চুয়াডাঙ্গা আলুকদিয়ার ভূষি ব্যবসায়ী মিনারের নিখোঁজের একদিন পর কুষ্টিয়া ভেড়ামাড়া রেললাইনের উপরে মিললো দ্বিখন্ডিত লাশ
- আপলোড টাইম : ০২:৩৯:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬
- / ৩৩৪ বার পড়া হয়েছে
শহর প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের মিনহাজ উদ্দিন মিনা (৪০) নামের এক ভূষি ব্যবসায়ী নিখোঁজের একদিন পর দ্বিখন্ডিত লাশ পাওয়া গেছে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার চর মুগদিয়া পাকাব্রিজের উপরে মিনার দ্বিখন্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পোড়াদহ রেলওয়ে পুলিশ। নিহত মিনহাজ উদ্দিন মিনা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়ার তেলপাম্পপাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২৩শে ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ী বের হয়ে আর ফেরেনি। পরেরদিন সকাল ১০টার দিকে মিনার পরিবারের কাছে পোড়াদহ রেলওয়ে পুলিশ ফোন করে বিষয়টি জানালে মুহূর্তের মধ্যে নেমে আসে শোকের ছায়া। নিহত মিনার স্ত্রী পারভিন আরা বলেন, গত ২৩শে ডিসেম্বর সকালে আমার সাথে খাওয়া দাওয়া করে লুঙ্গী আর ফুলহাতা শার্ট পরে বাইরে গেলে আর ফিরে আসেনি আমার স্বামী। পোড়াদহ রেলওয়ে পুলিশ ফোন করে জানায় আমার স্বামী রেল লাইনের উপরে দ্বিখন্ডিত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে পরিবারের লোকজন গিয়ে মিনার মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। এব্যপারে পোড়াদহ রেলওয়ের এসআই রামপ্রসাদ দত্তের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা খবর পেয়ে ভেড়ামারা চর মুগদিয়া পাকা ব্রিজের উপর থেকে একটি দ্বিকন্ডিত লাশ উদ্ধার করি। পরে তার জামার পকেটে থাকা মোবাইল থেকে তার বাড়িতে জানানো হলে তারা এসে মিনহাজ উদ্দিন মিনাকে সনাক্ত করে। পরে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করে লাশ নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়। পরে এ বিষয়ে এস আই রামপ্রসাদ দত্ত আরো বলেন প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা হতে পারে। পরে এটি ময়নাতদন্তর রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা? তবে এ ঘটনায় এলাকায় নিখোঁজ আতংক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে আলোকদিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান ইসলাম বলেন, মিনহাজ উদ্দিন মিনার মতো সৎ মানুষ এলাকায় খুবই কম। তবে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি মিনার পরিচিত কোরবানের আমানতের ২৫হাজার টাকা খরচ করে সেই টাকা আর জোগাড় করতে না না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে। তবে এ বিষয়ে পোড়াদহ রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। যার মামলা নং-১৬। গতকাল রাতেই মিনার নিজ এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফনকার্য সম্পূর্ন করা হয়।