ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

দর্শনা মুক্ত দিবস উপলক্ষে দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে দিন ব্যাপী নানা কর্মসূচি পালিত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:০৬:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৪৫৩ বার পড়া হয়েছে

MMMM

দর্শনা অফিস: দর্শনা মুক্ত দিবস উপলক্ষে গতকাল দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে দিন ব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কর্মসুচির মধ্যে সকাল সাড়ে ৯টায় দর্শনা পুরাতন বাজার দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কার্যালয় চত্বরে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন শেষে দেশের অতন্দ্র প্রহরী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদুল ইসলাম আজাদ ও দর্শনা সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী এবং মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করেন যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী ও দর্শনা পৌর কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলম। এরপর জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা হাতে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় থেকে বিজয় র‌্যালী বের হয়ে দর্শনা শহর প্রদক্ষিন শেষে কার্যালয়ের সামনে এসে সমাপ্ত হয়। এরপর বিকাল সাড়ে ৪টায় পুরাতন বাজার মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চারণ করে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অকুতভয় সূর্য্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা দর্শনা পৌর কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড এ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার লিয়াকত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মজনুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, রেজাউল করিম সবুর, রুস্তম আলী, আনোয়ার হোসেন, তমছের আলী, ফজলুল হক, বদরুল আলম ফিট্টু। এছাড়া দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, দর্শনা গণউন্নয় গ্রন্থাগারের পরিচালক আবু সুফিয়ান ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ইয়াসির আরাফাত মিলন প্রমুখ। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বক্তারা বলেন, এ যুদ্ধ ছিল একটি  স্বাধীন রাষ্ট্র, একটি লাল সুবজের পতাকা, একটি মাতৃভুমি, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে থাকা একটি মানচিত্রের জন্য আমরণ যুদ্ধ। যাদের আত্মহতির মধ্যে দিয়ে একটি স্বাধীন বাংলাকে পেয়েছি তা ধরে রাখতে নতুন প্রজন্মের কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতিয় পতাকা তুলে দেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের আলোক চিত্র প্রদর্শনী ও দেশের গান পরিবেশন করেন দর্শনা অনির্বাণ থিয়েটার ও হিন্দোল সংগীত পরিষদের শিল্পীবৃন্দ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

দর্শনা মুক্ত দিবস উপলক্ষে দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে দিন ব্যাপী নানা কর্মসূচি পালিত

আপলোড টাইম : ১২:০৬:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৬

MMMM

দর্শনা অফিস: দর্শনা মুক্ত দিবস উপলক্ষে গতকাল দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে দিন ব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কর্মসুচির মধ্যে সকাল সাড়ে ৯টায় দর্শনা পুরাতন বাজার দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কার্যালয় চত্বরে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন শেষে দেশের অতন্দ্র প্রহরী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদুল ইসলাম আজাদ ও দর্শনা সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী এবং মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করেন যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী ও দর্শনা পৌর কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলম। এরপর জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা হাতে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় থেকে বিজয় র‌্যালী বের হয়ে দর্শনা শহর প্রদক্ষিন শেষে কার্যালয়ের সামনে এসে সমাপ্ত হয়। এরপর বিকাল সাড়ে ৪টায় পুরাতন বাজার মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চারণ করে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অকুতভয় সূর্য্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা দর্শনা পৌর কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড এ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার লিয়াকত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মজনুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, রেজাউল করিম সবুর, রুস্তম আলী, আনোয়ার হোসেন, তমছের আলী, ফজলুল হক, বদরুল আলম ফিট্টু। এছাড়া দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, দর্শনা গণউন্নয় গ্রন্থাগারের পরিচালক আবু সুফিয়ান ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ইয়াসির আরাফাত মিলন প্রমুখ। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বক্তারা বলেন, এ যুদ্ধ ছিল একটি  স্বাধীন রাষ্ট্র, একটি লাল সুবজের পতাকা, একটি মাতৃভুমি, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে থাকা একটি মানচিত্রের জন্য আমরণ যুদ্ধ। যাদের আত্মহতির মধ্যে দিয়ে একটি স্বাধীন বাংলাকে পেয়েছি তা ধরে রাখতে নতুন প্রজন্মের কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতিয় পতাকা তুলে দেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের আলোক চিত্র প্রদর্শনী ও দেশের গান পরিবেশন করেন দর্শনা অনির্বাণ থিয়েটার ও হিন্দোল সংগীত পরিষদের শিল্পীবৃন্দ।