ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৫:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০১৯
  • / ৪২৬ বার পড়া হয়েছে

?

শিশুকাল থেকে গণতন্ত্রের চর্চা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায়
সমীকরণ প্রতিবেদন:
দেশের মোট ২২ হাজার ৯৬১ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় উৎসবমুখর পরিবেশে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিশুকাল থেকে গণতন্ত্রের চর্চা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার লক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে দুপুর দুইটা পর্যন্ত। ভোট শুরুর পর থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। তাদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয় আট সদস্যের স্কুল কেবিনেট। নিয়মানুযায়ী প্রত্যেক ভোটার প্রত্যেক শ্রেণিতে একটি করে এবং সর্বোচ্চ তিনটি শ্রেণিতে দুইটি করে মোট আটটি ভোট দেয়। প্রতি শ্রেণি থেকে একজন করে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। পাঁচ শ্রেণিতে পাঁচজন নির্বাচনের পর তাদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত তিনজন নির্বাচিত হয়।
চুয়াডাঙ্গা:


চুয়াডাঙ্গায় উৎসাহ, উদ্দিপনা ও উচ্ছসিত পরিবেশের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন। জেলার মাধ্যমিক স্তরের স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে সারা দেশের ন্যায় ভোট চলে একযোগে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ২টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট গ্রহনের মাধ্যমে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন সম্পন্ন হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছিল এক উৎসবমুখর পরিবেশ।
নির্বাচন কমিশনার থেকে শুরু করে প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারের দায়িত্বও পালন করে শিক্ষার্থীরা। নির্বাচন পর্যবেক্ষন করে দেখা যায়, সাধারণ নির্বাচনের মতোই সারিবদ্ধ লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খল পদ্ধতিতে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে কেন্দ্রে প্রবেশ করছে। প্রার্থীদের পাশাপাশি তাদের সমর্থক ও শুভাকাঙ্খীরা মেতে উঠে ভোট উৎসবে। তারাও নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করে। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের এ ভোট গ্রহনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই সরগরম হয়ে উঠে চুয়াডাঙ্গার প্রতিষ্ঠানগুলো। দিনভর ভোট গ্রহন শেষে ফলাফল ঘোষনা করতে কোথাও বিকেল বা কোথাও সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল।
শিক্ষক/শিক্ষার্থী ছাড়াও নির্বাচন পর্যবেক্ষন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাসহ স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটি’র সদস্যরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোট পরিদর্শনে আসেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও বর্ডার গার্ড হাসপাতাল চুয়াডাঙ্গার পরিচালক লে. কর্নেল নূরে আলম সিদ্দিকী। তাকে নির্বাচন ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিসেস মেহজেবিন। এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে চলা ভোট নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এদিকে, বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন পরিদর্শনে আসেন জেলা শিক্ষা অফিসার নিখিল রঞ্জন চক্রবর্তী। এ সময় ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে তাকে স্বাগত জানান প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা ও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর হোসেন।
এসময় জেলা শিক্ষা অফিসার নিখিল রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, কিশোর বয়স থেকে গণতন্ত্রের চর্চা, অন্যের মতামতের প্রতি সহিষ্ণুতা এবং শ্রদ্ধা, শিক্ষকদের সহায়তা, শতভাগ শিক্ষার্থীর ভর্তি ও ঝরে পড়া রোধে সহযোগিতা করা, শিখন-শিখানো কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অভিভাবকদের সম্পৃক্ততা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকান্ডে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ, ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এ নির্বাচনের মূল লক্ষ্য। শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি শিশুকাল থেকেই গণতন্ত্রের চর্চা, সহনশীলতা ও মূল্যবোধ তৈরির উদ্দেশ্যে এই মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের দিয়ে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ‘স্টুডেন্টস কেবিনেট’ গঠন। ভবিষ্যতে তারাই এ দেশ গড়ে তুলবে, পরিচালনা করবে তাই তাদের এখন থেকেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, অন্যের মতের প্রতি সহনশীলতার চর্চার প্রয়োজন রয়েছে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা ভি. জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে চলছিল উৎসবমূখর পরিবেশে নির্বাচন। বিদ্যালয়ের দুটি শিফট্রে জন্য আলাদা আলাদা ভোট গ্রহণ হয়। নির্বাচনে ছিলো ছাত্রদের দেখার মতো সাড়া। ভোটাররা লাইনে দাড়িয়ে সুশৃঙ্খল ভাবে ভোট দেয়। ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল দেওয়ার সময় বিদ্যালয়ের পরিবেশ ছিলো দেখার মতো। আবিরে ভরে উঠেছিলো এলাকা। দিনব্যাপী নির্বাচন পর্যবেক্ষন ও সার্বিক পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল হোসেন।
