ইপেপার । আজ রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

ঝিনাইদহে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ড.এম হারুণ-অর-রশীদ আর কত দিন এভাবে ভোট ডাকাতি ও ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হবে!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৫৫:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৪৫৭ বার পড়া হয়েছে

e

ঝিনাইদহ অফিস: আর কত দিন এভাবে ভোট ডাকাতি হবে! সাধারণ মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হবে! ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচন-২০১৬ নিয়ে শুরু হয়েছে এমনই খেলা। এ খেলার শেষ কোথায়? ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচন-২০১৬ এর আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ড.এম হারুণ-অর-রশীদের উপর প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন। তিনি অভিযোগ করেন- তার প্রতিপক্ষ চশমা প্রতীকের প্রার্থী কনক কান্তি দাস প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হেরে যাওয়ার ভয়ে জনগনের উপর ভরসা হারিয়ে তিনি এই সন্ত্রাসী পথ বেছে নিয়েছেন। অস্ত্র প্রদর্শন, প্রাণনাশের চেষ্টা, মারপিট, ভাংচুর, পোষ্টার ছেড়া এবং হুমকী-ধামকী করে ভোট ডাকাতীর মাধ্যমে নির্বাচনে জয়লাভ করতে চান, যা নির্বাচনী আচরণবিধি সম্পূর্ণভাবে লঙ্ঘিত এবং নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট হয়। তিনি তার নিজের উপর ও কর্মীদের উপর হামলার কিছু লিখিত বিবরণ সংবাদ সম্মেলনে সর্বসম্মুখে পাঠ করেন এবং তার কপি বিতরণ করেন। সর্বোপরি তিনি অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষে ৫টি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। যা নিরূপ- ১.নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে আমাকে ভোটারদের কাছে যাওয়ার জন্য পুলিশী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ২.আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যারা আমার ও আমার নির্বাচনী কর্মীদের উপর হামলা, পোষ্টার ছেঁড়া ও প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে তাদেরকে গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি। ৩.ভোটের ৭২ ঘন্টা পূর্বে প্রতিটি কেন্দ্র এলাকায় সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। ৪.ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শণ, অবৈধ অর্থ লেনদেন ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দ্রুত বন্ধ করতে হবে। ৫.সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রতিটি কেন্দ্রে বিচারিক ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোতায়েন করতে হবে। এছাড়া তিনি লিখিত বক্তব্যে সন্ত্রাসী হামলার বিবরণ এভাবে তুলে ধরেন। নি¤েœ হুবহু দেওয়া হল: গত ৮/১২/১৬ইং তাং- শৈলকুপার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের জনসভার নামে ডেকে ভোটের সীল গোপনে নয়, চশমা প্রতীকের লোকদের সামনে মারার হুমকী দেয়। ১১/১২ তাং চশমা প্রতীকের ২৫টি মাইক্রোবাস শোডাউন, ৩০০ লোকের খাসি জবাই করে দুপুরের খাওয়া শেষে জনসভায় ড.হারুন সাহেবের উদ্দেশ্যে গালিগালাজ ও জোরপূর্বক ভোট গ্রহণের ঘোষণা দেন এবং আনারস প্রতীকের কোন পোলিং এজেন্টকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হবে না। প্রতিটি সভায় ইউনিয়ন পরিষদের হলরুম ব্যবহার করা হয়। ১২/১২তাং চশমা প্রতীকের ২৫টি মাইক্রোবাস শোডাউন, ৫০০ লোকের বিরিয়ানী খাওয়া শেষে জনসভায় ড.হারুন সাহেবের উদ্দেশ্যে গালিগালাজ ও জোরপূর্বক ভোট গ্রহণের ঘোষণা দেন। এক্ষেত্রেও সভার স্থল ছিল মহেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের হলরুম। ১৪/১২ তাং গান্না ও মহারাজপুর ইউনিয়নে আনারসের পোষ্টার ছেড়া, কর্মীদের প্রচন্ড মারধর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়রীর জন্য আবেদন করা আছে কিন্তু নথিভুক্ত হয়নি। ১৫তাং মধুহাটি ইউনিয়নে ৮জন সন্ত্রাসী টিপু সুলতানও আঃ মজিদ নামে ২ আনারস কর্মীকে প্রচন্ড মারধর করে আহত করে এবং খুনের হুমকী দিয়ে স্থান ত্যাগ করে। ১৬তাং হলিধানী বাজার থেকে ১০/১২ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল সৃজনী বাংলাদেশ অফিস আক্রমন করে ড. হারুণ সাহেবকে না পেয়ে সাইনবোর্ড ও অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। ১৮তাং নারিকেলবাড়ীয়া ইউনিয়ন থেকে আনারস প্রার্থীর ছোট ভাই তোতাকে মারধর করে মাইক্রোবাসে থাকা জরুরী কাগজপত্র, ড.হারুণ সাহের’র লাইসেন্সকৃত একটি পিস্তল ও ০৮ রাউন্ড গুলিসহ একটি মাইক্রোবাস ছিনতাই করে নিয়ে যায়, যার নং- চ ৫১৮১। এখন পর্যন্ত তারা আমার ও আমার কর্মীদের প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছে। এ ব্যাপারেও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীর আবেদন করা হয়েছে। এই দিনই মহেশপুর উপজেলায় সমস্ত মেম্বর-চেয়ারম্যানদের উপস্থিতিতে কনক কান্তি দাস ভোট কেন্দ্র দখল, সম্মুখে ব্যালট পেপারে সীল মারা এবং আনারসের কোন কর্মীকে আগামী কাল থেকে কাজ করতে দেয়া হবে না মর্মে ঘোষণা দেয়। ১৯ তাং হারুণ সাহের ছোট ভাই তোতাকে খুনের হুমকি দেয়। অবশেষে সাংবাদিকদের মাধ্যমে ড.হারুন-অর-রশিদ জাতীর বিবেকের কাছে দাবি করেছেন উপরোক্ত ঘটনাবলী ও আমার দাবিসমূহ সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ সহযোগিতা করবেন বলে একান্তভাবে কামনা করছি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

