ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

কাবিলনগরের শামসুল অপহরনের নাটক পুলিশসহ সকলকে হয়রানী : প্রকৃত ঘটনা উন্মোচনের পথে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৩৩:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৩৬২ বার পড়া হয়েছে

IMG_20161219_192834আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গার কাবিলনগর গ্রামের কৃষক শামসুল অপহরন নাটক সাজিয়ে নিজে অনত্র পালিয়ে থাকে। এ ব্যাপারে শামসুলকে ১৬৪ ধারায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে শামসুল। আজও তাকে কোর্টে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিয়রবিলা গাজিপাড়া গ্রামের সাঈদ নামের ১ব্যক্তি সামসুলকে জানায় উপর লেভেলে আমার সাথে তোমার ব্যাপারে কথা হয়েছে। তুমি আমার সাথে যোগাযোগ কর। সামসুল তার কথা শুনে তার সাথে দেখা করতে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আর ফিরে আসেনি। উল্লেখ্য সামসুল অপহরন মামলায় ইতোমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে তাদেরকে কাবিল নগর ও তিয়রবিলা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। গত বছরের শেষ দিকে শামসুল হকের কিশোর ছেলে সলোককে অপহরন ও হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এর  এক বছরের মাথায় তিনিও অপহরনের শিকার হন। আলমডাঙ্গার কাবিলনগর গ্রামের কৃষক শামসুল হক অপহরনের ঘটনায় পুলিশ বিভাগে তোলপাড় ওঠে। দুর্বৃত্তরা তার কিশোর ছেলে সলোককে এক বছর আগে অপহরন ও হত্যার পর শামসুল হককে অপহরন ঘটনায় টনক নড়ে পুলিশ বিভাগের। পুলিশ শামসুল হক অপহরন ঘটনার তদন্তে নামে। শনিবার রাতে পুলিশ কাবিলনগর ও তিয়রবিলা গ্রামে অভিযান চালায়। আলমডাঙ্গা থানার এসআই সাজ্জাদুল হক অভিযান চালিয়ে কাবিলনগর গ্রামের মুলুক মন্ডলের ছেলে রাজ্জাক আলী, একই গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে রফি, তিয়রবিলা গ্রামের মৃত গোলাপ মন্ডলের ছেলে শফিউদ্দিন ও একই গ্রামের মৃত নেছার উদ্দিন মৃধার ছেলে আতিয়ার রহমানকে শামসুল হক ঈধহনের ঘটনায় গ্রেফতার করে। তাদেরকে গতকালই আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গত বছরের শেষে দিকে আলমডাঙ্গার কাবিলনগর গ্রামের কৃষক শামসুল হকের ছেলে কিশোর সলোককে অপহরন ও হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। অপহরনের তিনদিনের মাথায় সরোজগঞ্জের বোয়ালিয়া বিল থেকে ক্ষতবিক্ষত সলোকের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় দুর্বৃত্তদের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়। আদালতে চার্জশীট দেওয়া হয়। চার্জশীট থেকে কিছু আসামীর নাম বাদ যাওয়ায় শামসুল হক আদালতে নারাজী পিটিশান দায়ের করতে ১১ ডিসেম্বর সকালে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। পথিমধ্যে শামসুল হকও ছেলে সলোকের ভাগ্য বরণ করতে অপহরনের শিকার হন। সবশেষে গতকাল আলমডাঙ্গা থানায় যোগাযোগ করলে দেখা যায়, শামসুল গতকালও আলমডাঙ্গা থানা জেল হাজতে অবস্থান করছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আজ চুয়াডাঙ্গা মহামান্য আদালতে হাজির করা হবে বলে জানা গেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

কাবিলনগরের শামসুল অপহরনের নাটক পুলিশসহ সকলকে হয়রানী : প্রকৃত ঘটনা উন্মোচনের পথে

আপলোড টাইম : ০২:৩৩:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬

IMG_20161219_192834আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গার কাবিলনগর গ্রামের কৃষক শামসুল অপহরন নাটক সাজিয়ে নিজে অনত্র পালিয়ে থাকে। এ ব্যাপারে শামসুলকে ১৬৪ ধারায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে শামসুল। আজও তাকে কোর্টে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিয়রবিলা গাজিপাড়া গ্রামের সাঈদ নামের ১ব্যক্তি সামসুলকে জানায় উপর লেভেলে আমার সাথে তোমার ব্যাপারে কথা হয়েছে। তুমি আমার সাথে যোগাযোগ কর। সামসুল তার কথা শুনে তার সাথে দেখা করতে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আর ফিরে আসেনি। উল্লেখ্য সামসুল অপহরন মামলায় ইতোমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে তাদেরকে কাবিল নগর ও তিয়রবিলা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। গত বছরের শেষ দিকে শামসুল হকের কিশোর ছেলে সলোককে অপহরন ও হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এর  এক বছরের মাথায় তিনিও অপহরনের শিকার হন। আলমডাঙ্গার কাবিলনগর গ্রামের কৃষক শামসুল হক অপহরনের ঘটনায় পুলিশ বিভাগে তোলপাড় ওঠে। দুর্বৃত্তরা তার কিশোর ছেলে সলোককে এক বছর আগে অপহরন ও হত্যার পর শামসুল হককে অপহরন ঘটনায় টনক নড়ে পুলিশ বিভাগের। পুলিশ শামসুল হক অপহরন ঘটনার তদন্তে নামে। শনিবার রাতে পুলিশ কাবিলনগর ও তিয়রবিলা গ্রামে অভিযান চালায়। আলমডাঙ্গা থানার এসআই সাজ্জাদুল হক অভিযান চালিয়ে কাবিলনগর গ্রামের মুলুক মন্ডলের ছেলে রাজ্জাক আলী, একই গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে রফি, তিয়রবিলা গ্রামের মৃত গোলাপ মন্ডলের ছেলে শফিউদ্দিন ও একই গ্রামের মৃত নেছার উদ্দিন মৃধার ছেলে আতিয়ার রহমানকে শামসুল হক ঈধহনের ঘটনায় গ্রেফতার করে। তাদেরকে গতকালই আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গত বছরের শেষে দিকে আলমডাঙ্গার কাবিলনগর গ্রামের কৃষক শামসুল হকের ছেলে কিশোর সলোককে অপহরন ও হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। অপহরনের তিনদিনের মাথায় সরোজগঞ্জের বোয়ালিয়া বিল থেকে ক্ষতবিক্ষত সলোকের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় দুর্বৃত্তদের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়। আদালতে চার্জশীট দেওয়া হয়। চার্জশীট থেকে কিছু আসামীর নাম বাদ যাওয়ায় শামসুল হক আদালতে নারাজী পিটিশান দায়ের করতে ১১ ডিসেম্বর সকালে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। পথিমধ্যে শামসুল হকও ছেলে সলোকের ভাগ্য বরণ করতে অপহরনের শিকার হন। সবশেষে গতকাল আলমডাঙ্গা থানায় যোগাযোগ করলে দেখা যায়, শামসুল গতকালও আলমডাঙ্গা থানা জেল হাজতে অবস্থান করছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আজ চুয়াডাঙ্গা মহামান্য আদালতে হাজির করা হবে বলে জানা গেছে।