প্রায় একই রকম দৃশ্য ছিলো চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। ছাত্রীদের দ্বারা পরিচালিত স্টুডেন্ট কেবিনেট ভোট ছিলো উৎসবমুখর। সার্বক পরিচালনায় ছিলেন সহকারি প্রধান শিক্ষক স্বপন মালাকারসহ শিক্ষক/শিক্ষিকাবৃন্দ। অন্যদিকে, চুয়াডাঙ্গা সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্বাচন ছিলো জমজমাট উৎসব মুখর পরিবেশের। বোধহয়, চুয়াডাঙ্গার সবথেকে দীর্ঘ্য লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে হয়েছে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে দেখা গেছে হাতে লেখা নানা স্লোগান স্বলিত প্রার্থীদের ভোট চাওয়া লিফলেট। দিনব্যাপী এ নির্বাচনের সার্বিক ত্বত্তাবধানে ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকবর আলী। জমজমাট এ নির্বাচনের আমেজ ছিলো গোটা এলাকা জুড়ে। সঠিক সময়ে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল দিতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায়।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা নীলণিগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচনও ছিলো উৎসবমুখর। ফলাফল ঘোষণা অব্দি দেখো গেছে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি। সার্বিক পরিচালনা করেন প্রধান শিক্ষক আহমেদ সোহেল। চুয়াডাঙ্গা এম এ বারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচনও ছিলো আমেজ উদ্দীপনাময়। এক কথায় চুয়াডাঙ্গা জুড়ে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন ছিলো অসাধারণ উৎসবমুখর পরিবেশে। স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচনকে ঘিরে কোথাও কোন অপ্রিতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি। শান্তিপূর্ন পরিবেশে সর্বত্র ভোট গ্রহন ও ফলাফল প্রকাশ সম্পন্ন হয়েছে।
তিতুদহ:


সারা বাংলাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও গতকাল স্কুল ক্যাবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি শ্রেণি থেকে ২ জন করে মোট ১৫ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করে। এ নির্বাচনে প্রধান প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন রাজিয়া সুলতানা এ্যানি (দশম শ্রেণি)। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন ফাতেমা খাতুন (দশম) ও শারমিন খাতুন (দশম)। পোলিং অফিসার হিসেবে ছিলো জুঁই (৯ম-খ), উম্মে হাবিবা (৮ম-ক), মোমেনা (৯ম-খ), প্রীতি (৯ম-ক), সুমাইয়া (৯ম-ক) এবং অন্তি দত্ত (৮ম-খ)।
নির্বাচনে ৬ষ্ঠ শ্রেণি ক শাখা থেকে ৩২০ ভোটে নির্বাচিত হয়েছে তুষার আহমেদ, ৬ষ্ঠ শ্রেণি খ শাখা থেকে ২৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে তাছনিমা তাবাছুম লোপা, ৭ম শ্রেণি ক শাখা থেকে ৩২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে জান্নাতুল, ৭ম শ্রেণি খ শাখা থেকে ২২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে সামিয়া, ৮ম শ্রেণি ক শাখা থেকে ২০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে অর্থি, ৯ম শ্রেণি ক শাখা থেকে ২৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে আফ্রিন নাহার মায়া, ৯ম শ্রেণি খ শাখা থেকে ২১৮ ভোটে নির্বাচিত হয়েছে ইয়ামিন এবং ১০ম শ্রেণি থেকে ২৬৬ ভোটে নির্বাচিত হয়েছে শান্তনা।
সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলা এ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ৭৬৬ জন। পোল ভোট সংখ্যা ৫৪৭। বাতিল ভোট সংখ্যা ১১৭। সঠিক ভোট সংখ্যা ৪৩০। দুপুর ২টার সময় বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে এ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. নুরুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ, শামীম তুহিন, মজিবুল হক, মুন্না রহমান, জাহিদ প্রমুখ।
আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গায় উৎসবমুখর পরিবেশে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূতভাবে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে তাদের নেতা নির্বাচন করেছে। উপজেলার প্রায় ৭০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসায় গতকাল বৃহস্পতিবার এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক নির্বাচনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন। আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, এম সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এরশাদপুর একাডেমি, বেলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হারদী মীর ছামছদ্দিন আহম্মেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাটবোয়ালিয় স্কুল এন্ড কলেজ, বালিকা বিদ্যালয়, মুন্সিগঞ্জ মাধ্যমিক ও বালিকা বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। সকাল ৯টা থেকে ভোটের কার্যক্র শুরু হয়। ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হলে বিজয়ী শিক্ষার্থীরা আনন্দে ফেটে পড়ে। জেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসগুলো এ নির্বাচন তদারকি করেন বলে প্রধান শিক্ষক ও মাদরাসার সুপারগণ জানান।
মেহেরপুর:
মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মেহেরপুর সদর উপজেলার ৪৭টি, মুজিবনগর উপজেলার ১৮ এবং গাংনী উপজেলার ৬৩টি বিদ্যালয়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আক্তার বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
বারাদী:
মেহেরপুর সদরে পিরোজপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাব্বরুল ইসলাম জানান, এ নির্বাচনে শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটের মাধ্যমে প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতি শ্রেণীতে ৮ জন করে প্রতিনিধি নির্বাচিত করে। পরবর্তীতে নির্বাচিত ৮ জন প্রতিনিধি প্রতি শ্রেণীতে ১ জনকে স্টুডেন্ট কেবিনেটের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করবে।
ঝিনাইদহ:
ছোটবেলা থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চাকে উৎসাহিত করতে সারা দেশের ন্যায় ঝিনাইদহেও অনুষ্ঠিত হয়েছে স্কুল স্টুডেন্টস ক্যাবিনেট নির্বাচন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট প্রয়োগ করে শিক্ষার্থীরা। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা এই ভোটগ্রহণ চলবে। জেলা শিক্ষা অফিসের পরিদর্শক মোজাফফর হোসেন পলাশ জানান, ভোটগ্রহণের সময় শিক্ষার্থী ও প্রার্থীদের মাঝে ব্যাপক ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটের মাধ্যমে ১ জন প্রধান এবং ৬ জন সদস্য বিশিষ্ট ক্যাবিনেট গঠন করবে। জেলার ৬টি উপজেলার ২শ’ ৫৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৯০টি মাদ্রাসায় এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত

আপলোড টাইম : ১০:২৫:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০১৯

শিশুকাল থেকে গণতন্ত্রের চর্চা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায়
সমীকরণ প্রতিবেদন:
দেশের মোট ২২ হাজার ৯৬১ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় উৎসবমুখর পরিবেশে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিশুকাল থেকে গণতন্ত্রের চর্চা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার লক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে দুপুর দুইটা পর্যন্ত। ভোট শুরুর পর থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। তাদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয় আট সদস্যের স্কুল কেবিনেট। নিয়মানুযায়ী প্রত্যেক ভোটার প্রত্যেক শ্রেণিতে একটি করে এবং সর্বোচ্চ তিনটি শ্রেণিতে দুইটি করে মোট আটটি ভোট দেয়। প্রতি শ্রেণি থেকে একজন করে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। পাঁচ শ্রেণিতে পাঁচজন নির্বাচনের পর তাদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত তিনজন নির্বাচিত হয়।
চুয়াডাঙ্গা:


চুয়াডাঙ্গায় উৎসাহ, উদ্দিপনা ও উচ্ছসিত পরিবেশের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন। জেলার মাধ্যমিক স্তরের স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে সারা দেশের ন্যায় ভোট চলে একযোগে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ২টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট গ্রহনের মাধ্যমে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন সম্পন্ন হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছিল এক উৎসবমুখর পরিবেশ।
নির্বাচন কমিশনার থেকে শুরু করে প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারের দায়িত্বও পালন করে শিক্ষার্থীরা। নির্বাচন পর্যবেক্ষন করে দেখা যায়, সাধারণ নির্বাচনের মতোই সারিবদ্ধ লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খল পদ্ধতিতে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে কেন্দ্রে প্রবেশ করছে। প্রার্থীদের পাশাপাশি তাদের সমর্থক ও শুভাকাঙ্খীরা মেতে উঠে ভোট উৎসবে। তারাও নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করে। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের এ ভোট গ্রহনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই সরগরম হয়ে উঠে চুয়াডাঙ্গার প্রতিষ্ঠানগুলো। দিনভর ভোট গ্রহন শেষে ফলাফল ঘোষনা করতে কোথাও বিকেল বা কোথাও সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল।
