চুয়াডাঙ্গায় রেললাইনে উন্নতমানের ক্লিপের বদলে রঙ করা নিম্নমানের ক্লিপ লাগানোর অভিযোগ পরিবর্তনের ১০ দিনের মাথায় ভেঙে যাচ্ছে ক্লিপ : দুর্ঘটনার আশঙ্কা
- আপলোড টাইম : ০২:৩১:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬
- / ৫০০ বার পড়া হয়েছে
উজ্জ্বল মাসুদ: চুয়াডাঙ্গায় রেললাইনের ক্লিপ লাগানোর দশ দিনের মাথায় তা ভেঙে যাচ্ছে। ফলে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। গত ১০ দিন আগে থেকে চুয়াডাঙ্গায় রেললাইনের পুরনো ক্লিপ পরিবর্তন করে নতুন ক্লিপ লাগানোর কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে গত ৪/৫ দিন ধরে আকস্মিকভাবে তা ফাটলের পর ভেঙে ছিটকে পড়ছে। ফলে ঘনবসতি এলাকায় যে কোন সময় রেললাইনের ক্লিপ ছিটকে আঘাত লাগতে পারে পথচারীদের। অন্যদিকে জনশূন্য এলাকায় একে একে ক্লিপ ভাঙার ফলে বড় ধরণের ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা। গতকাল রোববার পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা মুসলিমপাড়া এলাকা থেকে প্রচুর ভাঙা ক্লিপ গুছিয়েছে স্থানীয়রা।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মুসলিমপাড়ার বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, গত ১০ দিন ধরে রেললাইনের ক্লিপ পরিবর্তন কাজ চলছে। রেললাইনের নিচে থাকা কাঠ সরিয়ে দেয়া হয়েছে লোহার পাত। আর ওই লোহার পাতের সাথে রেললাইন আটকে রাখার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ক্লিপ। এর আগে লোহার পাতের সাথে যে ক্লিপ ব্যবহার করা হয়েছে তা আজও তেমনই আছে। অথচ এবার বেশ ভিন্ন কিছু ব্যবহার করা হচ্ছে। নীল রঙের আবরণে ঢালাইয়ের তৈরি ক্লিপ ব্যবহার করা হচ্ছে বলে ধারণা করেন তারা। ঢালাইয়ের ক্লিপ ব্যবহারের ফলে ফাটলের পর তা ভেঙে ছিটকে যাচ্ছে।
মুসলিমপাড়া এলাকার যুবক রাজীব আহমেদ সমীকরণকে জানান, আমরা রেললাইনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিজস্ব জমিতে বসবাস করি। ফলে রেললাইনের আশপাশেই আমাদের আনাগোনা। এলাকার প্রায় সব বয়সি মানুষই মাঝেমাঝে রেললাইনের ওপরে বসে সময় কাটাই, লাইনের পাশে সরু পথ দিয়ে চলাচল করে। এভাবে হঠাৎ ক্লিপ ভেঙে ছিটকে গিয়ে তা মানুষের গায়ে লাগতে পারে।
মুসলিমপাড়ার বাসিন্দা ইমন জানান, এর আগে যে উন্নতমানের ক্লিপার লাগানো ছিলো। তাতে কোনো রঙ করা ছিলো না। কোনদিন ভেঙে যেতেও দেখিনি। কিন্তু এবার নীল রঙ করা ক্লিপ লাগানো হয়েছে। প্রতিদিন যেটুকু সময় লাইনের পাশে থাকি কয়েকটি ক্লিপ ভেঙে ছিটকে পড়তে দেখি। ভাঙা ক্লিপ দেখে মনে হচ্ছে তা ঢালাইয়ের তৈরী। সাধারণ ঢালাইয়ের ক্লিপ বলেই তা ফেটে ভেঙে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ট্রেন চলার সময় লাইনের ওপর প্রচ- চাপ পড়ে। চাপ না পড়েই যেভাবে ভেঙে যাচ্ছে, চাপ পড়লে কিছুদিনের মধ্যে হয়তো সবগুলো ভেঙে পড়বে। পাড়া-মহল¬ার মধ্যে বলে আমরা এগুলো দেখতে পাচ্ছি। মাঠের মধ্যে ক্লিপ ভাঙা দেখতে না পাচ্ছি না। ফলে দ্রুত তা নিরসন না হলে বড় ধরণের ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখে গাইদঘাট ট্র্যাজেডির মত আরেকটি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষার জন্য কর্তৃপক্ষের সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে এলাকাবাসী।