ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

নেহালপুরে গলাই ফাঁস দিয়ে কলেজছাত্রীর মৃত্যু ভাই ভাবীর বিরুদ্ধে নির্মম নির্যাতন ও আত্মহত্যার প্রচারণার অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৪৬:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৩৬২ বার পড়া হয়েছে

01

হিজলগাড়ী প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর গ্রামে হালদার পাড়ার ও বড়শলুয়া নিউ মডেল কলেজে এইচ.এস.সি ১ম বর্ষের ছাত্রীর গলাই ফাঁস দিয়ে রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় ধু¤্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। ভাই ভাবীর বিরুদ্ধে নির্মম নির্যাতন ও আত্মহত্যার প্রচারণার অভিযোগ তুলেছে নিহত ছাত্রীর পিতা ও মেজ ভাই। সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনের দাবি এলাকাবাসীর। জানা গেছে, গতকাল সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের নেহালপুর গ্রামের হালদার পাড়ার চৈতন হালদারের মেয়ে স্থানীয় বড়শলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রী কলেজের এইচ.এস.সি ১ম বর্ষের ছাত্রী কাজলী হালদার ( ১৮) কে গলাই ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা। মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধারের পর হাসপাতালে নেওয়ার উদ্যেশে গাড়ীতে তোলার সময় বাড়ীতেই তার মৃত্যু হয়। কাজলী হালদারের বৃদ্ধা পিতা চৈতন হালদার ও মেঝ ভাই বাসুদেব হালদার অভিযোগ করে “দৈনিক সময়ের সমীকরণ”কে বলেন, কাজলী হালদারের বিয়ের জন্য ব্যাংকে আমরা ৬লক্ষ টাকা রেখে দিয়েছি। সেই টাকা নেওয়ার জন্য বেশ কিছুদিন যাবত কাজলীর দুই ভাই রসু হালদার ও কানাই হালদার এবং কানাইয়ের স্ত্রী দিপা রানী হালদার কাজলীর পিতা চৈতনকে নানান ভাবে চাপা দিতে থাকে। কিন্তু মেয়ের বিয়ের জন্য রাখা টাকা কাউকে দিতে না চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে গত শুক্রবার চৈতনকে বেধড়ক মারপিট করে তারই কুলাঙ্গার ছেলে রসু। রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঘরের মধ্যে কাজলীকে গলাই ওড়না পেছিয়ে ঝুলতে দেখে প্রতিবেশীরা ঘরের দরজা খুলে তাকে উদ্ধার করে। এর হাসপাতালে নেওয়ার জন্য গাড়ী তুলার পরেই মারা যায় কাজলী। কাজলীর বৃদ্ধা পিতা চৈতন হালদার ও মেজ ভাই বাসুদেব হালদার অভিযোগ করে বলে, টাকার জন্য ওরা কাজলীকে হত্যা করেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আক্কাস আলী বলেন, এদের বাড়ীতে প্রায়ই ঝগড়া মারামারি হয়। হিজলগাড়ী ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই শফিকুর রহমান বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে ছিল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

নেহালপুরে গলাই ফাঁস দিয়ে কলেজছাত্রীর মৃত্যু ভাই ভাবীর বিরুদ্ধে নির্মম নির্যাতন ও আত্মহত্যার প্রচারণার অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০১:৪৬:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৬

01

হিজলগাড়ী প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর গ্রামে হালদার পাড়ার ও বড়শলুয়া নিউ মডেল কলেজে এইচ.এস.সি ১ম বর্ষের ছাত্রীর গলাই ফাঁস দিয়ে রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় ধু¤্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। ভাই ভাবীর বিরুদ্ধে নির্মম নির্যাতন ও আত্মহত্যার প্রচারণার অভিযোগ তুলেছে নিহত ছাত্রীর পিতা ও মেজ ভাই। সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনের দাবি এলাকাবাসীর। জানা গেছে, গতকাল সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের নেহালপুর গ্রামের হালদার পাড়ার চৈতন হালদারের মেয়ে স্থানীয় বড়শলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রী কলেজের এইচ.এস.সি ১ম বর্ষের ছাত্রী কাজলী হালদার ( ১৮) কে গলাই ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা। মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধারের পর হাসপাতালে নেওয়ার উদ্যেশে গাড়ীতে তোলার সময় বাড়ীতেই তার মৃত্যু হয়। কাজলী হালদারের বৃদ্ধা পিতা চৈতন হালদার ও মেঝ ভাই বাসুদেব হালদার অভিযোগ করে “দৈনিক সময়ের সমীকরণ”কে বলেন, কাজলী হালদারের বিয়ের জন্য ব্যাংকে আমরা ৬লক্ষ টাকা রেখে দিয়েছি। সেই টাকা নেওয়ার জন্য বেশ কিছুদিন যাবত কাজলীর দুই ভাই রসু হালদার ও কানাই হালদার এবং কানাইয়ের স্ত্রী দিপা রানী হালদার কাজলীর পিতা চৈতনকে নানান ভাবে চাপা দিতে থাকে। কিন্তু মেয়ের বিয়ের জন্য রাখা টাকা কাউকে দিতে না চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে গত শুক্রবার চৈতনকে বেধড়ক মারপিট করে তারই কুলাঙ্গার ছেলে রসু। রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঘরের মধ্যে কাজলীকে গলাই ওড়না পেছিয়ে ঝুলতে দেখে প্রতিবেশীরা ঘরের দরজা খুলে তাকে উদ্ধার করে। এর হাসপাতালে নেওয়ার জন্য গাড়ী তুলার পরেই মারা যায় কাজলী। কাজলীর বৃদ্ধা পিতা চৈতন হালদার ও মেজ ভাই বাসুদেব হালদার অভিযোগ করে বলে, টাকার জন্য ওরা কাজলীকে হত্যা করেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আক্কাস আলী বলেন, এদের বাড়ীতে প্রায়ই ঝগড়া মারামারি হয়। হিজলগাড়ী ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই শফিকুর রহমান বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে ছিল।