চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল এ্যান্ড কলেজের জমি নিয়ে বিরোধ : অনুরোধ করেও মানলেন না টিএ্যান্ডটি কর্তৃপক্ষ আইনী জটিলতায় থমকে গেল ভাল একটি কাজ -জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস
- আপলোড টাইম : ০২:৪৭:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬
- / ৩৫৮ বার পড়া হয়েছে
হুসাইন মালিক/এমএ মামুন: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে “চুয়াডাঙ্গা কালেক্ট্ররেট স্কুল এ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার মত ভাল একটা কাজ থেমে গেল আইনি জটিলতায়। সেই সাথে স্থগিত হলো সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত ১৫ জন শিক্ষক ও কর্মচারীর নিয়োগ। বললেন, জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। তিনি অনেকটা কষ্টের সুরেই বললেন, আমরা জমি ও প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে যাব না, এটা চুয়াডাঙ্গাবাসীর সম্পদ। তাছাড়া বারবার অনুরোধ করেও টিএ্যান্ডটি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মানলেন না। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস জানান, গত ২২আগষ্ট খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ উল্লেখিত টিএ্যান্ডটি কর্তৃপক্ষের পরিত্যাক্ত জমিতে “চুয়াডাঙ্গা কালেক্ট্ররেট স্কুল এ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন। কিন্তু ঐদিনই টিএ্যান্ডটি কর্তৃপক্ষ ভবন নির্মাণে বাধ সাদে এবং কর্তৃপক্ষ জেলা জজ-১ এর আদালতে উক্ত সম্মপত্তিতে ভবন নির্মাণের নিষেধাজ্ঞার আবেদন করে। কিন্তু আদালত তা না মঞ্জুর করেন। এতে করে স্থানীয় বিচার বিভাগের রায়ের ফলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আন্তরিকতার সাথে স্কুল এ্যান্ড কলেজের কাজ শুরু করে। এরপর শুরু হয় শিক্ষক নিয়োগ ও ছাত্র ভর্তির কাজ। কিন্তু টিএ্যান্ডটি কর্তৃপক্ষ চুয়াডাঙ্গা আদালতে তাদের আবেদন নামঞ্জুর হওয়ায় তারা উচ্চ আদালতে আপিল করে। উচ্চ আদালত টিএ্যান্ডটি কর্তৃপক্ষের আবেদন আমলে নিয়ে উক্ত জমিতে যেকোনো নির্মাণ কাজ ৬ মাসের জন্য স্থগিদ আদেশ দেন। এই রায়ের ফলে জেলা প্রশাসনের মহৎ উদ্যোগ “চুয়াডাঙ্গা কালেক্ট্ররেট স্কুল এ্যান্ড কলেজ” নিমার্ণের স্বপ্ন বাস্তবায়নের শেষ ধাপে এসে ধমকে গেল এবং অনিশ্চিত হয়ে গেল ১৫ জন শিক্ষক ও কর্মচারীর ভবিষৎ। চুয়াডাঙ্গার সচেতন মহলের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জজ কোর্টের আইনজীবি এ্যাডভোকেট মানিক আকবর বলেন মাহামান্য হাইকোর্টের আদেশ সবাইকে সম্মানন জানাতে হবে। তবে স্কুল প্রতিষ্ঠার কাজটি ভাল উদ্যোগ ছিল। সরকারী দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই আইনী জটিলতার নিরসন হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা হলে এলাকার শিক্ষা বিস্তারে জনমানুষের কল্যাণ হবে। এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও সাধারন ব্যক্তিরা টিএ্যান্ডটি কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনকে সমঝোতায় এসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন। উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত উল্লেখিত জমিটি সরকারের ১ নং খাস খতিয়ানে ছিল।