আলমডাঙ্গা জেহালার সাবেক চেয়ারম্যান সেলিমের মোটরসাইকেল চুরির পর আবারো শ্রমিককে চোখ বেধে তুলে নিয়ে গিয়ে জিম্মি করে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি
- আপলোড টাইম : ১২:৪০:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৬
- / ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে
আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আছিরুল ইসলাম সেলিমের ইটভাটায় মোটরসাইকেল চুরির ৫ দিনের মাথায় আবারও সন্ত্রাসীরা গত ২ ডিসেম্বর রাত ১টার দিকে ৩জন ভাটা শ্রমিককে চোখ বেধে তুলে নিয়ে গিয়ে জিম্মি করে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। জানাযায়, আলমডাঙ্গা জেহালা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আছিরুল ইসলাম সেলিমের ইটভাটায় ৮জন পালাক্রমে ২শিপ্টে ভাটায় আগুন দেওয়ার কাজ করে। এদের সর্দার চুয়াডাঙ্গা পীরপুর গ্রামের মৃত মজিবর মন্ডলের ছেলে মিজানুর রহমান। ইনি ভাটায় আগুন দেওয়ার কাজ করে থাকেন। সন্ত্রাসীরা ভাটা শ্রমিক জীবননগর উপজেলার মোজম, জেহালা ইউনিয়নের রোয়াকুলি গ্রামের কাশেম ও বন্ডবিলের শ্বশুরালয়ে থাকা নাজিম উদ্দিনকে রাত ১টার দিকে তুলে নিয়ে যায়। ওই সময় তাদের সর্দার মিজানুরকে তারা হাতে পায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথম ৪জন ভাটার কাজ শেষ করে রাত ১টার কিছু আগে ফিরে যায়। পর পরই এই ৩জন উপস্থিত হলে প্রাচীরের পাশের ঘরের পাশ দিয়ে ৭/৮ জন সন্ত্রাসী ভাটার উপরে উঠে অস্ত্রের মুখে ৩জনকে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে একটি বাগানে নিয়ে যায়। ওদের মধ্যে ১জনের মোবাইল দিয়ে সেলিমের কাছে ফোন করে। ব্যালেঞ্চ না থাকায় আর কথা বলা হয়নি। পরবর্তীতে সন্ত্রাসীরা তাদের নিজেদের ফোনে ভাটা মালিক সেলিম চেয়ারম্যানের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় অত্র অঞ্চলে কর্তব্যরত পুলিশরা অবস্থান করছিল। তারা কিছুক্ষণ ওদের আটকিয়ে রেখে মারধর করে ছেড়ে দেয় এবং ওদের সর্দার মিজানুর রহমানকে ফোন করে ভাটার আগুন নেভাতে ফোন দেয়। পরদিন সকালেও সেলিম চেয়ারম্যানকে পুনরায় ফোন করে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা ওসি তদন্ত মেহেদী রাসেল সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তাদের দেওয়ার ফোন নম্বরে ফোন করে থানা পুলিশ বুঝতে পারে অপরপ্রান্তে যারা ফোনটি রিসিভ করছে তখন ট্রাকিংয়ে ধরা পরে ঢাকা সাভার অঞ্চল। এ ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।