ইপেপার । আজ শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

গাংনীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানের মধ্যেও চলছে ইটভাটায় চাঁদাবাজদের হামলা বন্দুকযুদ্ধে তিন চাঁদাবাজ নিহত : অস্ত্রসহ গুলি উদ্ধার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৫৬:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৩৭৯ বার পড়া হয়েছে

19-1-1

গাংনী অফিস: এক সময়ের সন্ত্রাস কবলিত গাংনী উপজেলার ইটভাটা গুলোতে একের এক চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। কয়েকদিন ধরে পুলিশের বিশেষ অভিযানের মধ্যেও চলেছে বিভিন্ন ইটভাটায় চাঁদাবাজদের হামলা। এরই মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার মটমুড়া গ্রামে একতা ইটভাটায় চাঁদাবাজদের একটি দল হানা দেয়। অপর পাশে প্রস্তুত ছিলো পুলিশ। পুলিশ তাদের থামাতে গেলে তারা বোমা নিক্ষেপ করলে শুরু হয় পুলিশ-চাঁদাবাজ বন্দুকযুদ্ধ। পরে চাঁদাবাজরা পিছু হটলে পুলিশ দেখতে পায় তিনটি লাশ। প্রতিটি লাশের পাশে পরে ছিলো অস্ত্র। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়ায় গতকাল মঙ্গলবার ভোরে এ যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আহত হয়েছে দুই এসআইসহ ৬ পুলিশ। আহতদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২ রাউন্ড গুলি, ২টি রামদা ও ২টি বোমা উদ্ধার করেছে । পুলিশের দাবি নিহতরা চাঁদাবাজ। অপরদিকে নিহতদের পরিবার পুলিশের এ দাবির বিরোধিতা না করে বলেছেন, তারা খারাপ নয় খেটে খাওয়া মানুষ।  নিহতরা হচ্ছে- এ উপজেলার মানিকদিয়া গ্রামের চাঁদ আলীর ছেলে মহিবুল (২৮), আলতাফ হোসেনের ছেলে তাজবুল (২৫) ও ভোলাডাঙ্গা গ্রামের ফকির মোহাম্মদের ছেলে তুহিন হোসেন উরফে রতন (১৯)। মঙ্গলবার বিকেলে নিহতদের মরদেহ মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে পুলিশ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৃথক দুটি গ্রামে তাদের নামাযের জানাযা শেষে গ্রাম্য কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এদিকে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করে ষোলটাকা ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি জানান, নিহত তাজবুল হোসেন ও তুহিন আন্তঃজেলা চাঁদাবাজ ও ডাকাত এবং মহিবুল তাদের সহযোগি। মেহেরপুর পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান জানান, মটমুড়া গ্রামের একতা ইটভাটা মালিক খবির উদ্দীনসহ কয়েকটি ইটভাটা মালিকের কাছে মোবাইলে চাঁদা দাবি করে অজ্ঞাত চাঁদাবাজরা। মঙ্গলবার ভোরের দিকে একতা ইটভাটায় ১৫/২০ জন অস্ত্রধারী চাঁদাবাজ হানা দিয়ে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করে। সংবাদ পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের নেতৃত্বে গাংনী থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সেখানে পৌঁছালে চাঁদাবাজরা পরপর দুটি বোমা নিক্ষেপ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে চাঁদাবাজরা পিঁছু হটলে ঘটনাস্থলে তিন জনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি সার্টারগান, একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, দুটি রামদা ও দুটি বোমা উদ্ধার করা হয়। গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, নিহতরা চিহ্নিত চাঁদাবাজ। এদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও চাঁদাবাজির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তবে পরিবারের