ঝিনাইদহের হরিশপুরে ৩ দিনব্যাপী লালন স্মরনোৎসব সম্পন্ন
- আপলোড টাইম : ০৪:১২:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৬
- / ৩৯৩ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার হরিশপুর গ্রামে ৩দিন ব্যাপী লালন স্মরণ উৎসব সোমবার শেষ হয়েছে। লালনের জন্মভিটা হরিশপুর লালন একাডেমী মাঠে গত শনিবার এই স্মরণ উৎসবের উদ্বোধন করেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার। সভায় সভাপতিত্ব করেন, লালন স্মরণ উৎসব উদযাপন কমিটির আহায়ক ও জোড়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা পলাশ। তিন দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে দেশী বিদেশী লালন গবেষক ও বুদ্ধিজীবীরা দরবেশ সিরাজ সাঁই ও লালনের উপর আলোচনায় অংশ নেন। আলোচকরা দ্ব্যর্থহীনভাবে দাবী করেন, বাউল স¤্রাট লালন শাহ হরিশপুর গ্রামেই জন্মেছিলেন। পরে তিনি তার পীর বা গুরুর নির্দেশে কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় আখড়া স্থাপন করেন। বক্তাগন বলেন, লালনের জন্ম ও ধর্ম নিয়ে যে সব কথা প্রচার করা হয় তা সঠিক নয়। কারণ তার বংশধররা এখনো হরিশপুরেই বসবাস করছেন। লালনের বাড়ি যে হরিশপুরেই তা প্রমান করে তার দীক্ষাগুরু দরবেশ সিরাজ সাঁইয়ের গান ও নানা কর্মকান্ডে। সিরাজ সাইঁ ও লালন সুফিবাদ মতবাদের প্রচারক ছিলেন বলেও কোন কোন আলোচক দাবী করেন। আলোচকদের মধ্যে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ কর্ণেল সাদীকুল বারী, ঢাবির অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, রাবির অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, লালন গবেষক খোন্দকার কেরামত আলী, চলচিত্র প্রয়োজক আবু তাহের, অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম, ড. মোঃ শহীদুর রহমান, রাবি অধ্যাপক ড. আবুল হাসান চৌধুরী, ড. আনোয়ারুল করীম, জেলা কালচারাল অফিসার জসিম উদ্দীন, প্রফেসর এমএ মজিদ, অধ্যাপক মিজানুর রহমান, ড. মিজানুর রহমান ও ড. সিদ্ধার্থ শংকর জোয়ারদার প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। শেষ দিনের অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইদহ সরকারী কেসি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ড. বিএম রেজাউল করিম। তিন দিনের এই অনুষ্ঠানে দেশ বিদেশের অগনিত লালন ভক্ত ও সাধুরা অংশ গ্রহন করেন।