ইপেপার । আজ রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা খাড়াগোদায় বছরের পর বছর বাঁধা বিপত্তি ছাড়াই চলছে জমজমাট সুদের ব্যবসা সুদের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে ঘর ছাড়া অনেক পরিবার : সুদ ব্যবসা উচ্ছেদে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৩৮:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৫৬১ বার পড়া হয়েছে

cccc

নিজস্ব প্রতিবেদক: নামে সমিতি, না আছে এদের সরকারী কোন অনুমতি, না এরা কোন এনজিও সংস্থা। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে এরা কোন প্রকার বাঁধা বিপত্তি ছাড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সুদের জমাট রমরমা ব্যবসা। অনেকটাই আঙ্গুল ফুলে কলা গাছের গল্পের মতোই ঘটনা। বলা হচ্ছে, চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহের খাড়াগোদা, গড়াইটুপি, তেঘরী, জামলাপাড়া, খেজুরতলা, কালুপোল, গোষ্টবিহার এলাকার দিনের পর দিন দেদারছে চালিয়ে যাওয়া সুদ ব্যবসায়ীদের কথা। এলাকার কয়েকজন মিলে কয়েক-টি সমিতির নামে একশত টাকায় মাসিক ১০ টাকা হারে এমন ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এসব সমিতির মধ্যে ভুক্তভোগি নিম্নবিত্তসহ জড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য চাষী কৃষক। বিপদ আপদ ও কৃষি কাজে অনেকটাই বাধ্য হয়ে এমন টাকা না নিয়ে উপায়ও থাকেনা। কিন্তু এসব টাকা সমিতির নিয়মাবলিতে ছয় মাস পর সুদে আসলে পরিশোধ না দেখালে ঋণ-তো দূরের কথা বরং টাকা আদায়ের ক্ষেত্রে বাড়ির গরু ছাগল, এমনকি ঘরের টিন পর্যন্ত খুলে আনার গল্প রয়েছে। এই এলাকাতে এখন ৪০ থেকে ৫০ সদস্যের ৫ থেকে ৬টি বড় আকারের সমিতির নামে চলছে রমরমা সুদের কারবার। এই সুদের টাকা নিয়েই বাড়ি ছাড়তে হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদরের খাড়াগোদা গ্রামের মশলেমের ছেলে আকিদুল, ভাদু মালিতার ছেলে ছমির মালিতা, খোরশেদের ছেলে মালেক, সাজ্জাত মালিতার ছেলে বিল¬াল, আনোয়ারের ছেলে কালু, শের আলীর ছেলে কামাল, আলিমের ছেলে সম্রাট এবং শরিফুলের। এরা সবাই এই সুদ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নেয়। পরে নির্দিষ্ট সময়ে টাকা ফেরত দিতে না পাড়ায় চাপ দিতে থাকলে এরা সবাই গ্রাম ছাড়া হয়। এরা সবাই বাড়ি ছাড়া হওয়ায় অনেকটা “লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু” প্রবাদ বাক্যের মতো অবস্থা শুরু হলে এ এলাকার সুদ খোর/ব্যবসায়ীদের মাঝে শুরু হয়েছে ঝগড়ার মতো অবস্থা। সুদের এ টাকা নিয়ে প্রায় বাজারে সৃষ্টি হচ্ছে ঝগড়া। এভাবেই প্রায় মানুষ সুদের টাকা নিয়ে শোধ করতে না পাড়লে তাদের বাড়ি ছাড়তে হয়। নয়তো তাদের বিক্রয় করে দিতে হয় গরু, ছাগল কিংবা দামি কোনো জিনিস সুদের টাকা পরিশোধ করতে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় শেষ হয়ে যাবে গ্রামের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষগুলো। বিক্রয় করে দিতে হবে বসত ভিটাও। সমাজের এই ক্ষতিকর সমাজ-বিরোধী অবৈধ সুদ ব্যবসা উচ্ছেদে জেলা প্রশাসের সুনজর  কামনা করছে এলাকার সচেতন মহল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গা খাড়াগোদায় বছরের পর বছর বাঁধা বিপত্তি ছাড়াই চলছে জমজমাট সুদের ব্যবসা সুদের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে ঘর ছাড়া অনেক পরিবার : সুদ ব্যবসা উচ্ছেদে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