শিক্ষক/শিক্ষার্থী ছাড়াও নির্বাচন পর্যবেক্ষন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাসহ স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটি’র সদস্যরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোট পরিদর্শনে আসেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও বর্ডার গার্ড হাসপাতাল চুয়াডাঙ্গার পরিচালক লে. কর্নেল নূরে আলম সিদ্দিকী। তাকে নির্বাচন ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিসেস মেহজেবিন। এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে চলা ভোট নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এদিকে, বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন পরিদর্শনে আসেন জেলা শিক্ষা অফিসার নিখিল রঞ্জন চক্রবর্তী। এ সময় ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে তাকে স্বাগত জানান প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা ও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর হোসেন।
এসময় জেলা শিক্ষা অফিসার নিখিল রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, কিশোর বয়স থেকে গণতন্ত্রের চর্চা, অন্যের মতামতের প্রতি সহিষ্ণুতা এবং শ্রদ্ধা, শিক্ষকদের সহায়তা, শতভাগ শিক্ষার্থীর ভর্তি ও ঝরে পড়া রোধে সহযোগিতা করা, শিখন-শিখানো কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অভিভাবকদের সম্পৃক্ততা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকান্ডে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ, ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এ নির্বাচনের মূল লক্ষ্য। শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি শিশুকাল থেকেই গণতন্ত্রের চর্চা, সহনশীলতা ও মূল্যবোধ তৈরির উদ্দেশ্যে এই মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের দিয়ে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ‘স্টুডেন্টস কেবিনেট’ গঠন। ভবিষ্যতে তারাই এ দেশ গড়ে তুলবে, পরিচালনা করবে তাই তাদের এখন থেকেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, অন্যের মতের প্রতি সহনশীলতার চর্চার প্রয়োজন রয়েছে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা ভি. জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে চলছিল উৎসবমূখর পরিবেশে নির্বাচন। বিদ্যালয়ের দুটি শিফট্রে জন্য আলাদা আলাদা ভোট গ্রহণ হয়। নির্বাচনে ছিলো ছাত্রদের দেখার মতো সাড়া। ভোটাররা লাইনে দাড়িয়ে সুশৃঙ্খল ভাবে ভোট দেয়। ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল দেওয়ার সময় বিদ্যালয়ের পরিবেশ ছিলো দেখার মতো। আবিরে ভরে উঠেছিলো এলাকা। দিনব্যাপী নির্বাচন পর্যবেক্ষন ও সার্বিক পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল হোসেন।
প্রায় একই রকম দৃশ্য ছিলো চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। ছাত্রীদের দ্বারা পরিচালিত স্টুডেন্ট কেবিনেট ভোট ছিলো উৎসবমুখর। সার্বক পরিচালনায় ছিলেন সহকারি প্রধান শিক্ষক স্বপন মালাকারসহ শিক্ষক/শিক্ষিকাবৃন্দ। অন্যদিকে, চুয়াডাঙ্গা সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্বাচন ছিলো জমজমাট উৎসব মুখর পরিবেশের। বোধহয়, চুয়াডাঙ্গার সবথেকে দীর্ঘ্য লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে হয়েছে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে দেখা গেছে হাতে লেখা নানা স্লোগান স্বলিত প্রার্থীদের ভোট চাওয়া লিফলেট। দিনব্যাপী এ নির্বাচনের সার্বিক ত্বত্তাবধানে ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকবর আলী। জমজমাট এ নির্বাচনের আমেজ ছিলো গোটা এলাকা জুড়ে। সঠিক সময়ে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল দিতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায়।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা নীলণিগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচনও ছিলো উৎসবমুখর। ফলাফল ঘোষণা অব্দি দেখো গেছে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি। সার্বিক পরিচালনা করেন প্রধান শিক্ষক আহমেদ সোহেল। চুয়াডাঙ্গা এম এ বারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচনও ছিলো আমেজ উদ্দীপনাময়। এক কথায় চুয়াডাঙ্গা জুড়ে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন ছিলো অসাধারণ উৎসবমুখর পরিবেশে। স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচনকে ঘিরে কোথাও কোন অপ্রিতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি। শান্তিপূর্ন পরিবেশে সর্বত্র ভোট গ্রহন ও ফলাফল প্রকাশ সম্পন্ন হয়েছে।
তিতুদহ:


