ইপেপার । আজ সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গা রেল স্টেশনের পাশে হাইওয়ে সড়কে প্রতিদিনই যানজট সড়ক দূর্ঘটনা ও যাত্রী হয়রানি লেগেই আছে!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৫৭:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৩৮৮ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গা রেল স্টেশনের পাশে হাইওয়ে সড়কে প্রতিদিনই যানজট থাকার কারনে সড়ক দূর্ঘটনা ও যাত্রী হয়রানি লেগেই আছে। জানাযায়, গতকাল সরেজমিনে রেল স্টেশনে বেলা ১২টার দিকে এইচিত্র চোখে পড়ে। এ সময় আশপাশ এলাকার অনেককেই বলতে শোনা যায়, সরকার আসে সরকার যায়, কিন্তু এই যানজটের অবসান হয় না। বিষয়টি জানতে আশপাশ এলাকার বেশ কয়েকজনের সাথে আলাপ হলে তারা বলেন যখন সড়কটি নির্মাণ হয় তখন যে ডিজাইন অনুযায়ী রাস্তা নির্মাণ হচ্ছিল তখন যমুনা ফিলিং স্টেশন থেকে সোজা বাসষ্ট্যান্ড হয়ে স্টেশন মসজিদের পাশ দিয়ে রেল লাইনের গোডাউনের কাছে সড়কটি ওঠার কথা ছিল। কিন্তু স্টেশন মসজিদের তৎকালীন কমিটি ও স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তা নির্মাণে বাধা দেয়। যে কারণে উল্লেখিত রাস্তাটি নির্মাণ কালেই থেমে যায়। পরবর্তীতে সড়ক বিভাগ রেল স্টেশনের পাশ দিয়ে হাইওয়ে সড়কটি পশুহাট অভিমূখে নির্মাণ করে। কিন্তু রেল স্টেশন মসজিদ সংলগ্ন রাস্তার পাশে ৮টি দোকানঘর মসজিদের দক্ষিণপাশে ৮টি দোকানঘর ও উত্তর পাশে ৮টি দোকানঘর নির্মাণ করা আছে। এখানে উত্তর দিক থেকে বাস আসলে দক্ষিণ দিক থেকে ট্রাক/বাস ঢোকে। একই সময়ে নছিমন, করিমন, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, ভ্যান, রিক্স যদি ওইসময় কোন ট্রেন স্টেশনে থামে ট্রেনযাত্রীদের নামার রাস্তাটিও ঠিক একই জায়গায়। তখন ১ ঘন্টারও বেশি সময় লাগে যানজট ছাড়তে। যে কারণে প্রতিনিয়তই যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। বিষয়টি সড়ক ও জনপদ বিভাগ জেনেও না জানার ভান করে আছে। দীর্ঘ বছর রাস্তাটি নির্মাণের পরও অদ্যবধি তারা এই বিষয়টি সমাধানের কোন উদ্যোগ নেয়নি। যে কারণে দূর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে, ক্ষতি হচ্ছে জানমালের। এ দায়ভার কে নেবে? উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে একদিকে রেলপথ অন্যদিকে সড়কপথ, পাশে আলমডাঙ্গা বাস টার্মিনাল। কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা-ঢাকা-খুলনা যাতায়াতের একমাত্র এই রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার পরও সড়ক জনপদ বিভাগ কোনরূপ কর্ণপাত না করায় রাস্তাটি যে তিমিরে, সেই তিমিরেই থেকে যাচ্ছে। এলাকাবাসী জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি সংস্কারের লক্ষে জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি ও সংশ্ল্ষ্টি কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গা রেল স্টেশনের পাশে হাইওয়ে সড়কে প্রতিদিনই যানজট সড়ক দূর্ঘটনা ও যাত্রী হয়রানি লেগেই আছে!

আপলোড টাইম : ১২:৫৭:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৬

আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গা রেল স্টেশনের পাশে হাইওয়ে সড়কে প্রতিদিনই যানজট থাকার কারনে সড়ক দূর্ঘটনা ও যাত্রী হয়রানি লেগেই আছে। জানাযায়, গতকাল সরেজমিনে রেল স্টেশনে বেলা ১২টার দিকে এইচিত্র চোখে পড়ে। এ সময় আশপাশ এলাকার অনেককেই বলতে শোনা যায়, সরকার আসে সরকার যায়, কিন্তু এই যানজটের অবসান হয় না। বিষয়টি জানতে আশপাশ এলাকার বেশ কয়েকজনের সাথে আলাপ হলে তারা বলেন যখন সড়কটি নির্মাণ হয় তখন যে ডিজাইন অনুযায়ী রাস্তা নির্মাণ হচ্ছিল তখন যমুনা ফিলিং স্টেশন থেকে সোজা বাসষ্ট্যান্ড হয়ে স্টেশন মসজিদের পাশ দিয়ে রেল লাইনের গোডাউনের কাছে সড়কটি ওঠার কথা ছিল। কিন্তু স্টেশন মসজিদের তৎকালীন কমিটি ও স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তা নির্মাণে বাধা দেয়। যে কারণে উল্লেখিত রাস্তাটি নির্মাণ কালেই থেমে যায়। পরবর্তীতে সড়ক বিভাগ রেল স্টেশনের পাশ দিয়ে হাইওয়ে সড়কটি পশুহাট অভিমূখে নির্মাণ করে। কিন্তু রেল স্টেশন মসজিদ সংলগ্ন রাস্তার পাশে ৮টি দোকানঘর মসজিদের দক্ষিণপাশে ৮টি দোকানঘর ও উত্তর পাশে ৮টি দোকানঘর নির্মাণ করা আছে। এখানে উত্তর দিক থেকে বাস আসলে দক্ষিণ দিক থেকে ট্রাক/বাস ঢোকে। একই সময়ে নছিমন, করিমন, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, ভ্যান, রিক্স যদি ওইসময় কোন ট্রেন স্টেশনে থামে ট্রেনযাত্রীদের নামার রাস্তাটিও ঠিক একই জায়গায়। তখন ১ ঘন্টারও বেশি সময় লাগে যানজট ছাড়তে। যে কারণে প্রতিনিয়তই যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। বিষয়টি সড়ক ও জনপদ বিভাগ জেনেও না জানার ভান করে আছে। দীর্ঘ বছর রাস্তাটি নির্মাণের পরও অদ্যবধি তারা এই বিষয়টি সমাধানের কোন উদ্যোগ নেয়নি। যে কারণে দূর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে, ক্ষতি হচ্ছে জানমালের। এ দায়ভার কে নেবে? উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে একদিকে রেলপথ অন্যদিকে সড়কপথ, পাশে আলমডাঙ্গা বাস টার্মিনাল। কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা-ঢাকা-খুলনা যাতায়াতের একমাত্র এই রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার পরও সড়ক জনপদ বিভাগ কোনরূপ কর্ণপাত না করায় রাস্তাটি যে তিমিরে, সেই তিমিরেই থেকে যাচ্ছে। এলাকাবাসী জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি সংস্কারের লক্ষে জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি ও সংশ্ল্ষ্টি কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।