ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের তদন্ত প্রতিবেদন চায় ফিলিপাইন সরকার রিজার্ভের অর্থ চুরি : চাইলেও দেব না: অর্থমন্ত্রী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৪৮:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৩৫২ বার পড়া হয়েছে

image_1742_267559সমীকরণ ডেস্ক: রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশের তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছে ফিলিপাইন সরকার। বাংলাদেশের তদন্তে যা উঠে এসেছে তা ফিলিপাইনকে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী কার্লোস ডোমিনগুইজ বলেন, ‘ঢাকার যে প্রতিবেদন, সেটাতে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’ রোববার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত সপ্তাহে ফিলিপাইনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ডোমিনগুইজ। সে সময় তিনি অর্থ উদ্ধারে ফিলিপাইনের পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব তা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। তবে এ ব্যাপারে ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ জানান, তার কাছে এখনো কিছু চাওয়া হয়নি। এর আগে তদন্তের স্বার্থেই প্রতিবেদন প্রকাশ না করার কথা জানায় বাংলাদেশ। অপরাধীরা সচেতন হয়ে যাবে বলে কারণ দেখানো হয়। গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি হওয়া অংশের বাকি সাড়ে ছয় কোটি ডলার উদ্ধারে ফিলিপাইন সফরে যায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। এই দলের সঙ্গে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও ‘চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে’- এই বলে বৈঠক বাতিল হয়। রদ্রিগো দুতার্তে এর আগে চুরি হওয়া অর্থ ফেরত দেয়া হবে বলে অঙ্গীকার করেছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার সরিয়ে নেয় সাইবার অপরাধীরা। এই অর্থ ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের চারটি হিসাবের মাধ্যমে চলে যায় ফিলিপাইনের ক্যাসিনোতে। এই অর্থের মধ্যে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের হাতে এসেছে দেড় কোটি ডলার।
এদিকে রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন ফিলিপাইনকে দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, ‘আমি এখনো জানি না তারা চেয়েছে কি না। তবে তারা চাইলেও দেব না। এটা দেয়ার না। এটা আমাদের ইন্টারনাল রিপোর্ট।’ এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পদক্ষেপ কী হবে- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে নেতিবাচক জবাব দেন মুহিত। ‘অর্থ উদ্ধারের স্বার্থে’ ওই প্রতিবেদনটি এখনো প্রকাশ করেননি তিনি। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার আগে অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি ফিলিপাইন সফর করে আসা আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে বৈঠক করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া রিজার্ভের আরও ২ কোটি ৯০ লাখ (২৯ মিলিয়ন) ডলার ফিলিপাইনের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জব্দ করা হয়েছে। আলোচনা সাপেক্ষে এ অর্থ ফেরত আনা হবে। চুরি যাওয়া বাকি অর্থও ক্রমান্বয়ে ফেরত আনা হবে। দায় অস্বীকার এবং অর্থ ফেরত দিতে রিজল ব?্যাংকের অস্বীকৃতি প্রকাশে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘চুরির টাকা কীভাবে একটা ব্যাংকের সম্পদ হতে পারে। ফিলিপাইনের রিজল ব্যাংককে এই টাকা ফেরত দিতেই হবে। এটা আমাদের প্রাপ্য। চুরি হওয়া পুরো টাকা ফেরত আনতে আমরা আমাদের সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।’ রিজল ব্যাংক টাকা না দিলে বাংলাদেশের কী করণীয়- এ প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কিছু করণীয় নাই। একটু পারসু করা, উইথ দি গভর্নমেন্ট অব ফিলিপিন্স। তারা আমাদের সঙ্গেই আছেন।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

বাংলাদেশের তদন্ত প্রতিবেদন চায় ফিলিপাইন সরকার রিজার্ভের অর্থ চুরি : চাইলেও দেব না: অর্থমন্ত্রী

আপলোড টাইম : ১২:৪৮:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৬

image_1742_267559সমীকরণ ডেস্ক: রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশের তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছে ফিলিপাইন সরকার। বাংলাদেশের তদন্তে যা উঠে এসেছে তা ফিলিপাইনকে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী কার্লোস ডোমিনগুইজ বলেন, ‘ঢাকার যে প্রতিবেদন, সেটাতে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’ রোববার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত সপ্তাহে ফিলিপাইনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ডোমিনগুইজ। সে সময় তিনি অর্থ উদ্ধারে ফিলিপাইনের পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব তা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। তবে এ ব্যাপারে ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ জানান, তার কাছে এখনো কিছু চাওয়া হয়নি। এর আগে তদন্তের স্বার্থেই প্রতিবেদন প্রকাশ না করার কথা জানায় বাংলাদেশ। অপরাধীরা সচেতন হয়ে যাবে বলে কারণ দেখানো হয়। গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি হওয়া অংশের বাকি সাড়ে ছয় কোটি ডলার উদ্ধারে ফিলিপাইন সফরে যায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। এই দলের সঙ্গে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও ‘চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে’- এই বলে বৈঠক বাতিল হয়। রদ্রিগো দুতার্তে এর আগে চুরি হওয়া অর্থ ফেরত দেয়া হবে বলে অঙ্গীকার করেছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার সরিয়ে নেয় সাইবার অপরাধীরা। এই অর্থ ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের চারটি হিসাবের মাধ্যমে চলে যায় ফিলিপাইনের ক্যাসিনোতে। এই অর্থের মধ্যে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের হাতে এসেছে দেড় কোটি ডলার।
এদিকে রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন ফিলিপাইনকে দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, ‘আমি এখনো জানি না তারা চেয়েছে কি না। তবে তারা চাইলেও দেব না। এটা দেয়ার না। এটা আমাদের ইন্টারনাল রিপোর্ট।’ এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পদক্ষেপ কী হবে- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে নেতিবাচক জবাব দেন মুহিত। ‘অর্থ উদ্ধারের স্বার্থে’ ওই প্রতিবেদনটি এখনো প্রকাশ করেননি তিনি। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার আগে অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি ফিলিপাইন সফর করে আসা আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে বৈঠক করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া রিজার্ভের আরও ২ কোটি ৯০ লাখ (২৯ মিলিয়ন) ডলার ফিলিপাইনের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জব্দ করা হয়েছে। আলোচনা সাপেক্ষে এ অর্থ ফেরত আনা হবে। চুরি যাওয়া বাকি অর্থও ক্রমান্বয়ে ফেরত আনা হবে। দায় অস্বীকার এবং অর্থ ফেরত দিতে রিজল ব?্যাংকের অস্বীকৃতি প্রকাশে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘চুরির টাকা কীভাবে একটা ব্যাংকের সম্পদ হতে পারে। ফিলিপাইনের রিজল ব্যাংককে এই টাকা ফেরত দিতেই হবে। এটা আমাদের প্রাপ্য। চুরি হওয়া পুরো টাকা ফেরত আনতে আমরা আমাদের সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।’ রিজল ব্যাংক টাকা না দিলে বাংলাদেশের কী করণীয়- এ প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কিছু করণীয় নাই। একটু পারসু করা, উইথ দি গভর্নমেন্ট অব ফিলিপিন্স। তারা আমাদের সঙ্গেই আছেন।’