সারা বাংলাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও গতকাল স্কুল ক্যাবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি শ্রেণি থেকে ২ জন করে মোট ১৫ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করে। এ নির্বাচনে প্রধান প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন রাজিয়া সুলতানা এ্যানি (দশম শ্রেণি)। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন ফাতেমা খাতুন (দশম) ও শারমিন খাতুন (দশম)। পোলিং অফিসার হিসেবে ছিলো জুঁই (৯ম-খ), উম্মে হাবিবা (৮ম-ক), মোমেনা (৯ম-খ), প্রীতি (৯ম-ক), সুমাইয়া (৯ম-ক) এবং অন্তি দত্ত (৮ম-খ)।
নির্বাচনে ৬ষ্ঠ শ্রেণি ক শাখা থেকে ৩২০ ভোটে নির্বাচিত হয়েছে তুষার আহমেদ, ৬ষ্ঠ শ্রেণি খ শাখা থেকে ২৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে তাছনিমা তাবাছুম লোপা, ৭ম শ্রেণি ক শাখা থেকে ৩২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে জান্নাতুল, ৭ম শ্রেণি খ শাখা থেকে ২২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে সামিয়া, ৮ম শ্রেণি ক শাখা থেকে ২০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে অর্থি, ৯ম শ্রেণি ক শাখা থেকে ২৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে আফ্রিন নাহার মায়া, ৯ম শ্রেণি খ শাখা থেকে ২১৮ ভোটে নির্বাচিত হয়েছে ইয়ামিন এবং ১০ম শ্রেণি থেকে ২৬৬ ভোটে নির্বাচিত হয়েছে শান্তনা।
সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলা এ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ৭৬৬ জন। পোল ভোট সংখ্যা ৫৪৭। বাতিল ভোট সংখ্যা ১১৭। সঠিক ভোট সংখ্যা ৪৩০। দুপুর ২টার সময় বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে এ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. নুরুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ, শামীম তুহিন, মজিবুল হক, মুন্না রহমান, জাহিদ প্রমুখ।
আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গায় উৎসবমুখর পরিবেশে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূতভাবে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে তাদের নেতা নির্বাচন করেছে। উপজেলার প্রায় ৭০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসায় গতকাল বৃহস্পতিবার এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক নির্বাচনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন। আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, এম সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এরশাদপুর একাডেমি, বেলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হারদী মীর ছামছদ্দিন আহম্মেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাটবোয়ালিয় স্কুল এন্ড কলেজ, বালিকা বিদ্যালয়, মুন্সিগঞ্জ মাধ্যমিক ও বালিকা বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। সকাল ৯টা থেকে ভোটের কার্যক্র শুরু হয়। ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হলে বিজয়ী শিক্ষার্থীরা আনন্দে ফেটে পড়ে। জেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসগুলো এ নির্বাচন তদারকি করেন বলে প্রধান শিক্ষক ও মাদরাসার সুপারগণ জানান।
মেহেরপুর:
মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মেহেরপুর সদর উপজেলার ৪৭টি, মুজিবনগর উপজেলার ১৮ এবং গাংনী উপজেলার ৬৩টি বিদ্যালয়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আক্তার বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
বারাদী:
মেহেরপুর সদরে পিরোজপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাব্বরুল ইসলাম জানান, এ নির্বাচনে শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটের মাধ্যমে প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতি শ্রেণীতে ৮ জন করে প্রতিনিধি নির্বাচিত করে। পরবর্তীতে নির্বাচিত ৮ জন প্রতিনিধি প্রতি শ্রেণীতে ১ জনকে স্টুডেন্ট কেবিনেটের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করবে।
ঝিনাইদহ:
ছোটবেলা থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চাকে উৎসাহিত করতে সারা দেশের ন্যায় ঝিনাইদহেও অনুষ্ঠিত হয়েছে স্কুল স্টুডেন্টস ক্যাবিনেট নির্বাচন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট প্রয়োগ করে শিক্ষার্থীরা। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা এই ভোটগ্রহণ চলবে। জেলা শিক্ষা অফিসের পরিদর্শক মোজাফফর হোসেন পলাশ জানান, ভোটগ্রহণের সময় শিক্ষার্থী ও প্রার্থীদের মাঝে ব্যাপক ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটের মাধ্যমে ১ জন প্রধান এবং ৬ জন সদস্য বিশিষ্ট ক্যাবিনেট গঠন করবে। জেলার ৬টি উপজেলার ২শ’ ৫৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৯০টি মাদ্রাসায় এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।