ওসি বটে ! মেলার নামে শুরু হয়েছে জুয়া ও নগ্ন নৃত্য প্রশাসনের ছত্রছায়ায় জেলাব্যাপী শুরু হয়েছে অশ্লীলতার ভয়াবহ উন্মাদনা
- আপলোড টাইম : ০২:৪৪:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬
- / ৩৯৬ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানার ওসি তরিকুল ইসলাম এবার ভাটোই মেলার আয়োজকদের নিকটে সাংবাদিকদের তথ্য সরবরাহ করলেন ! মহান বিজয়ের মাসে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় জেলা ব্যাপী অশ্লীলতার ভয়াবহ উন্মাদনা শুরু হয়েছে। গ্রাম্য কৃষ্টি কালচার পদদলিত করে মেলার নামে শুরু হয়েছে জুয়া ও নগ্ন নৃত্য। আর এসব করা হচ্ছে বিজয় মেলার নামে। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে অনুমতি নিয়ে জুয়াড়িদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে অনুষ্ঠানে যাবতীয় স্বত্ব। আর এতে পোয়া বারো হচ্ছে জুয়াড়িদের। আশেপাশের জেলা থেকে দাগী অপরাধীদের পাশাপাশি নামি দামি জুয়াড়িরা আসছে জুয়া খেলতে। চলছে ফাঁকে ফাঁকে ইয়াবার মরণ নেশা। জেলা ও উপজেলা শহরে প্রকাশ্যে মাইকিং করে বিক্রি করা হচ্ছে জুয়া ও হাউজির টিকেট। এলাকাবাসীসুত্রে ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহের শৈলকুপার কড়াইতলা নামক স্থানে যাত্রার নামে অশ্লিল নৃত্য ও জুয়ার আসর বসানো হয়েছে। বিজয় মেলার নাম করে স্থানীয় একটি এনজিওর নিবার্হী পরিচালক এই মেলার আয়োজন করেছে। প্রসাশনিক অনুমতি শেষ হওয়ার পরেও শৈলকুপার ওসিকে ম্যানেজ করে যাত্রা প্যান্ডেলে নগ্ন নৃত্য ও জুয়ার রমরমা ব্যবসা করছে। এই অসামাজিক কার্যকলাপে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে অভিযোগ করার পরে তদন্তে এর সত্যতা মিলেছে। শৈলকুপার থানার ওসি তরিকুল ইসলামকে অশালীন নৃত্য ও রমরমা জুয়ার বিষয়ে বক্তব্য চাইলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, আমি জরুরী ভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ওসির বক্তব্য শেষ হবার পরপরই স্থানীয় এনজিওর নিবার্হী পরিচালক ও মেলার আয়োজকদের ফোনের পর ফোন আসতে থাকে। এতে সাধারনতভাবে প্রতিয়মান হয় যে, শৈলকুপার থানার ওসি তরিকুল ইসলাম মেলার আয়োজকদের নিকটে সাংবাদিকদের এসব গোপন তথ্য সরবরাহ করেন। এদিকে দৈনিক উল্লাস র্যাফেল ড্র লটারির শেষ দিনে সাত লাখ টাকার বেচাঁকেনা শেষে, ঝিনাইদহ আদর্শপাড়ার জৈনিক মুন্নির নামে একাটা এ্যাপাসি আরটিআর মোটরসাইকেল বাধে। পরের দিনে মুন্নিকে লটারিতে বাধা প্রাইজ দেয়া হয়নি। শৈলকুপার শাহী মসজিদের নামে জৈনিক ব্যক্তির একটি এইটটি সিসি মোটরসাইকেল বাধে ও অন্য জনের পঞ্চাশ হাজার টাকা ও একজোড়া স্বর্ণের তের আনা ওজনের নেকলেস বাধলে না দিয়ে পরের দিন নয় লাখ টাকার টিকিট বেচাকেনা শেষে পাঁচ লাখ টাকার পুরষ্কার না দিয়ে মাঠের মালিক সাথী এনজিওর নিবার্হী পরিচালক টিএ রাজু, আক্কেল মোল্লা, নাকোল গ্রামের বসির ও মশিয়ার, কুলচারার কালাম ও পুলিশকে ম্যানেজ করে, দৈনিক উল্লাস র্যফেল ড্র লটারির মালিকেরা পালিয়ে যায়। পরে মাঠের মালিক সাথী এনজিওর নিবার্হী পরিচালক টিএ রাজু, আক্কেল মোল্লা, নাকোল গ্রামের বসির ও মশিয়ার, কুলচারার কালাম, ভাটোর বাবলুর নিকটে সার্কাসের যাবতীয় মালামালসহ পিকাপ ও হাতি আটকিয়ে রেখেছেন বলে এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে। এখন এলাকাবাসীর দাবী, মাঠের মালিক সাথী এনজিওর নিবার্হী পরিচালক টিএ রাজুর বাড়িতে লটারির পুরষ্কারের পিকাপ ও ৬টি বিভিন্ন প্রকারের মোটরসাইকেলসহ লটারির যাবতীয় মালামাল আছে। সেই পিকাপ ও ৬টি বিভিন্ন প্রকারের মোটরসাইকেলসহ লটারির যাবতীয় মালামালের মধ্যে থেকে শেষ দিনে লটারিতে জয়ীদেরকে মোটরসাইকেলসহ লটারির যাবতীয় মালামালা দেয়া হোক।