চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ কোর্টে চত্বরে বাদী-বিবাদীর মধ্যে মারামারি তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জজ কোর্টের কর্তব্যরত কর্মচারী ও উকিলগণ
- আপলোড টাইম : ১২:৪০:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৬
- / ৫৬৪ বার পড়া হয়েছে
শহর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার আদালত চত্বরে জামিন দেওয়া না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাদী-বিবাদীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল দুপুরে জেলা জজ কোর্টের বারান্দায় এ ঘটনা ঘটে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার একটি মামলার এজাহার নামীয় ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীরা আত্মসর্মপন পূর্বক জামিন নিয়ে কোর্ট থেকে বেরিয়ে এলে সংশ্লিষ্ট মামলার বাদীর ক্ষোভ প্রকাশকে কেন্দ্র করেই উভয় পক্ষের মধ্যে এই মারামারির ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। এঘটনার পর থেকে বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। জজ কোর্টের সমস্ত কর্মচারী-কর্মকর্তাসহ উকিলগণ এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ঘটনার পরথেকে শহরজুড়ে বিরাজ করছে অজানা আতঙ্ক। এবিষয়ে, শেরেগুল সাংবাদিকদের জানায়, আমাদের ইসলামপাড়ার স্পোর্টিং ক্লাবের কমিটি নিয়ে গত এপ্রিল মাসের ৮তারিখে তর্কবিতর্ক হলে ওইদিন রাত আনুমানিক ৯টার দিকে একদল যুবক আমার বাড়ী হামলা করে এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভাংচুর করে। পরেরদিন আমার বড় ছেলে মিন্টুকে একা পেয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এই ঘটনার পরে আমি থানায় অভিযুক্তদের নামে মামলা করি। গত বৃহস্পতিবার ১ডিসেম্বর ওই মামলার আসামীদের নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হলেও ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেনি। আজ (বৃহস্পতিবার) আমি জানতে পারি আসামীরা জামিন নিতে আদালতে এসেছে। আমি আদালতে আসি খোঁজ নিতে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ৪জন আসামীদের মধ্যে ৩জনের জামিন মঞ্জুর হয়েছে এবং ১জনের জামিন হয়নি। তখন আমি জজ কোর্টের সামনে দাড়িয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকি এই বলে যে, যারা আমার ছেলেকে কুপিয়ে পঙ্গু করলো, আমার বাড়ী ঘর ভাংচুর করেছে তারা কেমন করে জামিন পাই। এসময় ছাত্রলীগ নেতা মাফি (৩০), তাপু (২৮), তাওরাত (২৬), মিশন (২০), আফ্রিদি (২২), প্লাবন (২২) সহ ৮-১০জন আচমকা এসে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট ১ম আদালতের পাশে ডিউটিরত পুলিশের সামনে আমাকে মারতে থাকে। কিন্তু পুলিশ আমাকে না ঠেকিয়ে উল্টো ডিউটিরত রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। আমার চিৎকারে স্থানীয় উকিলসহ উকিলবারের অবস্থিত সাধারণ মানুষ আমাকে ওদের হাতথেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। মারামারির ঘটনার কিছু পরেই জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অনিক জোয়ার্দ্দার, ফিরোজ, বরকত, হিমেলসহ ছাত্রলীগ কর্মিরা আদালত চত্বরে পৌছাঁলে আদালত চত্বরজুড়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এদিকে শেরেগুল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী ফিরেছে বলে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরজুড়ে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে কোন সময় হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছে শহরবাসী। সাধারণ মানুষ আক্ষেপের সুরে বলতে শোনা গেছে আদালত চত্বরেই যদি মারামারির ঘটনা ঘটে তাহলে আমরা নিরাপদ কোন জায়গায়? এবিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, আমরা খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌছেঁছি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এনেছি। এই ঘটনায় কোন মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি। তবে কাল সকালে (আজ) মামলা হতে পারে।