য মঙ্গলজনক (মুসলিম)। তিনি অল্পতে তুষ্ট থাকতেন। জীবনে অপার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের পেছনে দৌড়াননি। অঙ্গীকার রক্ষায় রাসুল (সা.) ছিলেন বিশেষ সতর্ক। অঙ্গীকার রক্ষার জন্য তিনি এক জায়গায় তিন দিন দাঁড়িয়ে থাকার নজিরও স্থাপন করেছেন।  বিনয় ও নম্রতা ছিল তাঁর চরিত্রের মহান গুণ। তিনি বলেছেন, যে বিনয়ী হবে আল্লাহ তাকে উঁচু আসন দান করবেন। সত্যবাদিতার প্রবাদপুরুষ ছিলেন রাসুল (সা.)। এজন্য আরবের কাফেররা পর্যন্ত তাঁকে আল আমিন বা সত্যবাদী উপাধিতে ভূষিত করেছেন। তিনি শত্রুদের সঙ্গেও কখনো মিথ্যা বলেননি। নবীজীবনে লজ্জাশীলতার ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। তিনি বলতেন, প্রতিটি ধর্মেরই একটি বিশেষ গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকে। আর ইসলামের বৈশিষ্ট্য হলো লজ্জাশীলতা। অন্যের প্রতি দয়া ও ভালোবাসা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে রাসুলের (সা.) কোনো জুড়ি নেই। তিনি প্রতিটি প্রাণীকে ভালোবাসতেন, আদর করতেন। তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি মানুষের ওপর দয়া করে না আল্লাহও তার প্রতি দয়া করেন না। বদান্যতা ও দানশীলতা ছিল তাঁর চরিত্রের বিশেষ দিক। তিনি না খেয়ে অন্যকে খাওয়াতেন, নিজে না পরে অন্যকে পরাতেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

মানবতার আলোকবর্তিকা

আপলোড টাইম : ১০:০২:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬

ধর্ম ডেস্ক: পৃথিবীর একমাত্র পূর্ণাঙ্গ মানুষ রাসুলুল্লাহ (সা.)। তাঁর জীবনের প্রতিটি ধাপই উম্মতের জন্য অনুসরণীয়। তিনি হলেন মানবতার আলোকবর্তিকা, আদর্শের বাতিঘর। তাঁকে যারাই অনুসরণ করবেন তারাই দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হবেন। তাঁর জীবনের প্রতিটি ধাপে রয়েছে মুসলমানদের জন্য চলার পথের পাথেয়। তিনি যে উন্নত চরিত্রের ধারক ছিলেন এর সঙ্গে কোনো মানুষের তুলনা চলে না। এজন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ প্রিয়নবীকে (সা.) জীবনের সর্বক্ষেত্রে অনুসরণ করা মুমিনের দায়িত্ব। তাওয়াক্কুল তথা আল্লাহর ওপর নির্ভরতা ছিল রাসুলের (সা.) জীবনের বিশেষ গুণ। তিনি বলেন, আমার উম্মতের মধ্যে সত্তর হাজার লোক বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে, যারা মন্ত্র-তন্ত্র ব্যবহার করে না, কুলক্ষণ গ্রহণ করে না এবং যারা প্রতিপালকের ওপর ভরসা রাখে (বুখারি)।  তিনি ছিলেন র্ধৈর্য ও কৃতজ্ঞতার আধার। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, মুমিনের এই বিষয়টি খুবই আশ্চর্যজনক যে, সব অবস্থায়ই তার জন্য কল্যাণকর। আর এটি শুধু মুমিনেরই বৈশিষ্ট্য। সুখ ও আনন্দের কিছু হলে সে শোকর আদায় করে। ফলে এটি তার জন্য কল্যাণকর হয়। আর দুঃখ-কষ্ট এলে সে সবর ও ধৈর্য ধারণ করে, এটাও তার জন্য মঙ্গলজনক (মুসলিম)। তিনি অল্পতে তুষ্ট থাকতেন। জীবনে অপার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের পেছনে দৌড়াননি। অঙ্গীকার রক্ষায় রাসুল (সা.) ছিলেন বিশেষ সতর্ক। অঙ্গীকার রক্ষার জন্য তিনি এক জায়গায় তিন দিন দাঁড়িয়ে থাকার নজিরও স্থাপন করেছেন।  বিনয় ও নম্রতা ছিল তাঁর চরিত্রের মহান গুণ। তিনি বলেছেন, যে বিনয়ী হবে আল্লাহ তাকে উঁচু আসন দান করবেন। সত্যবাদিতার প্রবাদপুরুষ ছিলেন রাসুল (সা.)। এজন্য আরবের কাফেররা পর্যন্ত তাঁকে আল আমিন বা সত্যবাদী উপাধিতে ভূষিত করেছেন। তিনি শত্রুদের সঙ্গেও কখনো মিথ্যা বলেননি। নবীজীবনে লজ্জাশীলতার ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। তিনি বলতেন, প্রতিটি ধর্মেরই একটি বিশেষ গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকে। আর ইসলামের বৈশিষ্ট্য হলো লজ্জাশীলতা। অন্যের প্রতি দয়া ও ভালোবাসা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে রাসুলের (সা.) কোনো জুড়ি নেই। তিনি প্রতিটি প্রাণীকে ভালোবাসতেন, আদর করতেন। তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি মানুষের ওপর দয়া করে না আল্লাহও তার প্রতি দয়া করেন না। বদান্যতা ও দানশীলতা ছিল তাঁর চরিত্রের বিশেষ দিক। তিনি না খেয়ে অন্যকে খাওয়াতেন, নিজে না পরে অন্যকে পরাতেন।