দাবি গাংনী থানায় ও মেহেরপুর আদালতে তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা নথি ভুক্ত নেই। তিনি আরো জানান, পুলিশ বন্দুক যুদ্ধে এসএমজি’র ১৮ ও শর্টগানের ১৭ রাউন্ড গুলি ফায়ার করে। এসময় গাংনী থানার এসআই আবু বকর, কনস্টেবল বাদশা, গোয়েন্দা পুলিশের এসআই জালাল, কনস্টেবল হেলাল, সাইফুল ও জামিরুল আহত হন। আহতদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদিকে নিহতদের ব্যপারে পুলিশ চাঁদাবাজির অভিযোগ আনলেও তাদের পরিবারের পক্ষে থেকে এ দাবি নাকচ করা হয়েছে। নিহত মহিবুলের মা রহিমা খাতুন জানান, আমার বেটাতো খারাপ নয়তো তার বিরুদ্ধে থানা কিংবা গ্রামে কোন অভিযোগ নেই এমন বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন তিনি। তিনি আরো জানান, দির্ঘদিন নাটরের রশীদ নামের এক ঠিকাদারের আন্ডারে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। গত বছরে বাড়ি ফিরে বিয়ে গ্রামের মাঠে কাজ করে খাই। সে সোমবার বিকেলে মোহাম্মদপুর তার বোন বাচেনার বাড়িতে গরু ক্রয় করবে বলে টাকা আনতে যায়। কিন্ত লাশ হয়ে ফিরলো বাড়িতে। নিহত তাজবুলের স্ত্রী সাজেদা খাতুন জানান, আমাদের বাড়িতে কোন দিন পুলিশ আসেনি। আমার স্বামী চাঁদাবাজ হলে আমাদের অভাব অনটনে দিন যাপন কেন। অন্যদিকে নিহতদের পরিবার গুলো তাদের নির্দোষ দাবি করলেও এরা কে কোথায় অবস্থান করছিলো তা পরিবারের কেউ জানাতে পারেনি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি গাংনীর আনারুল, মফিজুল ও একতা বিক্সসহ বিভিন্ন ইটভাটায় চাঁদাবাজ চক্র হানা দিয়ে শ্রমিকদের মারধর করে ও মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে সোমবার দুপুরে ইটভাটা মালিকদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা করেন পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান। এর পরই এ বন্দুক যুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে।
নিহতদের পরিচয় মহিবুল: মানিকদিয়া গ্রামের মৃত চাঁদ আলীর ৪ ছেলে-মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ছেলে মহিবুল। পেশায় রাজমিস্ত্রী ছিলেন কিন্তু সম্প্রতি সময়ে তিনি মাঠে জোন খাটতো। মহিবুল ইসলাম গত বছরে বিয়ে করেন। তার স্ত্রী সুকতারা  খাতুন চয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার মেয়ে। বর্তমানে তিনি গর্ভবতী। গত ১২ বছর আগে মহিবুলের বড় ভাই শহিদুল বজ্রপাতে নিহত হয়।
নিহত তাজবুলের পরিচয়: মানিকদিয়া একই পাড়ার আলতাফ হোসেনের দুই ছেলের মধ্যে তাজবুল হোসেন ছোট ছেলে। সে বর্তমানে মাঠে কাজ করতো। তার দুই ছেলে-মেয়ে। বড় ছেলে আল মিরাজ (০৫) ও ছোট মেয়ে লামিয়া (০৩) বছর বয়স। তিনি বিয়ে করেছেন, পার্শ্ববর্তী গ্রাম ঝোরপাড়ায় সাজেদা খাতুনের সাথে।
নিহত তুহিনের পরিচয়: ভোলাডাঙ্গা গ্রামের ফকির মোহাম্মদের ৩ ছেলের মধ্যে মেজ ছেলে তুহিন হোসেন ওরফে রতন। সে গত দুই বছর আগে মানিকদিয়া গ্রামের মাদ্রাসা থেকে এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে পড়াশুনা বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে নিজেদের জমিতে চাষআবাদ করতো। সম্প্রতি সময়ে বিদেশ যাওয়ার লক্ষ্যে এক দালালকে পার্শফোট দিয়েছে। তার বড় ভাই রকিবুল ইসলাম গত বছরে সোদি আরবে শ্রমিক হিসেবে কাজে যায়। ছোট ভাই  রহমত উল্লাহ স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিত্বীয় শ্রেনির ছাত্র।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

error: Content is protected !!

গাংনীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানের মধ্যেও চলছে ইটভাটায় চাঁদাবাজদের হামলা বন্দুকযুদ্ধে তিন চাঁদাবাজ নিহত : অস্ত্রসহ গুলি উদ্ধার

আপলোড টাইম : ১২:৫৬:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৬

19-1-1

গাংনী অফিস: এক সময়ের সন্ত্রাস কবলিত গাংনী উপজেলার ইটভাটা গুলোতে একের এক চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। কয়েকদিন ধরে পুলিশের বিশেষ অভিযানের মধ্যেও চলেছে বিভিন্ন ইটভাটায় চাঁদাবাজদের হামলা। এরই মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার মটমুড়া গ্রামে একতা ইটভাটায় চাঁদাবাজদের একটি দল হানা দেয়। অপর পাশে প্রস্তুত ছিলো পুলিশ। পুলিশ তাদের থামাতে গেলে তারা বোমা নিক্ষেপ করলে শুরু হয় পুলিশ-চাঁদাবাজ বন্দুকযুদ্ধ। পরে চাঁদাবাজরা পিছু হটলে পুলিশ দেখতে পায় তিনটি লাশ। প্রতিটি লাশের পাশে পরে ছিলো অস্ত্র। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়ায় গতকাল মঙ্গলবার ভোরে এ যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আহত হয়েছে দুই এসআইসহ ৬ পুলিশ। আহতদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২ রাউন্ড গুলি, ২টি রামদা ও ২টি বোমা উদ্ধার করেছে । পুলিশের দাবি নিহতরা চাঁদাবাজ। অপরদিকে নিহতদের পরিবার পুলিশের এ দাবির বিরোধিতা না করে বলেছেন, তারা খারাপ নয় খেটে খাওয়া মানুষ।  নিহতরা হচ্ছে- এ উপজেলার মানিকদিয়া গ্রামের চাঁদ আলীর ছেলে মহিবুল (২৮), আলতাফ হোসেনের ছেলে তাজবুল (২৫) ও ভোলাডাঙ্গা গ্রামের ফকির মোহাম্মদের ছেলে তুহিন হোসেন উরফে রতন (১৯)। মঙ্গলবার বিকেলে নিহতদের মরদেহ মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে পুলিশ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৃথক দুটি গ্রামে তাদের নামাযের জানাযা শেষে গ্রাম্য কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এদিকে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করে ষোলটাকা ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি জানান, নিহত তাজবুল হোসেন ও তুহিন আন্তঃজেলা চাঁদাবাজ ও ডাকাত এবং মহিবুল তাদের সহযোগি। মেহেরপুর পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান জানান, মটমুড়া গ্রামের একতা ইটভাটা মালিক খবির উদ্দীনসহ কয়েকটি ইটভাটা মালিকের কাছে মোবাইলে চাঁদা দাবি করে অজ্ঞাত চাঁদাবাজরা। মঙ্গলবার ভোরের দিকে একতা ইটভাটায় ১৫/২০ জন অস্ত্রধারী চাঁদাবাজ হানা দিয়ে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করে। সংবাদ পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের নেতৃত্বে গাংনী থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সেখানে পৌঁছালে চাঁদাবাজরা পরপর দুটি বোমা নিক্ষেপ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে চাঁদাবাজরা পিঁছু হটলে ঘটনাস্থলে তিন জনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি সার্টারগান, একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, দুটি রামদা ও দুটি বোমা উদ্ধার করা হয়। গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, নিহতরা চিহ্নিত চাঁদাবাজ। এদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও চাঁদাবাজির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তবে পরিবারের দাবি গাংনী থানায় ও