আপলোড টাইম : ০২:৩৮:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬

cccc

নিজস্ব প্রতিবেদক: নামে সমিতি, না আছে এদের সরকারী কোন অনুমতি, না এরা কোন এনজিও সংস্থা। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে এরা কোন প্রকার বাঁধা বিপত্তি ছাড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সুদের জমাট রমরমা ব্যবসা। অনেকটাই আঙ্গুল ফুলে কলা গাছের গল্পের মতোই ঘটনা। বলা হচ্ছে, চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহের খাড়াগোদা, গড়াইটুপি, তেঘরী, জামলাপাড়া, খেজুরতলা, কালুপোল, গোষ্টবিহার এলাকার দিনের পর দিন দেদারছে চালিয়ে যাওয়া সুদ ব্যবসায়ীদের কথা। এলাকার কয়েকজন মিলে কয়েক-টি সমিতির নামে একশত টাকায় মাসিক ১০ টাকা হারে এমন ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এসব সমিতির মধ্যে ভুক্তভোগি নিম্নবিত্তসহ জড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য চাষী কৃষক। বিপদ আপদ ও কৃষি কাজে অনেকটাই বাধ্য হয়ে এমন টাকা না নিয়ে উপায়ও থাকেনা। কিন্তু এসব টাকা সমিতির নিয়মাবলিতে ছয় মাস পর সুদে আসলে পরিশোধ না দেখালে ঋণ-তো দূরের কথা বরং টাকা আদায়ের ক্ষেত্রে বাড়ির গরু ছাগল, এমনকি ঘরের টিন পর্যন্ত খুলে আনার গল্প রয়েছে। এই এলাকাতে এখন ৪০ থেকে ৫০ সদস্যের ৫ থেকে ৬টি বড় আকারের সমিতির নামে চলছে রমরমা সুদের কারবার। এই সুদের টাকা নিয়েই বাড়ি ছাড়তে হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদরের খাড়াগোদা গ্রামের মশলেমের ছেলে আকিদুল, ভাদু মালিতার ছেলে ছমির মালিতা, খোরশেদের ছেলে মালেক, সাজ্জাত মালিতার ছেলে বিল¬াল, আনোয়ারের ছেলে কালু, শের আলীর ছেলে কামাল, আলিমের ছেলে সম্রাট এবং শরিফুলের। এরা সবাই এই সুদ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নেয়। পরে নির্দিষ্ট সময়ে টাকা ফেরত দিতে না পাড়ায় চাপ দিতে থাকলে এরা সবাই গ্রাম ছাড়া হয়। এরা সবাই বাড়ি ছাড়া হওয়ায় অনেকটা “লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু” প্রবাদ বাক্যের মতো অবস্থা শুরু হলে এ এলাকার সুদ খোর/ব্যবসায়ীদের মাঝে শুরু হয়েছে ঝগড়ার মতো অবস্থা। সুদের এ টাকা নিয়ে প্রায় বাজারে সৃষ্টি হচ্ছে ঝগড়া। এভাবেই প্রায় মানুষ সুদের টাকা নিয়ে শোধ করতে না পাড়লে তাদের বাড়ি ছাড়তে হয়। নয়তো তাদের বিক্রয় করে দিতে হয় গরু, ছাগল কিংবা দামি কোনো জিনিস সুদের টাকা পরিশোধ করতে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় শেষ হয়ে যাবে গ্রামের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষগুলো। বিক্রয় করে দিতে হবে বসত ভিটাও। সমাজের এই ক্ষতিকর সমাজ-বিরোধী অবৈধ সুদ ব্যবসা উচ্ছেদে জেলা প্রশাসের সুনজর  কামনা করছে এলাকার সচেতন মহল।