ঝিনাইদহে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ড.এম হারুণ-অর-রশীদ আর কত দিন এভাবে ভোট ডাকাতি ও ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হবে!

আপলোড টাইম : ০২:৫৫:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬

e

ঝিনাইদহ অফিস: আর কত দিন এভাবে ভোট ডাকাতি হবে! সাধারণ মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হবে! ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচন-২০১৬ নিয়ে শুরু হয়েছে এমনই খেলা। এ খেলার শেষ কোথায়? ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচন-২০১৬ এর আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ড.এম হারুণ-অর-রশীদের উপর প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন। তিনি অভিযোগ করেন- তার প্রতিপক্ষ চশমা প্রতীকের প্রার্থী কনক কান্তি দাস প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হেরে যাওয়ার ভয়ে জনগনের উপর ভরসা হারিয়ে তিনি এই সন্ত্রাসী পথ বেছে নিয়েছেন। অস্ত্র প্রদর্শন, প্রাণনাশের চেষ্টা, মারপিট, ভাংচুর, পোষ্টার ছেড়া এবং হুমকী-ধামকী করে ভোট ডাকাতীর মাধ্যমে নির্বাচনে জয়লাভ করতে চান, যা নির্বাচনী আচরণবিধি সম্পূর্ণভাবে লঙ্ঘিত এবং নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট হয়। তিনি তার নিজের উপর ও কর্মীদের উপর হামলার কিছু লিখিত বিবরণ সংবাদ সম্মেলনে সর্বসম্মুখে পাঠ করেন এবং তার কপি বিতরণ করেন। সর্বোপরি তিনি অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষে ৫টি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। যা নিরূপ- ১.নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে আমাকে ভোটারদের কাছে যাওয়ার জন্য পুলিশী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ২.আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যারা আমার ও আমার নির্বাচনী কর্মীদের উপর হামলা, পোষ্টার ছেঁড়া ও প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে তাদেরকে গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি। ৩.ভোটের ৭২ ঘন্টা পূর্বে প্রতিটি কেন্দ্র এলাকায় সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। ৪.ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শণ, অবৈধ অর্থ লেনদেন ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দ্রুত বন্ধ করতে হবে। ৫.সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রতিটি কেন্দ্রে বিচারিক ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোতায়েন করতে হবে। এছাড়া তিনি লিখিত বক্তব্যে সন্ত্রাসী হামলার বিবরণ এভাবে তুলে ধরেন। নি¤েœ হুবহু দেওয়া হল: গত ৮/১২/১৬ইং তাং- শৈলকুপার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের জনসভার নামে ডেকে ভোটের সীল গোপনে নয়, চশমা প্রতীকের লোকদের সামনে মারার হুমকী দেয়। ১১/১২ তাং চশমা প্রতীকের ২৫টি মাইক্রোবাস শোডাউন, ৩০০ লোকের খাসি জবাই করে দুপুরের খাওয়া শেষে জনসভায় ড.হারুন সাহেবের উদ্দেশ্যে গালিগালাজ ও জোরপূর্বক ভোট গ্রহণের ঘোষণা দেন এবং আনারস প্রতীকের কোন পোলিং এজেন্টকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হবে না। প্রতিটি সভায় ইউনিয়ন পরিষদের হলরুম ব্যবহার করা হয়। ১২/১২তাং চশমা প্রতীকের ২৫টি মাইক্রোবাস শোডাউন, ৫০০ লোকের বিরিয়ানী খাওয়া শেষে জনসভায় ড.হারুন সাহেবের উদ্দেশ্যে গালিগালাজ ও জোরপূর্বক ভোট গ্রহণের ঘোষণা দেন। এক্ষেত্রেও সভার স্থল ছিল মহেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের হলরুম। ১৪/১২ তাং গান্না ও মহারাজপুর ইউনিয়নে আনারসের পোষ্টার ছেড়া, কর্মীদের প্রচন্ড মারধর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়রীর জন্য আবেদন করা আছে কিন্তু নথিভুক্ত হয়নি। ১৫তাং মধুহাটি ইউনিয়নে ৮জন সন্ত্রাসী টিপু সুলতানও আঃ মজিদ নামে ২ আনারস কর্মীকে প্রচন্ড মারধর করে আহত করে এবং খুনের হুমকী দিয়ে স্থান ত্যাগ করে। ১৬তাং হলিধানী বাজার থেকে ১০/১২ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল সৃজনী বাংলাদেশ অফিস আক্রমন করে ড. হারুণ সাহেবকে না পেয়ে সাইনবোর্ড ও অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। ১৮তাং নারিকেলবাড়ীয়া ইউনিয়ন থেকে আনারস প্রার্থীর ছোট ভাই তোতাকে মারধর করে মাইক্রোবাসে থাকা জরুরী কাগজপত্র, ড.হারুণ সাহের’র লাইসেন্সকৃত একটি পিস্তল ও ০৮ রাউন্ড গুলিসহ একটি মাইক্রোবাস ছিনতাই করে নিয়ে যায়, যার নং- চ ৫১৮১। এখন পর্যন্ত তারা আমার ও আমার কর্মীদের প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছে। এ ব্যাপারেও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীর আবেদন করা হয়েছে। এই দিনই মহেশপুর উপজেলায় সমস্ত মেম্বর-চেয়ারম্যানদের উপস্থিতিতে কনক কান্তি দাস ভোট কেন্দ্র দখল, সম্মুখে ব্যালট পেপারে সীল মারা এবং আনারসের কোন কর্মীকে আগামী কাল থেকে কাজ করতে দেয়া হবে না মর্মে ঘোষণা দেয়। ১৯ তাং হারুণ সাহের ছোট ভাই তোতাকে খুনের হুমকি দেয়। অবশেষে সাংবাদিকদের মাধ্যমে ড.হারুন-অর-রশিদ জাতীর বিবেকের কাছে দাবি করেছেন উপরোক্ত ঘটনাবলী ও আমার দাবিসমূহ সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ সহযোগিতা করবেন বলে একান্তভাবে কামনা করছি।