মেহেরপুর আদালতে তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা নথি ভুক্ত নেই। তিনি আরো জানান, পুলিশ বন্দুক যুদ্ধে এসএমজি’র ১৮ ও শর্টগানের ১৭ রাউন্ড গুলি ফায়ার করে। এসময় গাংনী থানার এসআই আবু বকর, কনস্টেবল বাদশা, গোয়েন্দা পুলিশের এসআই জালাল, কনস্টেবল হেলাল, সাইফুল ও জামিরুল আহত হন। আহতদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদিকে নিহতদের ব্যপারে পুলিশ চাঁদাবাজির অভিযোগ আনলেও তাদের পরিবারের পক্ষে থেকে এ দাবি নাকচ করা হয়েছে। নিহত মহিবুলের মা রহিমা খাতুন জানান, আমার বেটাতো খারাপ নয়তো তার বিরুদ্ধে থানা কিংবা গ্রামে কোন অভিযোগ নেই এমন বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন তিনি। তিনি আরো জানান, দির্ঘদিন নাটরের রশীদ নামের এক ঠিকাদারের আন্ডারে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। গত বছরে বাড়ি ফিরে বিয়ে গ্রামের মাঠে কাজ করে খাই। সে সোমবার বিকেলে মোহাম্মদপুর তার বোন বাচেনার বাড়িতে গরু ক্রয় করবে বলে টাকা আনতে যায়। কিন্ত লাশ হয়ে ফিরলো বাড়িতে। নিহত তাজবুলের স্ত্রী সাজেদা খাতুন জানান, আমাদের বাড়িতে কোন দিন পুলিশ আসেনি। আমার স্বামী চাঁদাবাজ হলে আমাদের অভাব অনটনে দিন যাপন কেন। অন্যদিকে নিহতদের পরিবার গুলো তাদের নির্দোষ দাবি করলেও এরা কে কোথায় অবস্থান করছিলো তা পরিবারের কেউ জানাতে পারেনি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি গাংনীর আনারুল, মফিজুল ও একতা বিক্সসহ বিভিন্ন ইটভাটায় চাঁদাবাজ চক্র হানা দিয়ে শ্রমিকদের মারধর করে ও মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে সোমবার দুপুরে ইটভাটা মালিকদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা করেন পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান। এর পরই এ বন্দুক যুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে।
নিহতদের পরিচয় মহিবুল: মানিকদিয়া গ্রামের মৃত চাঁদ আলীর ৪ ছেলে-মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ছেলে মহিবুল। পেশায় রাজমিস্ত্রী ছিলেন কিন্তু সম্প্রতি সময়ে তিনি মাঠে জোন খাটতো। মহিবুল ইসলাম গত বছরে বিয়ে করেন। তার স্ত্রী সুকতারা  খাতুন চয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার মেয়ে। বর্তমানে তিনি গর্ভবতী। গত ১২ বছর আগে মহিবুলের বড় ভাই শহিদুল বজ্রপাতে নিহত হয়।
নিহত তাজবুলের পরিচয়: মানিকদিয়া একই পাড়ার আলতাফ হোসেনের দুই ছেলের মধ্যে তাজবুল হোসেন ছোট ছেলে। সে বর্তমানে মাঠে কাজ করতো। তার দুই ছেলে-মেয়ে। বড় ছেলে আল মিরাজ (০৫) ও ছোট মেয়ে লামিয়া (০৩) বছর বয়স। তিনি বিয়ে করেছেন, পার্শ্ববর্তী গ্রাম ঝোরপাড়ায় সাজেদা খাতুনের সাথে।
নিহত তুহিনের পরিচয়: ভোলাডাঙ্গা গ্রামের ফকির মোহাম্মদের ৩ ছেলের মধ্যে মেজ ছেলে তুহিন হোসেন ওরফে রতন। সে গত দুই বছর আগে মানিকদিয়া গ্রামের মাদ্রাসা থেকে এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে পড়াশুনা বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে নিজেদের জমিতে চাষআবাদ করতো। সম্প্রতি সময়ে বিদেশ যাওয়ার লক্ষ্যে এক দালালকে পার্শফোট দিয়েছে। তার বড় ভাই রকিবুল ইসলাম গত বছরে সোদি আরবে শ্রমিক হিসেবে কাজে যায়। ছোট ভাই  রহমত উল্লাহ স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিত্বীয় শ্রেনির ছাত্র।