ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

জামিনে মুক্ত মান্না

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৫০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে

image_1755_269374সমীকরণ ডেস্ক: দীর্ঘ ২১ মাস পর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কেরানীগঞ্জস্থ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। এ সময় দলের নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। জেলার নেসার আলম মানবজমিনকে জানান, হাইকোর্টের আদেশ আসায় মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা ও অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে মান্নার কথোপকথন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ২০১৫ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বনানীর একটি বাসা থেকে  গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে একটি দল মান্নাকে নিয়ে যায় বলে পরিবার দাবি করলেও ওই সময় গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে আটক করার কথা অস্বীকার করা হয়। দিনভর তার খোঁজ পাওয়া না গেলেও পরদিন ২৪শে ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে গুলশান থানার পুলিশের হাতে মান্নাকে হস্তান্তর করে র‌্যাব। তখন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিদ্রোহে প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে মান্নার বিরুদ্ধে দ-বিধির ১৩১ ধারায় গুলশান থানায় মামলা করে পুলিশ। ২৫শে ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় আদালতে হাজির করে পুলিশ তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়। সেই রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়। এই দুই মামলায় গত ২ ও ৭ই মার্চ নিম্ন আদালতে মান্নার জামিন আবেদন নাকচ হয়। এর বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যগত যুক্তিতে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন মান্না। চলতি বছরের ১০ই নভেম্বর জামিন পান মান্না। অসুস্থতার কারণে কারাগারে থাকা অবস্থায় কয়েক দফা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন মান্না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

জামিনে মুক্ত মান্না

আপলোড টাইম : ০২:৫০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬

image_1755_269374সমীকরণ ডেস্ক: দীর্ঘ ২১ মাস পর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কেরানীগঞ্জস্থ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। এ সময় দলের নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। জেলার নেসার আলম মানবজমিনকে জানান, হাইকোর্টের আদেশ আসায় মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা ও অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে মান্নার কথোপকথন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ২০১৫ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বনানীর একটি বাসা থেকে  গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে একটি দল মান্নাকে নিয়ে যায় বলে পরিবার দাবি করলেও ওই সময় গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে আটক করার কথা অস্বীকার করা হয়। দিনভর তার খোঁজ পাওয়া না গেলেও পরদিন ২৪শে ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে গুলশান থানার পুলিশের হাতে মান্নাকে হস্তান্তর করে র‌্যাব। তখন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিদ্রোহে প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে মান্নার বিরুদ্ধে দ-বিধির ১৩১ ধারায় গুলশান থানায় মামলা করে পুলিশ। ২৫শে ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় আদালতে হাজির করে পুলিশ তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়। সেই রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়। এই দুই মামলায় গত ২ ও ৭ই মার্চ নিম্ন আদালতে মান্নার জামিন আবেদন নাকচ হয়। এর বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যগত যুক্তিতে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন মান্না। চলতি বছরের ১০ই নভেম্বর জামিন পান মান্না। অসুস্থতার কারণে কারাগারে থাকা অবস্থায় কয়েক দফা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন মান্না।